কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পেঁয়াজের উৎপাদনশীলতা বেশি। স্বাভাবকিভাবেই মানুষের প্রশ্ন, কেন পেঁয়াজের দাম অস্বাভাববিক হয়, পেঁয়াজ নিয়ে নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়। ঈদের আগেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা নানা রকম ষড়যন্ত্র করে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়।’
দেশে পেঁয়াজের কোন সংকট নেই জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে দাম এত বেশি।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর পাবনার সুজানগর উপজেলায় বাজার ও কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ মজুতের প্রকৃত অবস্থা পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য কৃষকদের ইন্টারেস্ট। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে। কৃষকের ঘরেও যথেষ্ট মজুত আছে। পেঁয়াজের দাম এত বেশি হওয়ার যৌক্তিক কোন কারণ নেই।’ তিনি বলেন, এটা হচ্ছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে। তারা দাম বাড়াচ্ছে।
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পেঁয়াজের মজুত পর্যালোচনা করে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমি নিজে পরিদর্শন করছি এবং আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করছেন। পেঁয়াজের প্রকৃত অবস্থা বোঝার পরে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নেব।’
‘কারণ কৃষকদের দাম পেতে হবে। গত ২ বছর তারা ভালো দাম পাননি,’ বলেন রাজ্জাক।
প্রসঙ্গত, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকাগুলোর মধ্যে পাবনার সুজানগর উপজেলা অন্যতম। মন্ত্রী পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পূর্ব বনগ্রামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্মিত পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশিয় মডেল ঘর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়, নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়। পাশের দেশ ভারত থেকেই আমদানি বেশি করতে হয়, ভারত অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে, এতে চরম সংকট দেখা দেয়। সেজন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে ব্যবহৃত বিদ্যুৎকে ভর্তুকি বা কৃষি খাতে বিবেচনা করার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পেঁয়াজের উৎপাদনশীলতা বেশি। স্বাভাবকিভাবেই মানুষের প্রশ্ন, কেন পেঁয়াজের দাম অস্বাভাববিক হয়, পেঁয়াজ নিয়ে নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়। ঈদের আগেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা নানা রকম ষড়যন্ত্র করে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়।’
দেশে পেঁয়াজের কোন সংকট নেই জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে দাম এত বেশি।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর পাবনার সুজানগর উপজেলায় বাজার ও কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ মজুতের প্রকৃত অবস্থা পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য কৃষকদের ইন্টারেস্ট। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে। কৃষকের ঘরেও যথেষ্ট মজুত আছে। পেঁয়াজের দাম এত বেশি হওয়ার যৌক্তিক কোন কারণ নেই।’ তিনি বলেন, এটা হচ্ছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে। তারা দাম বাড়াচ্ছে।
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পেঁয়াজের মজুত পর্যালোচনা করে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমি নিজে পরিদর্শন করছি এবং আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করছেন। পেঁয়াজের প্রকৃত অবস্থা বোঝার পরে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নেব।’
‘কারণ কৃষকদের দাম পেতে হবে। গত ২ বছর তারা ভালো দাম পাননি,’ বলেন রাজ্জাক।
প্রসঙ্গত, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকাগুলোর মধ্যে পাবনার সুজানগর উপজেলা অন্যতম। মন্ত্রী পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পূর্ব বনগ্রামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্মিত পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশিয় মডেল ঘর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়, নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়। পাশের দেশ ভারত থেকেই আমদানি বেশি করতে হয়, ভারত অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে, এতে চরম সংকট দেখা দেয়। সেজন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে ব্যবহৃত বিদ্যুৎকে ভর্তুকি বা কৃষি খাতে বিবেচনা করার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।