ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেবেন না, এই শর্তে ঢাকা ও গাজীপুরের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭) জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রবিরোধী ও নানান উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই বছরের ৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি।
মামলায় তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলাটি করেন। একই অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
গত ১ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে এক আদেশে হাইকোর্ট বলেছেন, রফিকুল ইসলাম মাদানির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজহার যাচাই-বাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই। তবে রফিকুল ইসলাম মাদানি যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন বিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেবেন না, এই শর্তে ঢাকা ও গাজীপুরের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭) জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রবিরোধী ও নানান উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই বছরের ৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি।
মামলায় তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলাটি করেন। একই অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
গত ১ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে এক আদেশে হাইকোর্ট বলেছেন, রফিকুল ইসলাম মাদানির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজহার যাচাই-বাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই। তবে রফিকুল ইসলাম মাদানি যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন বিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।