অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ( বরখাস্ত) মেয়র জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের যে অভিযোগ রয়েছে তা অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য একটি অনুসন্ধান টিম গঠনের প্রস্তাবসহ কমিশনের অনুমোদনের জন্য নথি উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে বৈঠকে কমিশন দুদক উপপরিচালক নারগিস সুলতানা ও সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমানের সমন্বয়ে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলমকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই প্রজ্ঞাপনে জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া দরপত্র, নির্দিষ্ট কোম্পানিকে দর দেয়ার অনুরোধ সংক্রান্ত্র (আরএফকিউ) দরপত্রে অনিয়ম, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিবছর হাটবাজার ইজারার টাকা যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা প্রশস্তকরণ সংক্রান্ত অভিযোগও রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উল্লিখিত অভিযোগগুলো ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধের পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের শামিল, যা সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ। ইতোমধ্যে এসব অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে সিটি করপোরেশন অপসারণের কার্যক্রমও শুরু করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এর আগে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গির আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাহাঙ্গির আলমের কিছু বিতর্কিত মন্তব্য সংবলিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গির আলমকে শোকজ করা হয়েছিল।
মেয়র জাহাঙ্গির আলম এক দলীয় বৈঠকে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে কিছু কথা বলে। ওই কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় প্রতিপক্ষ সোচ্চার হয়। দল থেকে বহিষ্কারসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠে। সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ক্ষমা চান মেয়র জাহাঙ্গির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সব পদ হারান।
রোববার, ২৬ জুন ২০২২
অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ( বরখাস্ত) মেয়র জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের যে অভিযোগ রয়েছে তা অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য একটি অনুসন্ধান টিম গঠনের প্রস্তাবসহ কমিশনের অনুমোদনের জন্য নথি উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে বৈঠকে কমিশন দুদক উপপরিচালক নারগিস সুলতানা ও সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমানের সমন্বয়ে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলমকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই প্রজ্ঞাপনে জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া দরপত্র, নির্দিষ্ট কোম্পানিকে দর দেয়ার অনুরোধ সংক্রান্ত্র (আরএফকিউ) দরপত্রে অনিয়ম, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিবছর হাটবাজার ইজারার টাকা যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা প্রশস্তকরণ সংক্রান্ত অভিযোগও রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উল্লিখিত অভিযোগগুলো ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধের পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের শামিল, যা সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ। ইতোমধ্যে এসব অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে সিটি করপোরেশন অপসারণের কার্যক্রমও শুরু করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এর আগে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গির আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জাহাঙ্গির আলমের কিছু বিতর্কিত মন্তব্য সংবলিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গির আলমকে শোকজ করা হয়েছিল।
মেয়র জাহাঙ্গির আলম এক দলীয় বৈঠকে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে কিছু কথা বলে। ওই কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় প্রতিপক্ষ সোচ্চার হয়। দল থেকে বহিষ্কারসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠে। সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ক্ষমা চান মেয়র জাহাঙ্গির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সব পদ হারান।