বার বার গ্রেপ্তারের পরও জামিনে ছাড়া পেয়ে মহাসড়কে একের পর এক ডাকাতিতে অংশ নেন ডাকাত রতন। তার রয়েছে নিজস্ব ডাকাত বাহিনী। সর্বশেষ ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতির তিন দিন আগেই পরিকল্পনা করেন ডাকাত রতন। র্যাব হেডকোয়াটার্স সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
র্যাব জানায় ডাকাতির ঘটনার আগে সে অন্য ডাকাতদের সংঘটিত করে গাজীপুরের জিরানী বাজারে বসে ডাকাতির পরিকল্পনার ছক করে। এরপরই বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটান তারা। গ্রেপ্তারকৃত ১০ ডাকাতের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসছে ডাকাতির পরিকল্পনাসহ নানা কাহিনী।
গত রোববার রাতে ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে র্যাব হেডকোয়াটার্সের গোয়েন্দা টিমসহ একাধিক টিম টানা অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ওই ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব হেডকোয়াটার্সের দেয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস টাঙ্গাইল অতিক্রম করার সময় ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ওই ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় এক যাত্রী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় অজ্ঞাত ১০-১২ জন ডাকাতকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৩ আগস্ট এই মামলা দায়ের করা হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে বাসযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই এখন নৈশকোচে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন।
অবশেষে র্যাব হেডকোয়াটার্সের গোয়েন্দা দল গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেন, ওরফে রতন মিয়া, আলাউদ্দিন, সোহাগ ম-ল, খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপু, বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস, মো. জীবন, আবদুল মান্নান, নাঈম সরকার, রাসেল তালুকদার, আসলাম তালুকদার ওরফে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০টি মোবাইল ফোন, ২টি রুপার চুড়ি, ৪টি সিমকার্ড ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করছে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত রতন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে বলেছে, বাস ডাকাতির ৩দিন আগে তার সহযোগী ডাকাত রাজা মিয়াকে বাসে ডাকাতি করার প্রস্তুাব দেয়। ডাকাত রাজা অন্য ডাকাতদের সংঘটিত করে। বাস ডাকাতির ঘটনায় রতনের নেতৃত্বে ১৩ ডাকাত অংশগ্রহণ করে।
পরিকল্পনা মতে, রাতে ডাকাতদল মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ রোড মোড়ে ঘোরাফেরা করতে থাকে। রাত প্রায় ১টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস সিরাজগঞ্জ রোড মোড়ে পৌঁছালে ডাকাত রাজা বাসটিকে থামানোর সংকেত দেয়। চালক বাসটি থামালে যাত্রী সেজে প্রথমে রতন, রাজা, মান্নান ও নুরনবী বাসটিতে ওঠে। এরপর আরও দুই দফায় পথে পথে ডাকাত দলের সদস্যরা বাসটিতে ওঠে। তারা চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারসহ যাত্রীদের হাত-মুখ বেঁধে সিট কভার দিয়ে মুখোশ পরিয়ে মুখম-ল ঢেকে দেয়। এরপর যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কার লুট করে। একই সময় ডাকাত দলের সদস্যরা বাসযাত্রী এক নারীকে নির্যাতন করেন।
মঙ্গলবার, ০৯ আগস্ট ২০২২
বার বার গ্রেপ্তারের পরও জামিনে ছাড়া পেয়ে মহাসড়কে একের পর এক ডাকাতিতে অংশ নেন ডাকাত রতন। তার রয়েছে নিজস্ব ডাকাত বাহিনী। সর্বশেষ ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতির তিন দিন আগেই পরিকল্পনা করেন ডাকাত রতন। র্যাব হেডকোয়াটার্স সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
র্যাব জানায় ডাকাতির ঘটনার আগে সে অন্য ডাকাতদের সংঘটিত করে গাজীপুরের জিরানী বাজারে বসে ডাকাতির পরিকল্পনার ছক করে। এরপরই বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটান তারা। গ্রেপ্তারকৃত ১০ ডাকাতের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসছে ডাকাতির পরিকল্পনাসহ নানা কাহিনী।
গত রোববার রাতে ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জে র্যাব হেডকোয়াটার্সের গোয়েন্দা টিমসহ একাধিক টিম টানা অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ওই ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব হেডকোয়াটার্সের দেয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস টাঙ্গাইল অতিক্রম করার সময় ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ওই ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় এক যাত্রী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় অজ্ঞাত ১০-১২ জন ডাকাতকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৩ আগস্ট এই মামলা দায়ের করা হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে বাসযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই এখন নৈশকোচে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন।
অবশেষে র্যাব হেডকোয়াটার্সের গোয়েন্দা দল গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেন, ওরফে রতন মিয়া, আলাউদ্দিন, সোহাগ ম-ল, খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপু, বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস, মো. জীবন, আবদুল মান্নান, নাঈম সরকার, রাসেল তালুকদার, আসলাম তালুকদার ওরফে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০টি মোবাইল ফোন, ২টি রুপার চুড়ি, ৪টি সিমকার্ড ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করছে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত রতন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে বলেছে, বাস ডাকাতির ৩দিন আগে তার সহযোগী ডাকাত রাজা মিয়াকে বাসে ডাকাতি করার প্রস্তুাব দেয়। ডাকাত রাজা অন্য ডাকাতদের সংঘটিত করে। বাস ডাকাতির ঘটনায় রতনের নেতৃত্বে ১৩ ডাকাত অংশগ্রহণ করে।
পরিকল্পনা মতে, রাতে ডাকাতদল মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ রোড মোড়ে ঘোরাফেরা করতে থাকে। রাত প্রায় ১টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস সিরাজগঞ্জ রোড মোড়ে পৌঁছালে ডাকাত রাজা বাসটিকে থামানোর সংকেত দেয়। চালক বাসটি থামালে যাত্রী সেজে প্রথমে রতন, রাজা, মান্নান ও নুরনবী বাসটিতে ওঠে। এরপর আরও দুই দফায় পথে পথে ডাকাত দলের সদস্যরা বাসটিতে ওঠে। তারা চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারসহ যাত্রীদের হাত-মুখ বেঁধে সিট কভার দিয়ে মুখোশ পরিয়ে মুখম-ল ঢেকে দেয়। এরপর যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কার লুট করে। একই সময় ডাকাত দলের সদস্যরা বাসযাত্রী এক নারীকে নির্যাতন করেন।