alt

ডলারের অস্থিতিশীলতার নেপথ্য উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু : ১৪ জন গ্রেপ্তার, প্রায় ২ কোটি টাকা জব্দ

বাকী বিল্লাহ : বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে অসাধু বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হওয়ার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তারা গোপনে মার্কিন ডলার মজুদ করে দাম বাড়চ্ছে। এই চক্র ৮৫ টাকার মার্কিন ডলার ১২৩ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। এর নেপথ্যে দেশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা মানি এক্সচেঞ্জের মালিক জড়িত। আবার বৈধ মানিক এক্সচেঞ্জের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ডলারের ঊর্ধগতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় সিআইডির ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সিআইডির দেয়া তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে ২৩৫টি লাইসেন্সধারী বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ আছে। কিন্তু বাস্তবে এক হাজারের ও বেশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ নানাভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আবার অনেকেই নাম ঠিকানাবিহীন ভাসমান অবস্থায় হাতে-হাতে কাঁধে ব্যাগে বহন করে মতিঝিল, গুলশান, উত্তরা ও বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ব্যবসা করছে।

সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলি মিয়ার নির্দেশে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা এবং এর আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত্রে অভিযান চালানো অব্যাহত আছে।

সিআইডির টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় রাজধানীর গুলশান-১, রিংরোড, মোহাম্মদপুর, আশকোনা, এবি মার্কেট, উত্তরা চায়না মার্কেটে একযোগে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রাসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১৯টি দেশের মুদ্রাসহ এক কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৬ টাকা জব্দ করেছে। অভিযুক্তরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব অফিস এবং ভাসমান যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি (লাইসেন্স) ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রা কেনা-বেচা করে থাকে।

গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দিনে গড়ে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা অবৈধ কেনাবেচা করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের নাম ও ঠিকানা : আবু তালহা ওরফে তাহারাত ইসলাম তোহা। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে। তিনি জেএমসিএইচ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

আছাদুল শেখ, তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী। হাছান মোল্ল্যা, তার বাড়িও কাশিয়ানীতে। ঢাকায় বানীতে তার ঠিকানা। আবদুল কুদ্দুস। তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম। ঢাকায় বসুন্দারা আবাসিক এলাকায় তার ঠিকান।

হাসনাত এ চৌধুরী। তার বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতি। ঢাকায় আদাবরে চাঁন মিয়া হাউজিং। শামসুল হুদা চৌধুরী ওরফে রিপন। আদাবরে জাপান গার্ডেন সিটিতে তার বাসা। সুমন মিয়া, তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী এলাকায়। ঢাকায় আদাবরে শেখেরটেকে বসবাস করেন। তপন কুমার দাস। বাড়ি নড়াইলের নড়াগতি। ঢাকায় আদাবরে বসবাস করে। আবদুল কুদ্দুস। তার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী। কামরুজ্জামান রাসেল, তার বাসা রাজধানীর দক্ষিণখান ফরিদাবাদ মাদ্রাসার কাছে। মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালীর দুমকিতে তার বাড়ি। মো. নেওয়াজ বিশ্বাস তার বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতি। আবুল হাসনাত, তার বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতি। শাহজাহান সরকার, কুমিল্লায় বাহ্মণপাড়ায় তার গ্রামের বাড়ি।

গতকাল দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, সিআইডির টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর টিমের তথ্য ও সহযোগীতায় এক যোগে ৫ জন বিশেষ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা নিজস্ব অফিস ও ভ্র্যামাণ যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বাংকের অনুমতি ছাড়াই মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করত।

সিআইডি প্রধান বলেন, অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আবার সিআইডির অভিযানের কারণে অনেকেই অফিস গুটিয়ে এখন কাঁধে ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে ফোনে যোগাযোগ করে ব্যবসা করছে। যার যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা দরকার সেই পরিমাণ মুদ্রা পৌঁছে দেয়া হয়। বিনিময়ে ডলার বা অন্য বিদেশি মুদ্রার ন্যায্যমূল্যের তুলনায় বেশি টাকা নিচ্ছে।

সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, যখন কোন কাজে বা চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন তার আগে কিছু প্রসিডিউর আছে। ভিসা পাওয়ার পর তিনি দেশের যেকোন ব্যাংকে পাসপোর্ট দেখালে বিদেশি মুদ্রা পাবেন। ব্যাংক তা দিতে বাধ্য। তাহলে কেন তারা অবৈধভাবে ৮৫ থেকে ১০০ টাকার ডলার ১১৫ টাকা বা ১২০ টাকায় ক্রয় করবেন। এটা অন্যায় ও অবৈধ।

