image

এস আলম গ্রুপ: ৬২৪৩ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের তিন মামলা

রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুবিধা পাওয়া এস আলম গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঋণের নামে সোয়া ৬ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলায় গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং জনতা ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। রোববার,(২১ ডিসেম্বর ২০২৫) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ে এসব মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।

এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল মিল ও এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের নামে ঋণ নিয়ে ৬ হাজার ২৪৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে এসব মামলায়। একটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের নামে জনতা ব্যাংক থেকে বিভিন্ন উপায়ে ঋণ নিয়ে সুদে-আসলে ২ হাজার ৩ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৩০৮ টাকা ২৩ পয়সা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়েছে।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীনকে, যাকে কে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে দেখানো হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলমকে করা হয়েছে দুই নম্বর আসামি। আসামির তালিকায় রয়েছেন জনতা ব্যাংকের ২৮ কর্মকর্তাও।

আরেক মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের নামে ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে সুদে-আসলে ২ হাজার ২৯৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭১ টাকা ৫ পয়সা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাইফুল আলমকে; যাকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বলা হয়েছে। এছাড়া জনতা ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের নামে ২০০৫ সালের ১০ মে থেকে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঋণ নিয়ে সুদে-আসলে ১ হাজার ৯৪২ কোটি ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৩ টাকা ৬১ পয়সা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় ৩১ আসামির মধ্যে সাইফুল আলমের পাশাপাশি জনতা ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর সুগার মিল ও সুপার এডিবল মিলের নামে তিন হাজার ৮৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুইটি মামলা করা হয়েছিল।

‘অপরাধ ও দুর্নীতি’ : আরও খবর

সম্প্রতি