alt

১৮ বছর পর গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার রায় : ২ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

দীর্ঘ ১৮ বছর পর গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রংপুরের পীরগঞ্জে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ৩-এর বিচারক এম আলী আহাম্মেদ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার একবারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের শওকত শেখের ছেলে মিলন শেখ তার স্ত্রীকে নিয়ে আত্মীয়র বাসায় দাওয়াত খেয়ে বাসায় ফেরার পথে আসামি একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ তাদের পথরোধ করে। অস্ত্রের মুখে স্বামী মিলন শেখকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে মাদারগঞ্জ কলেজের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। তার আর্তচিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী মিলন শেখ বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ইকবাল বাহার দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার বিচারক দুই আসামি একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদকে দোষী সাব্যস্ত করে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর দুই আসামিকে পুলিশি পাহারায় কোট হাজতে নিয়ে যাওয়া হয় পরে তাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট তাইবুর রহমান লাইজু এবং এপিপি অ্যাডভোকেট মাকজিয়া হাসান দীবা। তারা জানান, দেরিতে হলেও জঘন্য ঘটনার ন্যায়বিচার পেয়েছে বিচারপ্রার্থীরা। এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি হলো বলে আমরা মনে করি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সালাম জানান, তার মক্কেল ন্যায়বিচার পায়নি, তারা এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করবেন।

ছবি

‘সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি’: সেই মার্কিন নাগরিক ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহেলের ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

অপরাধ বেড়েছে জামালপুর শহরে

ছবি

মহেশখালীতে পুলিশের উপর হামলার প্রধান আসামি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ছবি

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ঘুষের টাকাসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ছবি

ডিএসসিসির বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করবে দুদক

ছবি

গৃহবধূ হত্যার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

দর্শনায় জুয়েলার্সে হামলা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

চাকরির প্রলোভনে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ছবি

পাসপোর্ট অফিসে দালালবিরোধী অভিযানে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবি

পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলা: আনিসুলকে দেখানো হলো গ্রেপ্তার, পাভেল রিমান্ডে

ছবি

দুর্নীতির মামলায় মোরশেদ আলমের জামিন নাকচ

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘যথেষ্ট’ প্রমাণ পাওয়া গেছে: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

সংসদের আসন পুনর্বিন্যাস, ফরিদপুরের ভাঙ্গা রণক্ষেত্র

ছবি

চকরিয়ায় থানা হাজতে দুজর্য়ের মৃত্যুর ঘটনায় ওসিসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

ছবি

বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতচক্রের তিনসদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

সাদা পাথর লুট: সাহাব উদ্দিন গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত বললো ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে

ছবি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ৫ গুণ বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ, ১৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ভোলায় মুভি দেখে বাবা খুন করল ছেলে

ছবি

বুড়িমারী স্থলবন্দর ইয়ার্ডে বাংলাদেশী দুই টাকার নতুন নোট জব্দ

ছবি

বনানীতে চুরি হওয়া ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ছবি

প্রতারণার নতুন ফাঁদ: ফেইসবুকে ‘টু-লেট’ বিজ্ঞাপন, বাসা নিতে গিয়ে কলেজ ছাত্রকে হেনস্থা

ছবি

স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ১

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ‘ব্লগারকে’ কুপিয়ে বাইক ও ফোন ছিনতাই

ছবি

টঙ্গীতে দুপুরে ‘চোর সন্দেহে’ যুবক আটক, রাতে মৃত্যু

ছবি

উত্তরায় ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি’, তিনজন কারাগারে

ছবি

একদিনে সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮০৯

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, তিনজন কারাগারে

ছবি

‘সন্দেহজনক’ লেনদেন, সাবেক এমপি দিদার দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ: ২ যুবকের যাবজ্জীবন, শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা: ২ জনের সাক্ষ্যে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা

ছবি

ফ্ল্যাট বরাদ্দে ‘অনিয়ম’: সচিব পদমর্যাদার সাবেক ১২ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

ছবি

‘অবৈধ সম্পদ ও প্লট জালিয়াতি’ বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

ছবি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: ভারতে থাকা হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

tab

১৮ বছর পর গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার রায় : ২ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

দীর্ঘ ১৮ বছর পর গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রংপুরের পীরগঞ্জে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ৩-এর বিচারক এম আলী আহাম্মেদ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার একবারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের শওকত শেখের ছেলে মিলন শেখ তার স্ত্রীকে নিয়ে আত্মীয়র বাসায় দাওয়াত খেয়ে বাসায় ফেরার পথে আসামি একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ তাদের পথরোধ করে। অস্ত্রের মুখে স্বামী মিলন শেখকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে মাদারগঞ্জ কলেজের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। তার আর্তচিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী মিলন শেখ বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ইকবাল বাহার দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার বিচারক দুই আসামি একরামুল হক ও আবুল কালাম আজাদকে দোষী সাব্যস্ত করে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর দুই আসামিকে পুলিশি পাহারায় কোট হাজতে নিয়ে যাওয়া হয় পরে তাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট তাইবুর রহমান লাইজু এবং এপিপি অ্যাডভোকেট মাকজিয়া হাসান দীবা। তারা জানান, দেরিতে হলেও জঘন্য ঘটনার ন্যায়বিচার পেয়েছে বিচারপ্রার্থীরা। এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি হলো বলে আমরা মনে করি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সালাম জানান, তার মক্কেল ন্যায়বিচার পায়নি, তারা এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করবেন।

back to top