কলেজছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে কলেজছাত্রীর সঙ্গে রাফিউল ইসলাম নামে এক যুবকের পরিচয়। পরিচয়ের সুবাধে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথাবার্তা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে। এরপর ছেলে বন্ধু মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজের বিশেষ কিছু মুহ‚র্তের ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ওই সব আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছাত্রীর ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয়। শুধু তাই না হুমকি দিয়ে বলা হয়। তার সঙ্গে ওই ছাত্রী অবাধে মেলামেশা না করলে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে ভাইরাল করে দেয়া হবে।
এই অবস্থায় ওই ছাত্রী মারাত্মকভাবে টেনশনে পড়ে। কোন উপায় না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশ (এপিবিএন-২) অফিসে লিখিত অভিযোগ করে সহায়তা চান।
ময়মনরসিংহ শহীদ স্মৃতি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ফেইসবুকে পরিচয়ের পর তারা গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা কৃষি উন্নয়ন করর্পোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যানে যায়। সেখানে রাফিউল ইসলাম ওই ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তার কিছু আপত্তিকর ছবি তোলে। এরপর এই ছবি ফাঁস করার হুমকি ও ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব দেয়। ছাত্রী তাতে রাজি না হলে তাকে মানসিকভাবে টর্চার করতে থাকে। এতে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। অবশেষে নিরুপায় হয়ে তার এক মামাত ভাইয়ের সহায়তায় বিষয়টি গত ২৫ এপ্রিল এপিবিএন-২ মুক্তাগাছা অফিসের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলি আহমদ খান বরাবর বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করেন।
এরপর এপিবিএন-২ অপস অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স শাখার নোটকৃত সাধারণ অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে ডিমট্রিম রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম (২২), পিতা রিসরাজুল ইসলাম, মুক্তাগাছায় গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত রাফিউল ঘটনার নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে এপিবিনে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শুধু তাই না তার স্বীকারোক্তি মতে, তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ধারণকৃত স্থির ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা থানায় আইনি ব্যবস্থা (মামলা দায়ের) নেয়া হয়েছে।
এপিবিএন-২ এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলি আহমদ খান গতকাল সংবাদকে জানান, বিষয়টি তারা জানার পর আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এপিবিএন-২ এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। ছাত্রীদেরকে সাইবার ব্ল্যাকমেইলসহ নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ পাইলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেন। এই ছাড়াও মানব পাচার ও মাদকবিরোধী অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া এপিবিএন-২ এর টিম অনলাইন জুয়া ও মানব পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলার গারোবাজারে যায়। ওই সময় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল অনিক নগর পার্কের মধ্যে মানব পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়।
উক্ত খবরের ভিত্তিতে এপিবিএন-২ এর টিম সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে মাদকসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে। তারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানায় মানব পাচার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কলেজছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল
বুধবার, ১০ মে ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে কলেজছাত্রীর সঙ্গে রাফিউল ইসলাম নামে এক যুবকের পরিচয়। পরিচয়ের সুবাধে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথাবার্তা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে। এরপর ছেলে বন্ধু মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজের বিশেষ কিছু মুহ‚র্তের ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ওই সব আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছাত্রীর ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয়। শুধু তাই না হুমকি দিয়ে বলা হয়। তার সঙ্গে ওই ছাত্রী অবাধে মেলামেশা না করলে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে ভাইরাল করে দেয়া হবে।
এই অবস্থায় ওই ছাত্রী মারাত্মকভাবে টেনশনে পড়ে। কোন উপায় না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশ (এপিবিএন-২) অফিসে লিখিত অভিযোগ করে সহায়তা চান।
ময়মনরসিংহ শহীদ স্মৃতি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী ফেইসবুকে পরিচয়ের পর তারা গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা কৃষি উন্নয়ন করর্পোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যানে যায়। সেখানে রাফিউল ইসলাম ওই ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তার কিছু আপত্তিকর ছবি তোলে। এরপর এই ছবি ফাঁস করার হুমকি ও ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব দেয়। ছাত্রী তাতে রাজি না হলে তাকে মানসিকভাবে টর্চার করতে থাকে। এতে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। অবশেষে নিরুপায় হয়ে তার এক মামাত ভাইয়ের সহায়তায় বিষয়টি গত ২৫ এপ্রিল এপিবিএন-২ মুক্তাগাছা অফিসের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলি আহমদ খান বরাবর বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ করেন।
এরপর এপিবিএন-২ অপস অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স শাখার নোটকৃত সাধারণ অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে ডিমট্রিম রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম (২২), পিতা রিসরাজুল ইসলাম, মুক্তাগাছায় গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত রাফিউল ঘটনার নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে এপিবিনে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শুধু তাই না তার স্বীকারোক্তি মতে, তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ধারণকৃত স্থির ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা থানায় আইনি ব্যবস্থা (মামলা দায়ের) নেয়া হয়েছে।
এপিবিএন-২ এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলি আহমদ খান গতকাল সংবাদকে জানান, বিষয়টি তারা জানার পর আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এপিবিএন-২ এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। ছাত্রীদেরকে সাইবার ব্ল্যাকমেইলসহ নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ পাইলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেন। এই ছাড়াও মানব পাচার ও মাদকবিরোধী অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া এপিবিএন-২ এর টিম অনলাইন জুয়া ও মানব পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলার গারোবাজারে যায়। ওই সময় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল অনিক নগর পার্কের মধ্যে মানব পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়।
উক্ত খবরের ভিত্তিতে এপিবিএন-২ এর টিম সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে মাদকসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে। তারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানায় মানব পাচার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।