alt

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আরিফের মৃত্যু রহস্য

‘সড়ক দুঘটনায়’ মারা যাওয়ার কথা বলে তদন্ত করেনি পুলিশ

সাইফ বাবলু: : শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২

কারো ফোন পেয়ে বাবার সঙ্গে কথা বলে বাসা থেকে ৯ জুন রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. আরিফ মাহমুদ সুমন। এরপর থেকে আরিফের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ ছিল পরিবারের। সারারাত ছেলের কোন খবর না পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাবা মো. আলী আকবর। জিডির পর আলী আকবরের কাছে খবর আসে তার ছেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। পাগল হয়ে ছেলেকে শনাক্ত করার পর জানতে পারেন ছেলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত। উন্নত চিকিৎসার জন্য ছেলেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চিকিৎসারত আরিফ ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে শত চেষ্টা করেও তাকে আর ফেরানো যায়নি। ২৫ জুলাই আইসিইউতে চিকিৎরত অবস্থায় মেধাবী এ ছাত্রের মৃত্যু হয়। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, আরিফ কিভাবে মাথায় আঘাত পেলেন, আর কে বা কারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। তার মৃত্যু দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।

এদিকে সুমনের মৃত্যুর রহস্য তদন্ত না করে পুলিশ পরিবারের কাছ থেকে একটি মুচলেকা নিয়েছে। সেখানে তারা পরিবারকে সুমনের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয় বলে স্বীকার করে নিয়ে স্বাক্ষর করতে বলেন। উপায় না দেখে পুলিশের কথা মেনে নিয়ে সুমনকে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হয়। পরিবারের দাবি, পরিস্থিতিতে ফেলে পুলিশ তাদের দিয়ে এ কাজ করিয়েছে। তারা সুমনের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

গত ২৫ জুলাই ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে শেষ পর্যন্ত হার মানেন আরিফ মাহমুদ সমুন। প্রায় ২ মাস ছেলের জন্য ১০ লাখ টাকার বেশি খবর করেও ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি সরকারি কর্মকর্তা মো. আলি আকবর। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আরিফের মা এখন পাগলপ্রায়। পরিবারের দাবি, তার ছেলেকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা কোন না কোন কারণে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশ এ মৃত্যুকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে ঘটনা তদন্ত করছে না। পরিবারের দাবি, সুমনের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করা হোক।

সুমনের ঘনিষ্ট স্বজনরা বলছেন, সুমন সোনারগাঁয়ে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। তার বাবা আলী আকবর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করছেন। সুমনের মা গৃহিনী। পরিবারের সঙ্গে তেজগাঁও এলাকায় সরকারি কোয়ার্টারে থাকত সুমন। পড়াশোনা ছাড়া তেমন কোন অপ্রয়োনীয় আড্ডায় মিশত না সুমন। বিশ্ববিদ্যালয় আর বাসায় সুমনের বেশি সময় কাটত। এলাকায় কারো সঙ্গে কোন বিরোধ ছিল না। তার এমন মৃত্যু কোনভাবেই স্বাভাবিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনা মানতে পারছে না পরিবার।

আলী আকবর বলেন, অপারেশনসহ ছেলের চিকিৎসায় রীতিমতো ধারদেনা করে ১০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। অন্যদিকে সুমনও পরিপূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় কিভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছেন তা বলতে পারছিলেন না। এর মধ্যে সুমন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে বাসায় নিয়ে আসেন। এর মধ্যে পুলিশ তাদের বলেছে সুমন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তারা সেটা শুনে মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু সুমন তার মাকে বাসায় বলেছে, মা আমি দুর্ঘটনায় আহত হয়নি। আমার সঙ্গে কি হয়েছে সেটা আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তোমাদের কাছে বলব।

এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই ও জিডির তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, এটা একটি সড়ক দুর্ঘটনা। সে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পড়ে ছিল। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি হাতিরঝিল থানার। তাই আমরা আর এ বিষয়ে তদন্ত করিনি।

