ঘাতক স্বামী দুলালকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় দুলাখ টাকা যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় স্ত্রী সাহিদা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী দুলাল হোসেনকে বগুড়া জেলার সান্তাহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকায় র্যাব ১৩ রংপুর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানানো হয়। র্যাব ১৩ প্রধান কমান্ডার আরাফাত ইসলাম প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানান। এ সময় র্যাব ১৩ রংপুরের উর্ধতন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মুগলিবাড়ি গ্রামের ওসমান গনির ছেলে দুলাল হোসেনের সাথে সাহিদা বেগমের ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামী দুলাল হোসেন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিলো। টাকা না দেয়ায় তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। গত ১৫ এপ্রিল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী দুলাল তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে গালাগাল করে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এ সময় স্বামী দুলাল মিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী সাহিদা বেগমের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরতর আহত অবস্থায় তাকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় নিহত সাহিদা বেগমের ভাই বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে আসামী পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। র্যাব আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় অবশেষে বগুড়া জেলার শান্তাহার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে আসামী দুলাল হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় র্যাব।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ঘাতক স্বামী দুলালকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার
শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় দুলাখ টাকা যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় স্ত্রী সাহিদা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী দুলাল হোসেনকে বগুড়া জেলার সান্তাহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকায় র্যাব ১৩ রংপুর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানানো হয়। র্যাব ১৩ প্রধান কমান্ডার আরাফাত ইসলাম প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানান। এ সময় র্যাব ১৩ রংপুরের উর্ধতন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায় লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মুগলিবাড়ি গ্রামের ওসমান গনির ছেলে দুলাল হোসেনের সাথে সাহিদা বেগমের ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামী দুলাল হোসেন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিলো। টাকা না দেয়ায় তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। গত ১৫ এপ্রিল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী দুলাল তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে গালাগাল করে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এ সময় স্বামী দুলাল মিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী সাহিদা বেগমের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরতর আহত অবস্থায় তাকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় নিহত সাহিদা বেগমের ভাই বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে আসামী পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। র্যাব আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় অবশেষে বগুড়া জেলার শান্তাহার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে আসামী দুলাল হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় র্যাব।