শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে চারটি শর্ত মানা হলে তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ এবং শিল্পকলাকে অধীনস্ত করার প্রচেষ্টার অভিযোগ তোলেন। অনুষ্ঠান চলাকালে শিল্পকলার সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে সচিব জানান, এই পদত্যাগ গৃহীত হয়নি।
এ সময় উপস্থিত দর্শক, শিল্পী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা তাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা এবং জুলাই আন্দোলনে নিহত আনাসের মা সানজিদা খান দিপ্তীও তাকে থেকে যাওয়ার আহ্বান জানান।
পরবর্তীতে তিনি চারটি শর্ত তুলে ধরেন—
১. মন্ত্রণালয় থেকে শিল্পকলা একাডেমির কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না এবং এটি সংবাদ সম্মেলন করে জানাতে হবে।
2. শিল্পকলাকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে দিতে হবে এবং ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
3. মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ‘ফোকাল পয়েন্ট’ থাকবে না।
4. ‘আদিবাসী’ বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শিল্পকলার মহাপরিচালক হিসেবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়া জামিল আহমেদ তার বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করেন। তিনি জানান, শিল্পকলা পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও মন্ত্রণালয় বাধা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিল্পকলার সচিব ও জামিল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
জামিল আহমেদের নাট্যচর্চার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক এবং একাধিক আলোচিত মঞ্চনাটকের নির্দেশক।
শুক্রবার রাতে নাট্যোৎসবের সমাপনীতে বান্দরবানের শিল্পীরা মঞ্চস্থ করেন ‘চইংজাঃ খ্রাং (কাল্পনিক)’ নাটক। নাটক শেষে দর্শকদের কেউ কেউ তাকে ঘিরে ধরে অনুরোধ করেন, যেন তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন। তাদের অনুরোধের পরই তিনি চারটি শর্তের কথা জানান।
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে চারটি শর্ত মানা হলে তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ এবং শিল্পকলাকে অধীনস্ত করার প্রচেষ্টার অভিযোগ তোলেন। অনুষ্ঠান চলাকালে শিল্পকলার সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে সচিব জানান, এই পদত্যাগ গৃহীত হয়নি।
এ সময় উপস্থিত দর্শক, শিল্পী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা তাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা এবং জুলাই আন্দোলনে নিহত আনাসের মা সানজিদা খান দিপ্তীও তাকে থেকে যাওয়ার আহ্বান জানান।
পরবর্তীতে তিনি চারটি শর্ত তুলে ধরেন—
১. মন্ত্রণালয় থেকে শিল্পকলা একাডেমির কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না এবং এটি সংবাদ সম্মেলন করে জানাতে হবে।
2. শিল্পকলাকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে দিতে হবে এবং ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
3. মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ‘ফোকাল পয়েন্ট’ থাকবে না।
4. ‘আদিবাসী’ বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শিল্পকলার মহাপরিচালক হিসেবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়া জামিল আহমেদ তার বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করেন। তিনি জানান, শিল্পকলা পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও মন্ত্রণালয় বাধা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিল্পকলার সচিব ও জামিল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
জামিল আহমেদের নাট্যচর্চার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক এবং একাধিক আলোচিত মঞ্চনাটকের নির্দেশক।
শুক্রবার রাতে নাট্যোৎসবের সমাপনীতে বান্দরবানের শিল্পীরা মঞ্চস্থ করেন ‘চইংজাঃ খ্রাং (কাল্পনিক)’ নাটক। নাটক শেষে দর্শকদের কেউ কেউ তাকে ঘিরে ধরে অনুরোধ করেন, যেন তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন। তাদের অনুরোধের পরই তিনি চারটি শর্তের কথা জানান।