হাতিরঝিল থানা পুলিশের দাবি, সুমন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে এবং লাশ ময়নাতদন্ত করবে না এমনটা মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে সুমনের বাবা। এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে সুমনের পরিবার বলছে সুমনের সঙ্গে কোন ছেলের পূর্বশত্রুতা থাকতে পারে এমনটি তাদের জানা নেই। ঘটনার দিন সুমন কারো ফোন পেয়েই বের হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেগুলো কিছুই তদন্ত করেনি। সমুনের মৃত্যুর পর পারিবারিকভাবে জানাজা শেষে যখন আমরা লাশ দাফনে যাই তখন হাতিরঝিল থানা পুলিশ এসে হাজির হয়। সাদা কাজগে স্বাক্ষর না করলে লাশ নিয়ে যাবে। ময়নাতদন্ত করতে অনেক ঝামেলা হবে ইত্যাদি নানা কথা জটিলভাবে পুলিশ বলতে থাকে। ঝুট ঝামেলা এড়ানোর জন্যই তারা সেদিন পুলিশের কথায় রাজি হয়ে যায়। কিন্তু পরে তাদের কাছে মনে হয়েছে, তারা এটি ভুল করেছে। এখন তারা ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

ছবি

রিকশা চালককে থানায় আটকে নির্যাতন, এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

মানিলন্ডারিং: সাকিবকে দুদকে তলব

ছবি

নবাবগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

ছবি

আদালতে জবানবন্দি: জুবায়েদের ছাত্রী সৈকতকে জানায়, ‘ভাইরে কে জানি মাইরা ফেলছে’

ছবি

সৈয়দপুরে প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণ মামলায় আসামী অধরা

ছবি

সৈয়দপুরে প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণ মামলায় আসামী অধরা

ছবি

দৌলতপুরে চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

ছবি

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তার স্ত্রীর ৩৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু

ছবি

সীমান্তবর্তী জেলায় মহাসড়কে ডাকাতি, ১০ মাসে ৫৯৪টি ডাকাতির মামলা

ছবি

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

প্রসিকিউশন ভবনের সামনে ককটেল সদৃশ্য ‘বোমা’ নিক্ষেপ

ছবি

১০ মাসে সারাদেশে ৩,২৩০ হত্যাকাণ্ড

ছবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা

ছবি

মামুন হত্যা: ৫ দিন পর মামলা, আসামি ‘অজ্ঞাত’

ছবি

৩৫৮ কোটি টাকা ‘ক্ষতি’, রেলের সাবেক ডিজিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

চট্টগ্রামে মোবাইল মেকানিককে হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

ছবি

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন

ছবি

কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন

ছবি

যশোরে বোমা, ছুরি ও তলোয়ারসহ আটক ১

ছবি

হাইকোর্টের সামনে খণ্ডিত লাশ: ‘প্রেমঘটিত সংকট’ বলছে ডিবি

ছবি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে ‘ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারার’ হুমকি

ছবি

বিচারকের ছেলে হত্যা মামলা: লিমন মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড, পুলিশ কমিশনারকে আদালতের নোটিশ

সখীপুরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে অব্যাহতি

ছবি

মোহনপুরে শটগান, স্পিড বোর্টসহ ৫ ডাকাত আটক

ছবি

চট্টগ্রামে জালিয়াতির অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কচুয়ায় গণ-ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ১৭ নভেম্বর

ছবি

‘অর্থ পাচার’: স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

অন্তঃকোন্দলে ‘২ লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি’ দিয়ে মামুনকে হত্যা: ডিবি

ছবি

‘অর্থ আত্মসাৎ’: জয়, পুতুল ও ববিসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

নরসিংদীতে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ছবি

১০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’: এস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

‘প্লট দুর্নীতি’: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের মামলায় আরও ২২ জনের সাক্ষ্য

tab

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আরিফের মৃত্যু রহস্য

‘সড়ক দুঘটনায়’ মারা যাওয়ার কথা বলে তদন্ত করেনি পুলিশ

সাইফ বাবলু:

শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২

কারো ফোন পেয়ে বাবার সঙ্গে কথা বলে বাসা থেকে ৯ জুন রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. আরিফ মাহমুদ সুমন। এরপর থেকে আরিফের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ ছিল পরিবারের। সারারাত ছেলের কোন খবর না পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাবা মো. আলী আকবর। জিডির পর আলী আকবরের কাছে খবর আসে তার ছেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। পাগল হয়ে ছেলেকে শনাক্ত করার পর জানতে পারেন ছেলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত। উন্নত চিকিৎসার জন্য ছেলেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চিকিৎসারত আরিফ ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে শত চেষ্টা করেও তাকে আর ফেরানো যায়নি। ২৫ জুলাই আইসিইউতে চিকিৎরত অবস্থায় মেধাবী এ ছাত্রের মৃত্যু হয়। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, আরিফ কিভাবে মাথায় আঘাত পেলেন, আর কে বা কারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। তার মৃত্যু দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।

