প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বাংলা একাডেমি পরিদর্শন করেছেন। গতকাল ২৭ মার্চ বুধবার বেলা ২টায় তারা বাংলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ পরিদর্শন করেন এবং তাদের কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।
এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা একাডেমিতে তাদের স্বাগত জানান।
পরিদর্শন শেষে শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে একাডেমির মহাপরিচালক, সচিব, পরিচালক ও উপপরিচালকবৃন্দের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠক করেন ড. কামাল এবং নাহিদ ইজাহার। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় একই সভাকক্ষে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. কামাল বাংলা একাডেমির কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড-কে কেন্দ্রীভূত না করে তা সারাদেশের তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়া, বাংলা একাডেমির সব ধরনের প্রকাশনাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তা স্কুল, কলেজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা, বাংলা একাডেমির শূন্য পদে নিয়োগ, অমর একুশে বইমেলার আয়োজনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের নির্বাচন নিয়েও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে হবে। বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ আমরা বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারি, এজন্য বাংলা একাডেমিতে যোগদানকারীদের প্রশিক্ষণ দরকার, সম্পাদনার ক্ষেত্রে গবেষণার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প-সাহিত্যের নিরিখে যে-সব লেখার ভালো মান থাকবে সেগুলোকে অনুবাদ করতে হবে কাঙ্ক্ষিত ভাষায়। আমাদের সাহিত্যের পাশাপাশি বাহিরের সাহিত্য অনুবাদ করতে হবে।’
সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন প্রসঙ্গ আনলে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন নিয়মিত হওয়া দরকার আছে। আমাদের এমন প্রস্তাবও আছে।’
সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানোর প্রসঙ্গ আসলে তিনি বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু নীতিমালা থাকে। বাজেট খরচ করতেও জানতে হবে, যৌক্তিক বাজেট পেশ করতে হবে। বাজেট কি ভাবে বাড়ানো যায় আমরা সে বিষয়ে দেখছি। আমরা দেশের প্রত্যেকটা অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
একুশে বই মেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে আসলে তিনি বলেন,‘আমরা ভেবে দেখবো বইমেলায় আরও আর্থিক সহায়তা কীভাবে বাড়ানো যায়’।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান তার বক্তব্যে উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো প্রসঙ্গ এনে সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভার শেষে প্রান্তে বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক তার বক্তব্যে সাধারণ পরিষদের নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানান, আগামী ডিসেম্বরের আগে নির্বাচিত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বাংলা একাডেমি পরিদর্শন করেছেন। গতকাল ২৭ মার্চ বুধবার বেলা ২টায় তারা বাংলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ পরিদর্শন করেন এবং তাদের কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।
এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা একাডেমিতে তাদের স্বাগত জানান।
পরিদর্শন শেষে শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে একাডেমির মহাপরিচালক, সচিব, পরিচালক ও উপপরিচালকবৃন্দের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠক করেন ড. কামাল এবং নাহিদ ইজাহার। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় একই সভাকক্ষে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. কামাল বাংলা একাডেমির কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড-কে কেন্দ্রীভূত না করে তা সারাদেশের তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়া, বাংলা একাডেমির সব ধরনের প্রকাশনাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তা স্কুল, কলেজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা, বাংলা একাডেমির শূন্য পদে নিয়োগ, অমর একুশে বইমেলার আয়োজনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের নির্বাচন নিয়েও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে হবে। বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ আমরা বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারি, এজন্য বাংলা একাডেমিতে যোগদানকারীদের প্রশিক্ষণ দরকার, সম্পাদনার ক্ষেত্রে গবেষণার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প-সাহিত্যের নিরিখে যে-সব লেখার ভালো মান থাকবে সেগুলোকে অনুবাদ করতে হবে কাঙ্ক্ষিত ভাষায়। আমাদের সাহিত্যের পাশাপাশি বাহিরের সাহিত্য অনুবাদ করতে হবে।’
সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন প্রসঙ্গ আনলে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন নিয়মিত হওয়া দরকার আছে। আমাদের এমন প্রস্তাবও আছে।’
সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানোর প্রসঙ্গ আসলে তিনি বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু নীতিমালা থাকে। বাজেট খরচ করতেও জানতে হবে, যৌক্তিক বাজেট পেশ করতে হবে। বাজেট কি ভাবে বাড়ানো যায় আমরা সে বিষয়ে দেখছি। আমরা দেশের প্রত্যেকটা অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
একুশে বই মেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে আসলে তিনি বলেন,‘আমরা ভেবে দেখবো বইমেলায় আরও আর্থিক সহায়তা কীভাবে বাড়ানো যায়’।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান তার বক্তব্যে উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো প্রসঙ্গ এনে সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভার শেষে প্রান্তে বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক তার বক্তব্যে সাধারণ পরিষদের নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানান, আগামী ডিসেম্বরের আগে নির্বাচিত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন তিনি।