আমরা এই অবৈধ কাজকে উৎসাহিত করতে পারি না। লাগবে যখন। তখনই বৈধভাবে নেব। ব্যাংক কিংবা বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ থেকে নিব। তাহলে অবৈধভাবে গড়ে উঠা মানি এক্সচেঞ্জগুলো এমনি বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

দেশে অল্প সময়ে বেশি টাকা লাভ করার জন্য অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ বাড়ছে। ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের সোর্স ও সিআইডির সোর্সের মাধ্যমে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। মানি লন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু সিআইডি নয় সব এজেন্সি মিলেই কাজ করতে হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীর প্রশ্ন ‘মানহানিকর’, ট্রাইব্যুনালের ‘সতর্কতা’

ছবি

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

ছবি

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের দুই সাবেক কর্মকর্তা কারাগারে

জকিগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ: পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র দুঃখ প্রকাশ

ছবি

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

সিলেটে আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ছেলে আসাদ ৩ দিনের রিমান্ডে

ছবি

দেওয়ানগঞ্জ বালু মহলে অভিযান, একজনকে জরিমানা

ছবি

শাহজালালে পেটে ইয়াবা পাচার: গ্রেপ্তার পান্নু দুইদিনের রিমান্ডে

ছবি

বিরুদ্ধে ৪২ মামলা, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়’ অভিযোগ তার

ছবি

নরসিংদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

মোহাম্মদপুরে বাসে তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পিয়ন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১শ’ কোটি টাকা পাচারের মামলা

ছবি

পার্বতীপুরে ভবানীপুর-মধ্যপাড়া রেলপথের ফিসপ্লেটসহ ৬ হাজার নাটবল্টু চুরি

সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪০ জন: অধিকারের প্রতিবেদন

ছবি

‘অর্থ পাচার’: রন ও রিকের বিরুদ্ধে দুই অভিযোগপত্র দুদকের

ছবি

এস আলমের আরও ৪৬৯ একর জমি জব্দের আদেশ

ছবি

খুলনায় জোড়া খুন: ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

সোনারগাঁয়ে ডাকাতির মালামাল ভাগ নিয়ে দুই ডাকাত গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৩

ছবি

অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

পার্বতীপুরে লগি-বৈঠার নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

সিরাজদিখানে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় আমামি গ্রেপ্তার

ছবি

বাঘায় চর দখলের সংঘর্ষে গুলিতে ২ জন নিহত

ছবি

সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

ছবি

জেনেভা ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণে যুবক নিহতের মামলায় ৪ জন রিমান্ডে

ছবি

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি: ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিআইডির মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

ছবি

সোনাইমুড়ীতে মাদারাসায় ঘুমন্ত ছাত্রকে জবাই করে হত্যা, হত্যাকারী আটক

ছবি

শেওড়াপাড়ায় কিশোরী নির্যাতন: গৃহকর্ত্রী পারভীন চৌধুরীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, ফরিদপুরের সৌরভকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করলো র‍্যাব

ছবি

নির্বাচন কমিশনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’, আটক ১

ছবি

পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ছবি

হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

ছবি

৬ ভরি স্বর্ণ লুট করতে শরীয়তপুরের ওই নারীকে হত্যা করা হয়: র‌্যাব

ছবি

রাউজানে ১৮ দিনের মাথায় আরও এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

ছবি

বদলগাছীতে প্রবাসীর বাড়িতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা; আহত ২

tab

ডলারের অস্থিতিশীলতার নেপথ্য উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু : ১৪ জন গ্রেপ্তার, প্রায় ২ কোটি টাকা জব্দ

বাকী বিল্লাহ

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে অসাধু বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হওয়ার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তারা গোপনে মার্কিন ডলার মজুদ করে দাম বাড়চ্ছে। এই চক্র ৮৫ টাকার মার্কিন ডলার ১২৩ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। এর নেপথ্যে দেশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা মানি এক্সচেঞ্জের মালিক জড়িত। আবার বৈধ মানিক এক্সচেঞ্জের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ডলারের ঊর্ধগতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় সিআইডির ইতোমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সিআইডির দেয়া তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে ২৩৫টি লাইসেন্সধারী বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ আছে। কিন্তু বাস্তবে এক হাজারের ও বেশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ নানাভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আবার অনেকেই নাম ঠিকানাবিহীন ভাসমান অবস্থায় হাতে-হাতে কাঁধে ব্যাগে বহন করে মতিঝিল, গুলশান, উত্তরা ও বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ব্যবসা করছে।

সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলি মিয়ার নির্দেশে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা এবং এর আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত্রে অভিযান চালানো অব্যাহত আছে।

সিআইডির টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় রাজধানীর গুলশান-১, রিংরোড, মোহাম্মদপুর, আশকোনা, এবি মার্কেট, উত্তরা চায়না মার্কেটে একযোগে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রাসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১৯টি দেশের মুদ্রাসহ এক কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৬ টাকা জব্দ করেছে। অভিযুক্তরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব অফিস এবং ভাসমান যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি (লাইসেন্স) ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রা কেনা-বেচা করে থাকে।

গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দিনে গড়ে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা অবৈধ কেনাবেচা করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের নাম ও ঠিকানা : আবু তালহা ওরফে তাহারাত ইসলাম তোহা। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে। তিনি জেএমসিএইচ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

আছাদুল শেখ, তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী। হাছান মোল্ল্যা, তার বাড়িও কাশিয়ানীতে। ঢাকায় বানীতে তার ঠিকানা। আবদুল কুদ্দুস। তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম। ঢাকায় বসুন্দারা আবাসিক এলাকায় তার ঠিকান।

হাসনাত এ চৌধুরী। তার বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতি। ঢাকায় আদাবরে চাঁন মিয়া হাউজিং। শামসুল হুদা চৌধুরী ওরফে রিপন। আদাবরে জাপান গার্ডেন সিটিতে তার বাসা। সুমন মিয়া, তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী এলাকায়। ঢাকায় আদাবরে শেখেরটেকে বসবাস করেন। তপন কুমার দাস। বাড়ি নড়াইলের নড়াগতি। ঢাকায় আদাবরে বসবাস করে। আবদুল কুদ্দুস। তার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী। কামরুজ্জামান রাসেল, তার বাসা রাজধানীর দক্ষিণখান ফরিদাবাদ মাদ্রাসার কাছে। মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালীর দুমকিতে তার বাড়ি। মো. নেওয়াজ বিশ্বাস তার বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতি। আবুল হাসনাত, তার বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতি। শাহজাহান সরকার, কুমিল্লায় বাহ্মণপাড়ায় তার গ্রামের বাড়ি।

গতকাল দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, সিআইডির টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর টিমের তথ্য ও সহযোগীতায় এক যোগে ৫ জন বিশেষ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা নিজস্ব অফিস ও ভ্র্যামাণ যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বাংকের অনুমতি ছাড়াই মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করত।

সিআইডি প্রধান বলেন, অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আবার সিআইডির অভিযানের কারণে অনেকেই অফিস গুটিয়ে এখন কাঁধে ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে ফোনে যোগাযোগ করে ব্যবসা করছে। যার যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা দরকার সেই পরিমাণ মুদ্রা পৌঁছে দেয়া হয়। বিনিময়ে ডলার বা অন্য বিদেশি মুদ্রার ন্যায্যমূল্যের তুলনায় বেশি টাকা নিচ্ছে।

সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, যখন কোন কাজে বা চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন তার আগে কিছু প্রসিডিউর আছে। ভিসা পাওয়ার পর তিনি দেশের যেকোন ব্যাংকে পাসপোর্ট দেখালে বিদেশি মুদ্রা পাবেন। ব্যাংক তা দিতে বাধ্য। তাহলে কেন তারা অবৈধভাবে ৮৫ থেকে ১০০ টাকার ডলার ১১৫ টাকা বা ১২০ টাকায় ক্রয় করবেন। এটা অন্যায় ও অবৈধ।

আমরা এই অবৈধ কাজকে উৎসাহিত করতে পারি না। লাগবে যখন। তখনই বৈধভাবে নেব। ব্যাংক কিংবা বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ থেকে নিব। তাহলে অবৈধভাবে গড়ে উঠা মানি এক্সচেঞ্জগুলো এমনি বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

দেশে অল্প সময়ে বেশি টাকা লাভ করার জন্য অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ বাড়ছে। ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের সোর্স ও সিআইডির সোর্সের মাধ্যমে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। মানি লন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু সিআইডি নয় সব এজেন্সি মিলেই কাজ করতে হবে।

back to top