alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্মম নির্যাতন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর : শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

রংপুরের পীরগাছায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের পাীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হরেয়ছে। এ ঘটনায় থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিত পরিবারের। গাছে বেঁধে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) শুকুর আলী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ জানুয়ারি পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দধনি রাম গ্রামে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে পুরো উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। দুদিন পর শুক্রবার রাতে মামলা রেকর্ড করে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি জিয়াকে গ্রেপ্তার করেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের। নির্যাতনের শিকার মা গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগম গ্রামের শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী ও কন্যা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দি ধনিরাম গ্রামের নির্যাতনের শিকার গোলাগী বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া বেগমের বাড়ির পাশেই গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। বুধবার (১২ জানুয়ারি) জিয়া ও তার ভাড়াটে লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহাজাহান মিয়ার জমি দখল করে সেখানে থাকা গাছ কাটতে থাকে এবং চলাচালকারী রাস্তা কাটতে থাকে। এ ঘটনায় শাহাজাহান আলীর স্ত্রী গোলাপি বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া তাদের বাধা দিলে জিয়া ও তার লোকজন দুই নারীকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়ির কাছে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করে। বিষয়টি এলাকাবাসী পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পীরগাছা থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তারা দুজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে দায়িত্বরত ডাক্তার আসলাম জানান। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার সঙ্গে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নির্যাতিত গোলাপি বেগমের স্বামী শাহাজাহান মিয়া বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি। তবে শুক্রবার নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শহিদুল ইসলামের সঙ্গে শনিবার সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম জানাতে রাজি হননি তিনি।

এদিকে দুই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল খালেক নিশ্চিত করে বলেন, মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।

পলাশে তুচ্ছ ঘটনায় দিনমজুরকে ছুরিরকাঘাতে হত্যা

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: তৌফিক–ই–ইলাহীর জামিন আবেদন খারিজ, ফারুক খানের শুনানি সোমবার

ছবি

সায়েন্স ল্যাব থেকে গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা

৫০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগে সিলেট বিআরটিএ দুদকের অভিযান, ব্ল্যাঙ্ক চেক উদ্ধার

ছবি

সার আত্মসাৎ , সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সালমান এফ রহমানসহ পরিবারের ৯৪ কোম্পানির শেয়ার ও ১০৭ বিও হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

অভিনেতা সিদ্দিক সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে

ছবি

কোটি টাকা চাঁদা দাবি, কলাবাগান থানার ওসি ও এসআই প্রত্যাহার

ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন

ছবি

তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

আখাউড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ মাদকসেবীর কারাদন্ড

ছবি

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মাগুরায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ছবি

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ

ছবি

জুলাই আন্দোলন: হত্যা মামলায় তুরিন আফরোজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

ছবি

আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এক মাস বাড়লো

ছবি

নোয়াখালীতে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে

ছবি

বরগুনার তালতলীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ

মাদক মামলায় কাভার্ডভ্যান মালিকের যাবজ্জীবন

সোনারগাঁয়ে সম্পতি লিখে না দেয়ায় বাবাকে মেরে আহত করেছে ছেলে মেয়েরা

ছবি

উল্লাপাড়ায় বিএনপির ৭ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে, বহিষ্কার দাবি

বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশীর হামলায় একজন নিহত

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ তিনদিনের রিমান্ডে

ছবি

মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী শ্রাবণ নিহত, শেখ হাসিনাসহ ৪০৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

হত্যা মামলার দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

ছবি

রাজউক প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপসহ ২২ জনের গ্রেপ্তার প্রতিবেদন পেন্ডিং, নতুন দিন ১২ মে

ছবি

উখিয়ায় চারজন হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার দূর্নীতির অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁয়ে ডাকাতদের হামলায় ব্যবসায়ী আহত

ছবি

আখাউড়ায় গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩

সিলেটে এসআই জিয়াউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত, সুপারিশ করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ

মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ক্ষোভে স্ত্রীকে খুন করেন মসজিদের ইমাম

চুনারুঘাটে শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মাহফুজ কারাগারে

ছবি

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন

ছবি

প্রাইমএশিয়ার ছাত্র খুন: বন্ধুদের ডাকে গিয়েই জড়িয়ে পড়ে হত্যায়, গ্রেপ্তার ৩ বহিরাগত

ছবি

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতা আসামি

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্মম নির্যাতন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

রংপুরের পীরগাছায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের পাীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হরেয়ছে। এ ঘটনায় থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিত পরিবারের। গাছে বেঁধে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) শুকুর আলী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ জানুয়ারি পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দধনি রাম গ্রামে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে পুরো উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। দুদিন পর শুক্রবার রাতে মামলা রেকর্ড করে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি জিয়াকে গ্রেপ্তার করেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের। নির্যাতনের শিকার মা গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগম গ্রামের শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী ও কন্যা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দি ধনিরাম গ্রামের নির্যাতনের শিকার গোলাগী বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া বেগমের বাড়ির পাশেই গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। বুধবার (১২ জানুয়ারি) জিয়া ও তার ভাড়াটে লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহাজাহান মিয়ার জমি দখল করে সেখানে থাকা গাছ কাটতে থাকে এবং চলাচালকারী রাস্তা কাটতে থাকে। এ ঘটনায় শাহাজাহান আলীর স্ত্রী গোলাপি বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া তাদের বাধা দিলে জিয়া ও তার লোকজন দুই নারীকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়ির কাছে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করে। বিষয়টি এলাকাবাসী পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পীরগাছা থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তারা দুজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে দায়িত্বরত ডাক্তার আসলাম জানান। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার সঙ্গে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নির্যাতিত গোলাপি বেগমের স্বামী শাহাজাহান মিয়া বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি। তবে শুক্রবার নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শহিদুল ইসলামের সঙ্গে শনিবার সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম জানাতে রাজি হননি তিনি।

এদিকে দুই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল খালেক নিশ্চিত করে বলেন, মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।

back to top