alt

সখীপুরে ভূমিহীন নারীর চেক নিয়ে প্রতারণা

প্রতিনিধি, সখীপুর (টাঙ্গাইল) : রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক ভূমিহীন নারীর চেক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে সহিদ নামের একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে একাধিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। ভূমিহীন নারী উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বড় মৌশা গ্রামের কালাম মিয়ার স্ত্রী হামজা বেগম।

এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের লিখিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হামজা বেগম ও পুত্রবধূ মনিয়া প্রতিবেশ সহিদ মিয়ার কাছ থেকে তিন বছর আগে সুদে ৯০ হাজার টাকা নেন। জামানত হিসেবে স্বাক্ষরসহ একটি সাদা স্টাম্প ও দুটি চেক বইয়ের পাতা দেন ওই প্রতিবেশী সহিদকে। পরে সুদসহ কিস্তি পরিশোধ নিয়ে শহীদের সাথে দ্বন্দ্ব হয় হামজা বেগমের। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বসে পাওনাদার শহীদকে ৮০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন হামজা বেগম ও পুত্রবধু মনিয়া। সহিদ দশ হাজার টাকা বুঝে না পাওয়ার কারণে স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প ও একটি চেক বই রেখে দেন। পরবর্তী সময়ে এ বাকী ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও জমা রাখা চেক বই দিতে অস্বীকার করে। পরে ওই চেকটি নিকটবর্তী শামছুল আলমের কাছে বিক্রি করেন সহিদ। এই বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিক বার বসেও কোন সমাধান হয়নি।

ভুক্তভোগী ও ভূমিহীন হামজা বেগব বলেন, সহিদ আমার আমার সাথে প্রতারণা করছে। আমি টাকা পরিশোধ করলেও সে আমার চেক বই ও স্ট্যাম্প ফিরত দেয়নি। আমার এক প্রতিবেশী শামছুল আলমের কাছে চেক বই ও স্ট্যাম্প বিক্রি করছে। আমি এই সহিদের বিচার চাই, প্রতারণার জন্য ওর শাস্তি চাই।

তিনি আরোও বলেন এ ঘটনায় আমি চার মাস জেলহাজতে ছিলাম। এখন আবার ডিবি পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে জেল হাজতে দেওয়ার হুমকি দিতেছে। আমি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এ ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেছি।

স্থানীয় গ্রাম্য মাতাব্বর লাল মিয়া এঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূমিহীন হামজা সুদখোর সহিদের প্রতারণার স্বীকার।

অভিযুক্ত সহিদ মিয়া বলেন, যখন আমার টাকা দিতে অস্বীকার করছিলো তখন দুই লাখ ষাট হাজার টাকা দাবি করে উকিল নোটিশ দিয়েছি ওই হামজার পুত্রবধূর নামে। পরে স্থানীয় ভাবে বসে ৮০ হাজার টাকা পেয়ে চেক বইয়ের পাতা ও স্ট্যাম্প ফিরত দিয়েছি। এখন হামজা বেগম আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

ছবি

মোহাম্মদপুরে বাসে তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পিয়ন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১শ’ কোটি টাকা পাচারের মামলা

ছবি

পার্বতীপুরে ভবানীপুর-মধ্যপাড়া রেলপথের ফিসপ্লেটসহ ৬ হাজার নাটবল্টু চুরি

সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪০ জন: অধিকারের প্রতিবেদন

ছবি

‘অর্থ পাচার’: রন ও রিকের বিরুদ্ধে দুই অভিযোগপত্র দুদকের

ছবি

এস আলমের আরও ৪৬৯ একর জমি জব্দের আদেশ

ছবি

খুলনায় জোড়া খুন: ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

সোনারগাঁয়ে ডাকাতির মালামাল ভাগ নিয়ে দুই ডাকাত গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩

ছবি

অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

পার্বতীপুরে লগি-বৈঠার নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

সিরাজদিখানে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় আমামি গ্রেপ্তার

ছবি

বাঘায় চর দখলের সংঘর্ষে গুলিতে ২ জন নিহত

ছবি

সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

ছবি

জেনেভা ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণে যুবক নিহতের মামলায় ৪ জন রিমান্ডে

ছবি

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি: ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

ছবি

সোনাইমুড়ীতে মাদারাসায় ঘুমন্ত ছাত্রকে জবাই করে হত্যা, হত্যাকারী আটক

ছবি

শেওড়াপাড়ায় কিশোরী নির্যাতন: গৃহকর্ত্রী পারভীন চৌধুরীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, ফরিদপুরের সৌরভকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করলো র‍্যাব

