ইন্টারন্যাল লিজিং এর অর্থ আত্মসাতে এখন পর্যন্ত ১৫ মামলা
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুদক। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে বেনামী প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যালের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋন নিয়ে আত্মসাত ও পাচারের ঘটনায় করা মামলায় চার্যশিটে এ ২৩ জনকে আসামী করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কর্মকর্তার। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনান কেমিক্যালের নামে যে টাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে নেয়া হয়েছে সেটি আত্মসাত ও পাচারে পিকেসহ ২৩ জনের সম্পৃক্ততার প্রমান মিলছে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় পিকে সিন্ডিকেট। অনুসন্ধানে নেমে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন পর্যন্ত ১৫ টি মামলা করেছে। এসব মামলায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এক হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এখানো অনেক বেনমী প্রতিষ্ঠানের নামে ঋন নিয়ে আত্মসাতের অনুসন্ধান চলছে।
দুদক জানিয়েছে ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫টি মামলাার মধ্যে আনান কেমিকেল লিমিটেডের নামে ঋণ নিয়ে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত কাজ শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি দিতে কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। তদন্ত প্রতিবেদনে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ২৩ জনের জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। তাদের চার্জশিটে আসামি করার সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুদকের উপ পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের ৭০ কোটি ৮২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় পিকে হালদার ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক এমডি মো: রাশেদুল হকসহ ২৩ জন করা হয়। মামলার দায়েরের পর কমিশন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানকে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় তদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি পিকে হালদার, আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী, পরিচালক প্রিতিশ কুমার হালদার, পরিচালক উজ্জল কুমার নন্দী, পূর্ণিমা রানী হালদার, পরিচালক রাজিব সোম, রতন কুমার বিশ্বাস, ওমর শরীফ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালক মো. নুরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, মো. নুরুজ্জামান, এম এ হাশেম, মোহাম্মদ আবুল হাসেম, জহিরুল আলম, মো. আনোয়ারুল কবীর, মো. নওশেরুল ইসলাম, বাসুদেব ব্যানার্জি, মিজানুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান, ভিপি নাহিদা রুনাই, ভিপি আল মামুন সোহাগ, সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী ও কোম্পানি সেক্রেটারি ও রফিকুল ইসলাম খান।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের এমডি অমিতাভ অধিকারী ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর ২৯ কোটি টাকা ঋণের জন্য ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনের পর কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ২৫ অক্টোবর ২৩২তম বোর্ড সভায় ঋণ মঞ্জুর করা হয়। আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী ২০১৬ সালের ২ জুন ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ৩১ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম বরাবরে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পর কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ১১ জুন অনুষ্ঠিত ১৯১তম বোর্ড সভায় ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ পাঁচ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি রাশেদুল হকের কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পর ১১ এপ্রিল পাঁচ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, তদন্তকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্রাদি এবং বিএফআইইউ’র গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, যে উদ্দেশ্য ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে, বাস্তবিক পক্ষে ঋণের টাকা সে কাজে ব্যবহার করা হয়নি। আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ঋণ অনুমোদন দেয়া হলেও বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে অর্থ সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে।
দুদকের তথ্যানুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সর্বমোট ঋণের পোর্টফোলিও প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। অথচ এর বিপরীতে সম্পদ রয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। প্রতিষ্ঠানটিতে ঘাটতি রয়েছে প্রায় তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা, যা আদায় অনেকটা অনিশ্চিত। পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচার করেছেন। দুদক এখন পর্যন্ত পিকে হালদারের সিংগাপুর, ভারত এবং কানাডায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পাচারের তথ্য পেয়েছে। গদ ১৪ জুন পিকে হালদারকে তার চার সহযোগীসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অর্থসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।
উল্লেখ্য, পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালককে মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন একটি দল পিকে হালদার কেলেঙ্কারির অনুসন্ধান করছেন। পিকে হালদার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা এখন তদন্তাধীন।
