হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহুতল কার-পার্কিং এলাকায় বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আনা স্বর্ণ ও মোবাইল সেটসহ অন্যান্য পণ্য গোপনে কেনাবেচা হচ্ছে। আবার বিদেশ যাত্রীদের চুরি হওয়া কিংবা কথিত হারিয়ে যাওয়া পণ্য সংঘবদ্ধ চক্র পার্কিং এলাকায় কেনাবেচা করছে।
এমন অভিযোগে চোরাই হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া কিংবা পাচার হওয়া মালামাল উদ্ধারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশের টিম সম্প্রতি পার্কিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে। অবৈধ স্বর্ণালংকার বিমানবন্দর শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছেও হস্তান্তর করা হয়।
আজ মঙ্গলবার এয়ারপোর্ট এপিবিএন (১৩) উত্তরায় প্রধান কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আর্মড পুলিশ বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তারা বিমানবন্দর এলাকায় চোরাই, পাচার হওয়া মালামাল যেমন- স্বর্ণের বার, অলংকার, বিদেশি মোবাইল, কসমেটিক্স, জুয়েলারি, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, কাপড়, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্য উদ্ধার করে থাকে।
সম্প্রতি আর্মড পুলিশ বিমানবন্দর বহুতল পার্কিং এলাকা থেকে লুৎফর রহমান ও কাজী অনিক নামে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। তাদেরকে বিমানবন্দর এপিবিএন অফিসে নিয়ে দেহ তল্লাশি করে তিনশ ছিয়ানব্বই গ্রাম স্বর্ণালংকার, ৬টি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, একটি আই ফোন-১৩, একটি আই ফোন-১১ ও দু’টি ল্যাপটপ উদ্ধার করছে।
উদ্ধারকৃত মালামাল সম্পর্কে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারা বলেছে, সৌদি আরব থেকে আসা যাত্রী অভি আহমদ বিমানবন্দর বহুতল কার পার্কিং এলাকায় ওই সব স্বর্ণালংকার বিক্রয়ের জন্য তাদেরকে দিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যমতে, যাত্রী অভিকে এপিবিএন অফিসে হাজির করে উদ্ধারকৃত মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে, সে দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে যাত্রী অভিকে তার সব মালামালসহ বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত ২৩ মার্চ রিয়াদ থেকে আসা যাত্রী লিটন ও ফজলু বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে মালামাল সংগ্রহ করে বিমানবন্দরের ২ নম্বর আগমনী ক্যানোপিতে যান। ওই সময় তাদের কাছে থাকা ৪ পিস গোল্ডবার, যার ওজন ৪৪৪ গ্রাম এবং ১৯৮ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৬৬২ গ্রাম স্বর্ণ হারিয়ে যায়। উক্ত যাত্রীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের মালামাল না পেয়ে বিমানবন্দর এপিবিএন অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে ও পর্যবেক্ষণ করে তাদের হারানো গোল্ডবার ও স্বর্ণালংকার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর এপিবিএন অফিস থেকে তাদের স্বর্ণলংকার বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের কমান্ডিং অফিসার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তোফায়েল আহাম্মদ জানান, বিমানবন্দরে সব ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে আর্মড পুলিশ কাজ করছেন। তারা এখন স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মাদক উদ্ধার করছেন। এর আগেও একাধিক অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ, মাদকসহ অন্যান্য পণ্য উদ্ধার করছে আর্মড পুলিশের টিম।
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহুতল কার-পার্কিং এলাকায় বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আনা স্বর্ণ ও মোবাইল সেটসহ অন্যান্য পণ্য গোপনে কেনাবেচা হচ্ছে। আবার বিদেশ যাত্রীদের চুরি হওয়া কিংবা কথিত হারিয়ে যাওয়া পণ্য সংঘবদ্ধ চক্র পার্কিং এলাকায় কেনাবেচা করছে।
এমন অভিযোগে চোরাই হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া কিংবা পাচার হওয়া মালামাল উদ্ধারের দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশের টিম সম্প্রতি পার্কিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে। অবৈধ স্বর্ণালংকার বিমানবন্দর শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছেও হস্তান্তর করা হয়।
আজ মঙ্গলবার এয়ারপোর্ট এপিবিএন (১৩) উত্তরায় প্রধান কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আর্মড পুলিশ বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তারা বিমানবন্দর এলাকায় চোরাই, পাচার হওয়া মালামাল যেমন- স্বর্ণের বার, অলংকার, বিদেশি মোবাইল, কসমেটিক্স, জুয়েলারি, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, কাপড়, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্য উদ্ধার করে থাকে।
সম্প্রতি আর্মড পুলিশ বিমানবন্দর বহুতল পার্কিং এলাকা থেকে লুৎফর রহমান ও কাজী অনিক নামে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। তাদেরকে বিমানবন্দর এপিবিএন অফিসে নিয়ে দেহ তল্লাশি করে তিনশ ছিয়ানব্বই গ্রাম স্বর্ণালংকার, ৬টি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, একটি আই ফোন-১৩, একটি আই ফোন-১১ ও দু’টি ল্যাপটপ উদ্ধার করছে।
উদ্ধারকৃত মালামাল সম্পর্কে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারা বলেছে, সৌদি আরব থেকে আসা যাত্রী অভি আহমদ বিমানবন্দর বহুতল কার পার্কিং এলাকায় ওই সব স্বর্ণালংকার বিক্রয়ের জন্য তাদেরকে দিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যমতে, যাত্রী অভিকে এপিবিএন অফিসে হাজির করে উদ্ধারকৃত মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে, সে দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে যাত্রী অভিকে তার সব মালামালসহ বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত ২৩ মার্চ রিয়াদ থেকে আসা যাত্রী লিটন ও ফজলু বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে মালামাল সংগ্রহ করে বিমানবন্দরের ২ নম্বর আগমনী ক্যানোপিতে যান। ওই সময় তাদের কাছে থাকা ৪ পিস গোল্ডবার, যার ওজন ৪৪৪ গ্রাম এবং ১৯৮ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৬৬২ গ্রাম স্বর্ণ হারিয়ে যায়। উক্ত যাত্রীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের মালামাল না পেয়ে বিমানবন্দর এপিবিএন অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে ও পর্যবেক্ষণ করে তাদের হারানো গোল্ডবার ও স্বর্ণালংকার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর এপিবিএন অফিস থেকে তাদের স্বর্ণলংকার বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের কমান্ডিং অফিসার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তোফায়েল আহাম্মদ জানান, বিমানবন্দরে সব ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে আর্মড পুলিশ কাজ করছেন। তারা এখন স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মাদক উদ্ধার করছেন। এর আগেও একাধিক অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ, মাদকসহ অন্যান্য পণ্য উদ্ধার করছে আর্মড পুলিশের টিম।