ছবি

নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, আটক ১

ছবি

পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ছবি

হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

ছবি

৬ ভরি স্বর্ণ লুট করতে শরীয়তপুরের ওই নারীকে হত্যা করা হয়: র‌্যাব

ছবি

রাউজানে ১৮ দিনের মাথায় আরও এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

ছবি

বদলগাছীতে প্রবাসীর বাড়িতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা; আহত ২

ছবি

জামালপুরে ২২ হাজার পিস ইয়াবাসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

ছবি

সালিশ বৈঠকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

মোহাম্মদপুরে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১, সারাদেশে ১৭২৬

কদমতলীতে ছুরিকাঘাতে আহত পোশাককর্মীর মৃত্যু

ছবি

কুমিল্লায় বিচারের নামে নারী নির্যাতন ইউপি মেম্বারের, ভিডিও ভাইরা

ছবি

যশোরে গুলি ছুড়ে পালানোর সময় দুই সন্ত্রাসীকে আটক করল জনতা

ছবি

মেয়েকে হত্যার দায়ে পিতার কারাদণ্ড

ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতের কন্যাকে দলবেঁধে ধর্ষণ: তিন আসামির কারাদণ্ড

ছবি

শিশুকে ঢাকা থেকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ, কনস্টেবল কারাগারে

ছবি

রাজধানীর ১৫টির বেশি স্থানে ঝটিকা মিছিল, ১৩১ জন গ্রেপ্তার

ছবি

কবিরাজের কাছে জিন ছাড়াতে গিয়ে গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার

tab

সখীপুরে ভূমিহীন নারীর চেক নিয়ে প্রতারণা

প্রতিনিধি, সখীপুর (টাঙ্গাইল)

রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক ভূমিহীন নারীর চেক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে সহিদ নামের একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে একাধিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। ভূমিহীন নারী উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বড় মৌশা গ্রামের কালাম মিয়ার স্ত্রী হামজা বেগম।

এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের লিখিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হামজা বেগম ও পুত্রবধূ মনিয়া প্রতিবেশ সহিদ মিয়ার কাছ থেকে তিন বছর আগে সুদে ৯০ হাজার টাকা নেন। জামানত হিসেবে স্বাক্ষরসহ একটি সাদা স্টাম্প ও দুটি চেক বইয়ের পাতা দেন ওই প্রতিবেশী সহিদকে। পরে সুদসহ কিস্তি পরিশোধ নিয়ে শহীদের সাথে দ্বন্দ্ব হয় হামজা বেগমের। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বসে পাওনাদার শহীদকে ৮০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন হামজা বেগম ও পুত্রবধু মনিয়া। সহিদ দশ হাজার টাকা বুঝে না পাওয়ার কারণে স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প ও একটি চেক বই রেখে দেন। পরবর্তী সময়ে এ বাকী ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও জমা রাখা চেক বই দিতে অস্বীকার করে। পরে ওই চেকটি নিকটবর্তী শামছুল আলমের কাছে বিক্রি করেন সহিদ। এই বিষয়ে এলাকাবাসী একাধিক বার বসেও কোন সমাধান হয়নি।

ভুক্তভোগী ও ভূমিহীন হামজা বেগব বলেন, সহিদ আমার আমার সাথে প্রতারণা করছে। আমি টাকা পরিশোধ করলেও সে আমার চেক বই ও স্ট্যাম্প ফিরত দেয়নি। আমার এক প্রতিবেশী শামছুল আলমের কাছে চেক বই ও স্ট্যাম্প বিক্রি করছে। আমি এই সহিদের বিচার চাই, প্রতারণার জন্য ওর শাস্তি চাই।

তিনি আরোও বলেন এ ঘটনায় আমি চার মাস জেলহাজতে ছিলাম। এখন আবার ডিবি পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে জেল হাজতে দেওয়ার হুমকি দিতেছে। আমি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এ ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেছি।

স্থানীয় গ্রাম্য মাতাব্বর লাল মিয়া এঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূমিহীন হামজা সুদখোর সহিদের প্রতারণার স্বীকার।

অভিযুক্ত সহিদ মিয়া বলেন, যখন আমার টাকা দিতে অস্বীকার করছিলো তখন দুই লাখ ষাট হাজার টাকা দাবি করে উকিল নোটিশ দিয়েছি ওই হামজার পুত্রবধূর নামে। পরে স্থানীয় ভাবে বসে ৮০ হাজার টাকা পেয়ে চেক বইয়ের পাতা ও স্ট্যাম্প ফিরত দিয়েছি। এখন হামজা বেগম আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

back to top