এদিকে সুমনের মৃত্যুর রহস্য তদন্ত না করে পুলিশ পরিবারের কাছ থেকে একটি মুচলেকা নিয়েছে। সেখানে তারা পরিবারকে সুমনের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয় বলে স্বীকার করে নিয়ে স্বাক্ষর করতে বলেন। উপায় না দেখে পুলিশের কথা মেনে নিয়ে সুমনকে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হয়। পরিবারের দাবি, পরিস্থিতিতে ফেলে পুলিশ তাদের দিয়ে এ কাজ করিয়েছে। তারা সুমনের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

গত ২৫ জুলাই ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে শেষ পর্যন্ত হার মানেন আরিফ মাহমুদ সমুন। প্রায় ২ মাস ছেলের জন্য ১০ লাখ টাকার বেশি খবর করেও ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি সরকারি কর্মকর্তা মো. আলি আকবর। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আরিফের মা এখন পাগলপ্রায়। পরিবারের দাবি, তার ছেলেকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা কোন না কোন কারণে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশ এ মৃত্যুকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে ঘটনা তদন্ত করছে না। পরিবারের দাবি, সুমনের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করা হোক।

সুমনের ঘনিষ্ট স্বজনরা বলছেন, সুমন সোনারগাঁয়ে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। তার বাবা আলী আকবর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করছেন। সুমনের মা গৃহিনী। পরিবারের সঙ্গে তেজগাঁও এলাকায় সরকারি কোয়ার্টারে থাকত সুমন। পড়াশোনা ছাড়া তেমন কোন অপ্রয়োনীয় আড্ডায় মিশত না সুমন। বিশ্ববিদ্যালয় আর বাসায় সুমনের বেশি সময় কাটত। এলাকায় কারো সঙ্গে কোন বিরোধ ছিল না। তার এমন মৃত্যু কোনভাবেই স্বাভাবিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনা মানতে পারছে না পরিবার।

আলী আকবর বলেন, অপারেশনসহ ছেলের চিকিৎসায় রীতিমতো ধারদেনা করে ১০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। অন্যদিকে সুমনও পরিপূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় কিভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছেন তা বলতে পারছিলেন না। এর মধ্যে সুমন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে বাসায় নিয়ে আসেন। এর মধ্যে পুলিশ তাদের বলেছে সুমন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তারা সেটা শুনে মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু সুমন তার মাকে বাসায় বলেছে, মা আমি দুর্ঘটনায় আহত হয়নি। আমার সঙ্গে কি হয়েছে সেটা আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তোমাদের কাছে বলব।

এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই ও জিডির তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, এটা একটি সড়ক দুর্ঘটনা। সে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পড়ে ছিল। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি হাতিরঝিল থানার। তাই আমরা আর এ বিষয়ে তদন্ত করিনি।

হাতিরঝিল থানা পুলিশের দাবি, সুমন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে এবং লাশ ময়নাতদন্ত করবে না এমনটা মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে সুমনের বাবা। এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে সুমনের পরিবার বলছে সুমনের সঙ্গে কোন ছেলের পূর্বশত্রুতা থাকতে পারে এমনটি তাদের জানা নেই। ঘটনার দিন সুমন কারো ফোন পেয়েই বের হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেগুলো কিছুই তদন্ত করেনি। সমুনের মৃত্যুর পর পারিবারিকভাবে জানাজা শেষে যখন আমরা লাশ দাফনে যাই তখন হাতিরঝিল থানা পুলিশ এসে হাজির হয়। সাদা কাজগে স্বাক্ষর না করলে লাশ নিয়ে যাবে। ময়নাতদন্ত করতে অনেক ঝামেলা হবে ইত্যাদি নানা কথা জটিলভাবে পুলিশ বলতে থাকে। ঝুট ঝামেলা এড়ানোর জন্যই তারা সেদিন পুলিশের কথায় রাজি হয়ে যায়। কিন্তু পরে তাদের কাছে মনে হয়েছে, তারা এটি ভুল করেছে। এখন তারা ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

back to top