নারায়ণগঞ্জে মানব পাচার আইনে করা একটি মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের দুইজন নারী। বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণাকালে সাজাপ্রাপ্ত তিনজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন আরও চারজন।
এ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৮ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৭ ধারায় আদালত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। একই মামলায় অপর একটি ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন চারজন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারীর জাকির হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে বানেছা (৪৬), একই থানার বাগমারার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন বেগম (৪২), ভোলা সদরের কালাম হোসেনের ছেলে টিটু (৩৫) এবং শাহাবুদ্দিন। পলাতক রয়েছেন জেসমিন বেগম।
মামলায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় খালাস পেয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত মর্জিনা বেগমের স্বামী জাকির হোসেন (৫৫), মোহাম্মদ হোসেন সাগর ওরফে বেলু ওরফে দেলু (২২), শরিফ ও আসলাম ওরফে আলামিন (২৮)। তারাও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
মামলার নথির বরাতে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় আট বছরের শিশু বায়েজিদ। মোবাইল ফোনে বায়েজিদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি র্যাব-১১ এর সদরদপ্তরে অভিযোগ জানায় পরিবারের লোকজন। পরে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে র্যাব ১৮ জানুয়ারি বায়েজিদকে উদ্ধার করে। ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সায়েদাবাদ ও সিদ্ধিরগঞ্জের বাগমারা এলাকা থেকে আটজনকে আটক করা হয়। অভিযানে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, দু’টি চাকু, একটি চাপাতি, এক হাজার ২০ পিস ইয়াবা, ২৩টি চেতনানাশক ইনজেকশন, দু’টি ব্যবহৃত ইনজেকশন, ১৪টি সিরিঞ্জ এবং ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
পরে এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুর মা মোছা. ডালিম। ওই বছরের শেষের দিকে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, অপহরণকারীরা বায়েজিদকে অপহরণের কথা স্বীকার করে। একইসঙ্গে তারা আরও অন্তত ১৭টি শিশু অপহরণের কথাও বলেছে।
এই ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত তিন আসামিকে আইনানুগ কার্যক্রম শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২
নারায়ণগঞ্জে মানব পাচার আইনে করা একটি মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের দুইজন নারী। বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণাকালে সাজাপ্রাপ্ত তিনজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন আরও চারজন।
এ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৮ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৭ ধারায় আদালত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। একই মামলায় অপর একটি ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন চারজন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারীর জাকির হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে বানেছা (৪৬), একই থানার বাগমারার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন বেগম (৪২), ভোলা সদরের কালাম হোসেনের ছেলে টিটু (৩৫) এবং শাহাবুদ্দিন। পলাতক রয়েছেন জেসমিন বেগম।
মামলায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় খালাস পেয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত মর্জিনা বেগমের স্বামী জাকির হোসেন (৫৫), মোহাম্মদ হোসেন সাগর ওরফে বেলু ওরফে দেলু (২২), শরিফ ও আসলাম ওরফে আলামিন (২৮)। তারাও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
মামলার নথির বরাতে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় আট বছরের শিশু বায়েজিদ। মোবাইল ফোনে বায়েজিদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি র্যাব-১১ এর সদরদপ্তরে অভিযোগ জানায় পরিবারের লোকজন। পরে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে র্যাব ১৮ জানুয়ারি বায়েজিদকে উদ্ধার করে। ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সায়েদাবাদ ও সিদ্ধিরগঞ্জের বাগমারা এলাকা থেকে আটজনকে আটক করা হয়। অভিযানে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, দু’টি চাকু, একটি চাপাতি, এক হাজার ২০ পিস ইয়াবা, ২৩টি চেতনানাশক ইনজেকশন, দু’টি ব্যবহৃত ইনজেকশন, ১৪টি সিরিঞ্জ এবং ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
পরে এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুর মা মোছা. ডালিম। ওই বছরের শেষের দিকে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, অপহরণকারীরা বায়েজিদকে অপহরণের কথা স্বীকার করে। একইসঙ্গে তারা আরও অন্তত ১৭টি শিশু অপহরণের কথাও বলেছে।
এই ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত তিন আসামিকে আইনানুগ কার্যক্রম শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।