টাকার লোভে ৪ বছরের শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

দোকান থেকে সিঙ্গারা কিনে বাসায় ফেরার পথে চার বছরের শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা নিজেদেরকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত।

পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে চার বছরের শিশু নুসরাত জাহান হাবিবা বাবার সঙ্গে দোকানে গিয়ে সিঙ্গারা কিনে। বাবা শিশুটিকে বাসায় পাঠিয়ে বাজারে চলে যান।

বেলা ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন শিশু নুসরাত বাড়ি পৌঁছায়নি। এরপর তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরদিন দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। ১১ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির কাছে (আঙিনায়) নুসরাতের লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল।

এ ঘটনায় দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই জামালপুরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুটির আপন চাচা আমির হামজাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্য মতে, গত ৭ ডিসেম্বর রাতে নিহতের পিতার চাচাতো ভাই আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২ জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসছে টাকার লোভে আপন ভাতিজি নুসরাত জাহান হাবিবাকে মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে তারা ২ জন। এরপর তাকে জঙ্গলে নিয়ে শ্বাসরোধ করে ধরে তখন সে অচেতন হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় তার ওপর আল-আমিন পাশবিক নির্যাতন চালায়।

জ্ঞান ফিরলে শিশুটি কান্না ও চিৎকার করলে আবার তার মুখ চেপে ধরে। এ সময় শিশুটি মারা যায়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটির শরীরে ব্যাটারির এসিড ঢেলে বিকৃত করার চেষ্টা করে। এরপর লাশ জঙ্গলে পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। রাতে নদীতে নিয়ে কচুরিপানার নিচে চাপা দিয়ে রাখে। পরদিন আবার তুলে নিয়ে বাড়ির কাছে ফেলে যায়। যাতে মনে হয় এটা দুর্বৃত্তদের কাজ। পিবিআই অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন করে। মামলাটির তদন্ত চলছে।

‘অপরাধ ও দুর্নীতি’ : আরও খবর

সম্প্রতি