ইন্টারন্যাল লিজিং এর অর্থ আত্মসাতে এখন পর্যন্ত ১৫ মামলা
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুদক। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে বেনামী প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যালের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋন নিয়ে আত্মসাত ও পাচারের ঘটনায় করা মামলায় চার্যশিটে এ ২৩ জনকে আসামী করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কর্মকর্তার। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনান কেমিক্যালের নামে যে টাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে নেয়া হয়েছে সেটি আত্মসাত ও পাচারে পিকেসহ ২৩ জনের সম্পৃক্ততার প্রমান মিলছে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় পিকে সিন্ডিকেট। অনুসন্ধানে নেমে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন পর্যন্ত ১৫ টি মামলা করেছে। এসব মামলায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এক হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এখানো অনেক বেনমী প্রতিষ্ঠানের নামে ঋন নিয়ে আত্মসাতের অনুসন্ধান চলছে।
দুদক জানিয়েছে ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫টি মামলাার মধ্যে আনান কেমিকেল লিমিটেডের নামে ঋণ নিয়ে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত কাজ শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি দিতে কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। তদন্ত প্রতিবেদনে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ২৩ জনের জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। তাদের চার্জশিটে আসামি করার সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুদকের উপ পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের ৭০ কোটি ৮২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় পিকে হালদার ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক এমডি মো: রাশেদুল হকসহ ২৩ জন করা হয়। মামলার দায়েরের পর কমিশন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানকে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় তদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি পিকে হালদার, আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী, পরিচালক প্রিতিশ কুমার হালদার, পরিচালক উজ্জল কুমার নন্দী, পূর্ণিমা রানী হালদার, পরিচালক রাজিব সোম, রতন কুমার বিশ্বাস, ওমর শরীফ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালক মো. নুরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, মো. নুরুজ্জামান, এম এ হাশেম, মোহাম্মদ আবুল হাসেম, জহিরুল আলম, মো. আনোয়ারুল কবীর, মো. নওশেরুল ইসলাম, বাসুদেব ব্যানার্জি, মিজানুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান, ভিপি নাহিদা রুনাই, ভিপি আল মামুন সোহাগ, সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী ও কোম্পানি সেক্রেটারি ও রফিকুল ইসলাম খান।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের এমডি অমিতাভ অধিকারী ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর ২৯ কোটি টাকা ঋণের জন্য ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনের পর কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ২৫ অক্টোবর ২৩২তম বোর্ড সভায় ঋণ মঞ্জুর করা হয়। আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী ২০১৬ সালের ২ জুন ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ৩১ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম বরাবরে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পর কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ১১ জুন অনুষ্ঠিত ১৯১তম বোর্ড সভায় ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ পাঁচ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি রাশেদুল হকের কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পর ১১ এপ্রিল পাঁচ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, তদন্তকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্রাদি এবং বিএফআইইউ’র গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, যে উদ্দেশ্য ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে, বাস্তবিক পক্ষে ঋণের টাকা সে কাজে ব্যবহার করা হয়নি। আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ঋণ অনুমোদন দেয়া হলেও বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে অর্থ সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে।
দুদকের তথ্যানুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সর্বমোট ঋণের পোর্টফোলিও প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। অথচ এর বিপরীতে সম্পদ রয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। প্রতিষ্ঠানটিতে ঘাটতি রয়েছে প্রায় তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা, যা আদায় অনেকটা অনিশ্চিত। পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচার করেছেন। দুদক এখন পর্যন্ত পিকে হালদারের সিংগাপুর, ভারত এবং কানাডায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পাচারের তথ্য পেয়েছে। গদ ১৪ জুন পিকে হালদারকে তার চার সহযোগীসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অর্থসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।
উল্লেখ্য, পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালককে মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন একটি দল পিকে হালদার কেলেঙ্কারির অনুসন্ধান করছেন। পিকে হালদার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা এখন তদন্তাধীন।