alt

মোরেলগঞ্জে ৩০৯ স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ে হরিলুট!

গনেশ পাল, মোরেলগঞ্জে (বাগেরহাট) : বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১

https://sangbad.net.bd/images/2021/December/01Dec21/news/aaaaaa.jpg

মোরেলগঞ্জে (বাগেরহাট) : ৩ মাসেও চালু না হওয়া বায়োমেট্রিক মেশিন -সংবাদ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও মোটা অঙ্কের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। তিন মাসেও বায়োমেট্রিক হাজিরা বিদ্যালয়গুলোতে চালু হয়নি। ডিভাইস ক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক চক্রের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে টানাপোড়েনে বর্তমানে আটকে গেছে এ কার্যক্রম। শিক্ষকদের এখন গলার কাঁটা এ বায়োমেট্রিক মেশিন। দুর্নীতির ক্লু উদঘাটনে মাঠে নেমেছে তদন্ত টিম মাঠে। বাগেরহাট-৪, মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমপি’র অভিযোগে জানা গেছে, অত্র উপজেলায় শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ের নামে কালক্ষেপণ করা হয়। অনিয়মের কারনে অধিদপ্তর থেকে শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয় না করে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। কিন্তু ডিভাইস সরবরাহ চক্র টাকা ফেরত না দিয়ে তড়িঘড়ি সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকার ডিভাইস ১৮ হাজার টাকা ভাউচার দেখিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করেন। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দ্রুত কার্য সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পৌর সদরসহ ১৬ ইউনিয়নের ৩০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে বরাদ্দকৃত রুটিন মেইনটেন্স, স্লিপের টাকা দিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয়ের জন্য উপজেলার সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক বায়োমেট্রিক ক্রয়ের আগেই স্লিপের ২০ হাজার টাকার বিল ভাউচারও জমা দেন শিক্ষকরা।

https://sangbad.net.bd/images/2021/December/01Dec21/news/pic-2.jpg

ব্যবহার না করে আলমারিতে ফেলে রাখা বায়োমেট্রিক মেশিন

২০২০ সালের প্রথমদিকে কিছু বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক মেশিন ১৮ হাজার টাকা মূল্য দেখিয়ে ক্রয় করাও হয়। ২০২০ সালে ১৭ মার্চ থেকে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে এর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয় না করে এ বছরের ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে স্লিপের টাকা ট্রেজারিতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ উপেক্ষা করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে তড়িঘড়ি করে অধিকাংশ বিদ্যালয়েই ডিভাইস পৌছে দেয় চুক্তিবদ্ধ ৩টি প্রতিষ্ঠান। এদিকে একাধিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, মেশিনগুলো আলমীরাতে প্যাক করা অবস্থায় রয়েছে। কোথাও কোথায় ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বাড়িতে রয়েছে মেশিন। একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, বায়োমেট্রিক মেশনি কোম্পানির লোক দিয়ে গেছে। তিন মাস হয়ে গেলেও এখনও সংযোগ দেয়নি। হসিদ মিলছে না ওই লোকদের। সংসদ সদস্যের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট) শেখ রায়হান উদ্দিন সরেজমিনে তদন্তে আসেন। তিনি উপস্থিত সকলের লিখিত স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন এবং সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের লিখিত স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা জানান, কয়েকজন শিক্ষিক নেতার চাপের মুখে এ বায়োমেট্রিক মেশিন নিতে বাধ্য হয়েছে। টাকাও নেয়া হয়েছে ১৮ হাজার করে। তারা আরো বলেন, কয়েক মাস হলে গেলেও এ মেশিন চালু করা হয়নি। যে কোন সময় অকেজো হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন খান বলেন, সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে উপ-পরিচালক বায়োমেট্রিক ক্রয়ের বিষয়ে লিখিত স্বাক্ষ্য নিয়েছেন। সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সময়ে এ বায়োমেট্রিক ক্রয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলম বলেন, ২ বছর পূর্বে স্লিপের ভাউচার জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। সে সময়ে অনেকে এ মেশিন ক্রয় করতে পারেনি। এ বছর শিক্ষকরা তড়িঘড়ি করে সেসব মেশিন ক্রয় করেছেন। তবে অনিয়ন হয়েছে কিনা জানা নাই।

ছবি

হাটহাজারীতে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২

ছবি

স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত ঠিকাদার মিঠুর ৫ দিনের রিমান্ড

ছবি

‘সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি’: সেই মার্কিন নাগরিক ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহেলের ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

অপরাধ বেড়েছে জামালপুর শহরে

ছবি

মহেশখালীতে পুলিশের উপর হামলার প্রধান আসামি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ছবি

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ঘুষের টাকাসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ছবি

ডিএসসিসির বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করবে দুদক

ছবি

গৃহবধূ হত্যার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

দর্শনায় জুয়েলার্সে হামলা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

চাকরির প্রলোভনে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ছবি

পাসপোর্ট অফিসে দালালবিরোধী অভিযানে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবি

পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলা: আনিসুলকে দেখানো হলো গ্রেপ্তার, পাভেল রিমান্ডে

ছবি

দুর্নীতির মামলায় মোরশেদ আলমের জামিন নাকচ

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘যথেষ্ট’ প্রমাণ পাওয়া গেছে: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

সংসদের আসন পুনর্বিন্যাস, ফরিদপুরের ভাঙ্গা রণক্ষেত্র

ছবি

চকরিয়ায় থানা হাজতে দুজর্য়ের মৃত্যুর ঘটনায় ওসিসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

ছবি

বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতচক্রের তিনসদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

সাদা পাথর লুট: সাহাব উদ্দিন গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত বললো ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে

ছবি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ৫ গুণ বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ, ১৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ভোলায় মুভি দেখে বাবা খুন করল ছেলে

ছবি

বুড়িমারী স্থলবন্দর ইয়ার্ডে বাংলাদেশী দুই টাকার নতুন নোট জব্দ

ছবি

বনানীতে চুরি হওয়া ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ছবি

প্রতারণার নতুন ফাঁদ: ফেইসবুকে ‘টু-লেট’ বিজ্ঞাপন, বাসা নিতে গিয়ে কলেজ ছাত্রকে হেনস্থা

ছবি

স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ১

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ‘ব্লগারকে’ কুপিয়ে বাইক ও ফোন ছিনতাই

ছবি

টঙ্গীতে দুপুরে ‘চোর সন্দেহে’ যুবক আটক, রাতে মৃত্যু

ছবি

উত্তরায় ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি’, তিনজন কারাগারে

ছবি

একদিনে সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮০৯

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, তিনজন কারাগারে

ছবি

‘সন্দেহজনক’ লেনদেন, সাবেক এমপি দিদার দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ: ২ যুবকের যাবজ্জীবন, শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা: ২ জনের সাক্ষ্যে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা

ছবি

ফ্ল্যাট বরাদ্দে ‘অনিয়ম’: সচিব পদমর্যাদার সাবেক ১২ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

tab

মোরেলগঞ্জে ৩০৯ স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ে হরিলুট!

গনেশ পাল, মোরেলগঞ্জে (বাগেরহাট)

বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১

https://sangbad.net.bd/images/2021/December/01Dec21/news/aaaaaa.jpg

মোরেলগঞ্জে (বাগেরহাট) : ৩ মাসেও চালু না হওয়া বায়োমেট্রিক মেশিন -সংবাদ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও মোটা অঙ্কের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। তিন মাসেও বায়োমেট্রিক হাজিরা বিদ্যালয়গুলোতে চালু হয়নি। ডিভাইস ক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক চক্রের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে টানাপোড়েনে বর্তমানে আটকে গেছে এ কার্যক্রম। শিক্ষকদের এখন গলার কাঁটা এ বায়োমেট্রিক মেশিন। দুর্নীতির ক্লু উদঘাটনে মাঠে নেমেছে তদন্ত টিম মাঠে। বাগেরহাট-৪, মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমপি’র অভিযোগে জানা গেছে, অত্র উপজেলায় শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয়ের নামে কালক্ষেপণ করা হয়। অনিয়মের কারনে অধিদপ্তর থেকে শিক্ষক হাজিরা ডিভাইস ক্রয় না করে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। কিন্তু ডিভাইস সরবরাহ চক্র টাকা ফেরত না দিয়ে তড়িঘড়ি সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকার ডিভাইস ১৮ হাজার টাকা ভাউচার দেখিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করেন। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দ্রুত কার্য সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পৌর সদরসহ ১৬ ইউনিয়নের ৩০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে বরাদ্দকৃত রুটিন মেইনটেন্স, স্লিপের টাকা দিয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয়ের জন্য উপজেলার সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক বায়োমেট্রিক ক্রয়ের আগেই স্লিপের ২০ হাজার টাকার বিল ভাউচারও জমা দেন শিক্ষকরা।

https://sangbad.net.bd/images/2021/December/01Dec21/news/pic-2.jpg

ব্যবহার না করে আলমারিতে ফেলে রাখা বায়োমেট্রিক মেশিন

২০২০ সালের প্রথমদিকে কিছু বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক মেশিন ১৮ হাজার টাকা মূল্য দেখিয়ে ক্রয় করাও হয়। ২০২০ সালে ১৭ মার্চ থেকে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে এর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয় না করে এ বছরের ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে স্লিপের টাকা ট্রেজারিতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ উপেক্ষা করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে তড়িঘড়ি করে অধিকাংশ বিদ্যালয়েই ডিভাইস পৌছে দেয় চুক্তিবদ্ধ ৩টি প্রতিষ্ঠান। এদিকে একাধিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, মেশিনগুলো আলমীরাতে প্যাক করা অবস্থায় রয়েছে। কোথাও কোথায় ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বাড়িতে রয়েছে মেশিন। একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, বায়োমেট্রিক মেশনি কোম্পানির লোক দিয়ে গেছে। তিন মাস হয়ে গেলেও এখনও সংযোগ দেয়নি। হসিদ মিলছে না ওই লোকদের। সংসদ সদস্যের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট) শেখ রায়হান উদ্দিন সরেজমিনে তদন্তে আসেন। তিনি উপস্থিত সকলের লিখিত স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন এবং সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের লিখিত স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা জানান, কয়েকজন শিক্ষিক নেতার চাপের মুখে এ বায়োমেট্রিক মেশিন নিতে বাধ্য হয়েছে। টাকাও নেয়া হয়েছে ১৮ হাজার করে। তারা আরো বলেন, কয়েক মাস হলে গেলেও এ মেশিন চালু করা হয়নি। যে কোন সময় অকেজো হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন খান বলেন, সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে উপ-পরিচালক বায়োমেট্রিক ক্রয়ের বিষয়ে লিখিত স্বাক্ষ্য নিয়েছেন। সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সময়ে এ বায়োমেট্রিক ক্রয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলম বলেন, ২ বছর পূর্বে স্লিপের ভাউচার জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। সে সময়ে অনেকে এ মেশিন ক্রয় করতে পারেনি। এ বছর শিক্ষকরা তড়িঘড়ি করে সেসব মেশিন ক্রয় করেছেন। তবে অনিয়ন হয়েছে কিনা জানা নাই।

back to top