সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরও ‘একদল ব্যক্তির হুমকির মুখে’ স্থগিত করা হয়েছে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’।
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে উৎসব স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান। তিনি বলেন, “অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে, সকলের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভালোবাসায় আয়োজন করা প্রাণের নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।”
শনিবার বিকাল ৫টায় ঢাকার নাটক সরণির মহিলা সমিতি মিলনায়তনে এই উৎসব উদ্বোধনের কথা ছিল। সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। তিনটি পর্যায়ে ৮৫টি নাট্যদলের একটি করে নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা ছিল আয়োজকদের।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা সমিতিতে কিছু লোক এসে উৎসব নিয়ে আপত্তি তোলে এবং হামলার হুমকি দেয়।
উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ জানান, শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের জানান, রমনা থানা থেকে উৎসব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এরপর আয়োজকরা রমনা থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে গিয়ে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য দেন।
উৎসবের জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল আহমেদ বলেন, “মিলনায়তনে আমরা যে নাটকের প্রদর্শনী করি, তার জন্য তো পুলিশ থেকে অনুমতি নেওয়া হয় না। এখানে তো বিদেশি নাট্যদলের অংশগ্রহণও নেই। যে দলের নাটকের শো হবে, তারা নিয়মিতই নাটকের প্রদর্শনী করছে। এ ধরনের আয়োজনের জন্য পুলিশ বা সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।”
থানায় আলোচনার পর পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলে আয়োজকরা নিরাপত্তা সহযোগিতা চেয়ে একটি আবেদন জমা দেন। তবে থানার ওই বৈঠকের খবর পেয়ে ‘উত্তেজিত কিছু লোক’ মহিলা সমিতি প্রাঙ্গণে এসে উৎসবের সাজসজ্জা খুলে ফেলে বলে আয়োজকরা জানান।
কারা এই হুমকি দিয়েছে, তারা পরিচয় দিয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে কামাল আহমেদ বলেন, “বিগত দিনেও একটি নাট্যদলের নাটক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শো-এর মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং এর প্রতিবাদে নাট্যকর্মীরা যখন সমাবেশ করছিলেন, তখন নাট্যজন মামুনুর রশীদসহ উপস্থিত নাট্যকর্মীদের উপর যারা হামলা করেছিল, আজকের ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি বলে আমরা মনে করি।”
এ বিষয়ে মহিলা সমিতির একাধিক কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সমিতির দায়িত্বশীল একজন জানান, “এই উৎসবকে ঘিরে মহিলা সমিতিতে হামলার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এজন্য আমরা আয়োজকদের পরিস্থিতি জানিয়েছি। তারা উৎসব স্থগিত করেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক শনিবার দুপুরে বলেন, “আমি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলব।” পরে ফোন করা হলে তিনি আর সাড়া দেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।”
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরও ‘একদল ব্যক্তির হুমকির মুখে’ স্থগিত করা হয়েছে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’।
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে উৎসব স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান। তিনি বলেন, “অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে, সকলের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভালোবাসায় আয়োজন করা প্রাণের নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।”
শনিবার বিকাল ৫টায় ঢাকার নাটক সরণির মহিলা সমিতি মিলনায়তনে এই উৎসব উদ্বোধনের কথা ছিল। সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। তিনটি পর্যায়ে ৮৫টি নাট্যদলের একটি করে নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা ছিল আয়োজকদের।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা সমিতিতে কিছু লোক এসে উৎসব নিয়ে আপত্তি তোলে এবং হামলার হুমকি দেয়।
উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ জানান, শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের জানান, রমনা থানা থেকে উৎসব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এরপর আয়োজকরা রমনা থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে গিয়ে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য দেন।
উৎসবের জন্য পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল আহমেদ বলেন, “মিলনায়তনে আমরা যে নাটকের প্রদর্শনী করি, তার জন্য তো পুলিশ থেকে অনুমতি নেওয়া হয় না। এখানে তো বিদেশি নাট্যদলের অংশগ্রহণও নেই। যে দলের নাটকের শো হবে, তারা নিয়মিতই নাটকের প্রদর্শনী করছে। এ ধরনের আয়োজনের জন্য পুলিশ বা সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।”
থানায় আলোচনার পর পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলে আয়োজকরা নিরাপত্তা সহযোগিতা চেয়ে একটি আবেদন জমা দেন। তবে থানার ওই বৈঠকের খবর পেয়ে ‘উত্তেজিত কিছু লোক’ মহিলা সমিতি প্রাঙ্গণে এসে উৎসবের সাজসজ্জা খুলে ফেলে বলে আয়োজকরা জানান।
কারা এই হুমকি দিয়েছে, তারা পরিচয় দিয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে কামাল আহমেদ বলেন, “বিগত দিনেও একটি নাট্যদলের নাটক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শো-এর মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং এর প্রতিবাদে নাট্যকর্মীরা যখন সমাবেশ করছিলেন, তখন নাট্যজন মামুনুর রশীদসহ উপস্থিত নাট্যকর্মীদের উপর যারা হামলা করেছিল, আজকের ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি বলে আমরা মনে করি।”
এ বিষয়ে মহিলা সমিতির একাধিক কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সমিতির দায়িত্বশীল একজন জানান, “এই উৎসবকে ঘিরে মহিলা সমিতিতে হামলার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এজন্য আমরা আয়োজকদের পরিস্থিতি জানিয়েছি। তারা উৎসব স্থগিত করেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক শনিবার দুপুরে বলেন, “আমি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলব।” পরে ফোন করা হলে তিনি আর সাড়া দেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।”