image

জাজিরায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত আটক

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কাজী মনিরুজ্জামান, শরীয়তপুর

শরীয়তপুরর জাজিরা উপজেলায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার,(১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত এক তরুণকে স্থানীয়রা আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী শিশুটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শনিবার, বিকেলে বড়কান্দি ইউনিয়নের একটি গ্রামে প্রতিবেশী ২৩ বছর বয়সী এক তরুণ মোবাইলে গেম খেলতে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটির ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। একপর্যায়ে শিশুটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।

জাজিরা থানা সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার বাবা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত এবং শিশুটি গ্রামে মায়ের সঙ্গে বসবাস করে।

ঘটনার সময় উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত তরুণকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় শিশুটি ও অভিযুক্তকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়।

শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

শিশুর নানী বলেন, অভিযুক্ত ওই তরুণ উশৃঙ্খল ও বকাটে প্রকৃতির। মোবাইল দেখানোর কথা বলে আমার নাতনির সর্বনাশ করেছে। ওর গোপনাঙ্গ হতে রক্ত বের হচ্ছে । আমরা ভয়ের মধ্যে আছি।

শিশুর বাবা বলেন, আমার ছোট্ট ফুলের মত বাচ্চাটার সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হয়েছে। চোখের সামনে বাচ্চাটা হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে বাবা হয়ে তা কীভাবে সহ্য করবো?

সমাজে-বাড়িতেও শিশু নিরাপদ না, তাহলে আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে কোথায় বাস করবো? এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক লিমিয়া সাদিনা বলেন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এমন এক শিশুকে আনা হয়েছে। আমরা তার চিকিৎসা শুরু করেছি। তার শারীরিক অবস্থা বুঝার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। এরপর বিস্তারিত বলা যাবে।

জাজিরা থানার ওসি সালেহ আহাম্মদ বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছে । অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাকে আমরা আটক করে হাজিরা হাসপাতালে পুলিশ পাহরায় চিকিৎসা চলছে। ভিকটিমের পরিবার মামলা করার পর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

‘অপরাধ ও দুর্নীতি’ : আরও খবর

সম্প্রতি