রংপুরের পীরগাছায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের পাীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হরেয়ছে। এ ঘটনায় থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিত পরিবারের। গাছে বেঁধে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) শুকুর আলী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ জানুয়ারি পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দধনি রাম গ্রামে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে পুরো উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। দুদিন পর শুক্রবার রাতে মামলা রেকর্ড করে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি জিয়াকে গ্রেপ্তার করেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের। নির্যাতনের শিকার মা গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগম গ্রামের শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী ও কন্যা।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দি ধনিরাম গ্রামের নির্যাতনের শিকার গোলাগী বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া বেগমের বাড়ির পাশেই গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। বুধবার (১২ জানুয়ারি) জিয়া ও তার ভাড়াটে লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহাজাহান মিয়ার জমি দখল করে সেখানে থাকা গাছ কাটতে থাকে এবং চলাচালকারী রাস্তা কাটতে থাকে। এ ঘটনায় শাহাজাহান আলীর স্ত্রী গোলাপি বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া তাদের বাধা দিলে জিয়া ও তার লোকজন দুই নারীকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়ির কাছে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করে। বিষয়টি এলাকাবাসী পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পীরগাছা থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তারা দুজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে দায়িত্বরত ডাক্তার আসলাম জানান। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার সঙ্গে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নির্যাতিত গোলাপি বেগমের স্বামী শাহাজাহান মিয়া বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি। তবে শুক্রবার নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শহিদুল ইসলামের সঙ্গে শনিবার সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম জানাতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে দুই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল খালেক নিশ্চিত করে বলেন, মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
রংপুরের পীরগাছায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের পাীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হরেয়ছে। এ ঘটনায় থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিত পরিবারের। গাছে বেঁধে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) শুকুর আলী। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ জানুয়ারি পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দধনি রাম গ্রামে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে পুরো উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। দুদিন পর শুক্রবার রাতে মামলা রেকর্ড করে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি জিয়াকে গ্রেপ্তার করেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের। নির্যাতনের শিকার মা গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগম গ্রামের শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী ও কন্যা।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের আনন্দি ধনিরাম গ্রামের নির্যাতনের শিকার গোলাগী বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া বেগমের বাড়ির পাশেই গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। বুধবার (১২ জানুয়ারি) জিয়া ও তার ভাড়াটে লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহাজাহান মিয়ার জমি দখল করে সেখানে থাকা গাছ কাটতে থাকে এবং চলাচালকারী রাস্তা কাটতে থাকে। এ ঘটনায় শাহাজাহান আলীর স্ত্রী গোলাপি বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া তাদের বাধা দিলে জিয়া ও তার লোকজন দুই নারীকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়ির কাছে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করে। বিষয়টি এলাকাবাসী পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পীরগাছা থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তারা দুজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে দায়িত্বরত ডাক্তার আসলাম জানান। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার সঙ্গে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নির্যাতিত গোলাপি বেগমের স্বামী শাহাজাহান মিয়া বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি। তবে শুক্রবার নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শহিদুল ইসলামের সঙ্গে শনিবার সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম জানাতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে দুই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল খালেক নিশ্চিত করে বলেন, মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তিনি।