টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় স্কুলশিক্ষক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে সখীপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মিজানুর রহমান সবুজ (৩৮) নামে ওই শিক্ষক উপজেলার লাঙুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষক । সে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর মিজানুর রহমানের সঙ্গে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমির আক্তরের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রুমির বাবা মেয়েকে চার ভরি স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পরের বছর মিজানুর একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। জামাতাকে দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলও কিনে দেন শ্বশুর। একের পর এক অজুহাতে শ্বশুরের কাছে টাকা দাবী করতেই থাকেন ওই জামাতা। এরপর ২০১৭ সালে রুমির গর্ভে কন্যাসন্তান আসে। অস্ত্রোপচারের জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে আরোও ২০ হাজার টাকা নেন । দুই বছর আগে চাকরিতে সমস্যার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন । চার মাস ধরে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে স্ত্রী রুমিকে নির্যাতন করে আসছিলেন ওই স্কুল শিক্ষক মিজানুর।
এসব ঘটনার জেরে কিছুদিন আগে মিজানুর তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন। তালাকের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে রুমি আক্তার বাদী হয়ে স্বামীকে একমাত্র আসামি করে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মিজানুরের বিরুদ্ধে তাঁর বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ রয়েছে। মিজানুর শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তাঁকে সমিতি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে সাইদুল হক বলেন, স্ত্রীর করা মামলায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হবে।
বুধবার, ০৯ জুন ২০২১
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় স্কুলশিক্ষক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে সখীপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মিজানুর রহমান সবুজ (৩৮) নামে ওই শিক্ষক উপজেলার লাঙুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষক । সে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর মিজানুর রহমানের সঙ্গে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমির আক্তরের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রুমির বাবা মেয়েকে চার ভরি স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পরের বছর মিজানুর একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। জামাতাকে দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলও কিনে দেন শ্বশুর। একের পর এক অজুহাতে শ্বশুরের কাছে টাকা দাবী করতেই থাকেন ওই জামাতা। এরপর ২০১৭ সালে রুমির গর্ভে কন্যাসন্তান আসে। অস্ত্রোপচারের জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে আরোও ২০ হাজার টাকা নেন । দুই বছর আগে চাকরিতে সমস্যার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন । চার মাস ধরে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে স্ত্রী রুমিকে নির্যাতন করে আসছিলেন ওই স্কুল শিক্ষক মিজানুর।
এসব ঘটনার জেরে কিছুদিন আগে মিজানুর তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন। তালাকের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে রুমি আক্তার বাদী হয়ে স্বামীকে একমাত্র আসামি করে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মিজানুরের বিরুদ্ধে তাঁর বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ রয়েছে। মিজানুর শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তাঁকে সমিতি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে সাইদুল হক বলেন, স্ত্রীর করা মামলায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হবে।