নৌ পুলিশের অভিযানে
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২১ হাজার ৬ শত পিস ববিন ও ২১ হাজার পিস রেহেল জব্দ করেছে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ। বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত সদরের দয়াল বাজার ও বিনোদপুর এলাকার ৩ টি গুদামঘর ও একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করে পুলিশ।
নৌ পুলিশ জানায়, নৌ পুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এসময় অংশ নেয় মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুর আলীম, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা টিপু সুলতান, মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কবির হোসেন খান প্রমুখ। কারেন্ট জাল উৎপাদনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানায় নৌ পুলিশ।
অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে নৌ পুলিশ প্রধান মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, “কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধে ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে আজও নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত নৌ পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে হাতিমারা, মুক্তারপুর, গোসাইবাগ, মিরেশ^রাই, দুর্গাবাড়ী, আদারিয়াতলা, বনিক্যপাড়া, হাতিমারা নয়াগাঁওসহ পঞ্চসার-মিরকাদিমে কারেন্টজাল উৎপাদন বেড়ে গেছে। অভিযোগ ছিলো পঞ্চসারেরর চেয়ারম্যান মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে ম্যানেজ করে অভিযান চালাতেন প্রতিপক্ষের ফ্যাক্টরিতে। চাঁদা তুলেন অবৈধ ফ্যাক্টরী থেকে। কথা হলো পঞ্চসারের নিয়ন্ত্রক যারা ছিলেন এবং বর্তমানে আছেন তারা কিন্তু অবৈধ ব্যবসা এবং ফ্যাক্টরি থেকে চাঁদা তুলে অবৈধ টাকার মালিক? আর এই ব্যবসাকে জিইয়ে রেখেছে প্রশাসনও। কারণ, অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারাও চাঁদা নেয়। প্রশাসন ইচ্ছে করলে এক সপ্তাহেই এই অবৈধ কারেন্টজাল ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে ব্যবসা এবং ফ্যাক্টরিতে কারেন্টজাল উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারেন??? কারেন্টজাল উৎপাদনের সব স্কুটার বন্ধ করে দিলেই অবৈধ কারেন্টজাল আর উৎপাদন করতে পারবে না। তবে কেন মুল জায়গায় যায় না প্রশাসন সেটা সাধারণ জনগণই উপলব্দি করতে পারছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নৌ পুলিশের অভিযানে
বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২১ হাজার ৬ শত পিস ববিন ও ২১ হাজার পিস রেহেল জব্দ করেছে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ। বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত সদরের দয়াল বাজার ও বিনোদপুর এলাকার ৩ টি গুদামঘর ও একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করে পুলিশ।
নৌ পুলিশ জানায়, নৌ পুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এসময় অংশ নেয় মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুর আলীম, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা টিপু সুলতান, মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কবির হোসেন খান প্রমুখ। কারেন্ট জাল উৎপাদনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানায় নৌ পুলিশ।
অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে নৌ পুলিশ প্রধান মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, “কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধে ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে আজও নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত নৌ পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে হাতিমারা, মুক্তারপুর, গোসাইবাগ, মিরেশ^রাই, দুর্গাবাড়ী, আদারিয়াতলা, বনিক্যপাড়া, হাতিমারা নয়াগাঁওসহ পঞ্চসার-মিরকাদিমে কারেন্টজাল উৎপাদন বেড়ে গেছে। অভিযোগ ছিলো পঞ্চসারেরর চেয়ারম্যান মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে ম্যানেজ করে অভিযান চালাতেন প্রতিপক্ষের ফ্যাক্টরিতে। চাঁদা তুলেন অবৈধ ফ্যাক্টরী থেকে। কথা হলো পঞ্চসারের নিয়ন্ত্রক যারা ছিলেন এবং বর্তমানে আছেন তারা কিন্তু অবৈধ ব্যবসা এবং ফ্যাক্টরি থেকে চাঁদা তুলে অবৈধ টাকার মালিক? আর এই ব্যবসাকে জিইয়ে রেখেছে প্রশাসনও। কারণ, অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারাও চাঁদা নেয়। প্রশাসন ইচ্ছে করলে এক সপ্তাহেই এই অবৈধ কারেন্টজাল ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে ব্যবসা এবং ফ্যাক্টরিতে কারেন্টজাল উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারেন??? কারেন্টজাল উৎপাদনের সব স্কুটার বন্ধ করে দিলেই অবৈধ কারেন্টজাল আর উৎপাদন করতে পারবে না। তবে কেন মুল জায়গায় যায় না প্রশাসন সেটা সাধারণ জনগণই উপলব্দি করতে পারছে।