চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও ৭ জনকে।
আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় নিহত মাহমুদা খানম মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন এ মামলা করেন।
মামলা করার পর সংবাদ সম্মেলনে বাদী মোশাররফ অভিযোগ করেন, বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক এনজিও কর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তাঁর মেয়ের সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। মৃত্যুর আগে মিতু বিষয়টি তাঁদের জানিয়েছিলেন। পারিবারিকভাবে তাঁরা বিষয়টি সমাধানেরও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হননি। একপর্যায়ে বাবুল ও ওই নারী মিতুকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মোশাররফ বলেন, মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি সাতজনের নাম আগের মামলায় পুলিশের তদন্তে এসেছিল। আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তার, কামরুল সিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোহাম্মদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আনোয়ার, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ সাজু ও মোহাম্মদ কালু।
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বাবুলের পরিকল্পনায় আসামিরা তাঁর মেয়েকে হত্যা করে। ২০১৩ সালে বাবুল যখন কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তখন এনজিওর এক মাঠকর্মীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়। বিষয়টি মিতু জানতে পারলে ঝগড়া হয়।
ঘটনার পর বাবুল মোশাররফের বাসায় ছিলেন। মামলা করতে দেরি কেন করলেন—এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে মিতুর বাবা বলেন, বাবুলের বিষয়ে তিনি পরে নিশ্চিত হয়েছেন। একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। পিপিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরে তিনি মামলা করেছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই চিঠি দিয়েছে। আমরা মামলাটি পিবিআইকে দিয়ে দিচ্ছি।’
অর্থ-বাণিজ্য: নির্বাচনের প্রার্থীদের জন্য শনিবার সব ব্যাংক খোলা থাকবে