সাবেক মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক এপিএস এমদাদুল হক (৫২)সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি। গতকাল বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
জানা গেছে, প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২হাজার৪০১দশমিক৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় এ মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার মামলা নং- ৪৩ । মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) রুজু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
মামলায় এজাহারনামীয় অভিযুক্তরা হলেন, গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭), এপিএস এমদাদুল হক (৫২), রূপগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫),আলফাজ উদ্দিন (৬৩), দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, মামলায় অভিযুক্তরা অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ভিকটিম জনৈক মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭দশমিক৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়ার ৭২ শতাংশ,মোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩দশমিক৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুঁইয়ার ৭৬০দশমিক৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ,নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০দশমিক৭ শতাংশ,মো. মাহবুবুল হক ভুঁইয়ার ৭১দশমিক৪৭ শতাংশ এবং মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২হাজার৪০১দশমিক৪৬ শতাংশ জমি যা অভিযুক্তরা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে। যার বর্তমান মূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা। ঘটনা সম্পর্কিত বিষয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটিশন নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-০৮/০৭/২০২৫ মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ কোটি টাকা।
সূত্রে আরো জানা গেছে, ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধানকে (এ্যাডিশনাল আইজিপি)নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থ-বাণিজ্য: রিজার্ভ ফের ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো
অর্থ-বাণিজ্য: স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা
অপরাধ ও দুর্নীতি: সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা