নির্বাচন ও রোজা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রোজার কারণে অমর একুশে বইমেলা এবার এগিয়ে আনা হল ডিসেম্বরে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত বইমেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার, (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা অ্যাকাডেমি।
বৃহস্পতিবার, বিকেল ৫টায় অ্যাকাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬- এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা হয়। তাতে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, অ্যাকাডেমির সচিব, পরিচালকরা এবং বাংলাদেশ পুস্তকপ্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রোজা শুরু হবে। তার আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ দুটো বিষয় মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবার, সভায় একুশে বইমেলার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে অ্যাকাডেমির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
১৯৮৩ সালে এরশাদের সময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কারণে একবার বইমেলা বন্ধ হয়েছিল। এছাড়া বইমেলা বন্ধ থাকার নজির নেই। তবে কোভিড মহামারীর সময় ২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালে বইমেলার সময় পরিবর্তন করে মার্চ মাসে নেয়া হয়েছিল।
১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা অ্যাকাডেমির ফটকে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন প্রকাশনাসংস্থা মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৪ সালে বাংলা অ্যাকাডেমির একুশের অনুষ্ঠানমালার সঙ্গে সংগতি রেখে অ্যাকাডেমির ভেতরে ছোট একটি স্টল স্থাপন করে বই বিক্রি করে মুক্তধারা। ১৯৭৭ সালে মুক্তধারার সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দেয়, সেই থেকে একুশে বইমেলার সূচনা।১৯৭৮ সালে বাংলা অ্যাকাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক
আশরাফ সিদ্দিকী অ্যাকাডেমিকে এ বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। এর পরের বছরই বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়। মনজুরে মওলা বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় ১৯৮৩ সালে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে এ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হলেও তা করা যায়নি। পরের বছর থেকে বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে সূচনা হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’।
মেলা শুরু থেকেই অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে হয়ে এলেও ধীরে ধীরে পরিসর বাড়তে থাকায় জায়গার সংকুলান হচ্ছিল না। পরে অ্যাকাডেমির সামনের সড়কেও বইমেলার স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৪ সালে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে বরাদ্দ দেয়া হয় এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে বরাদ্দ দেয়া হয় বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে। তবে মেলার মূল মঞ্চ এবং তথ্যকেন্দ্র রাখা হয় অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণেই। বিগত এক দশক ধরে বাংলা অ্যাকাডেমি এবং সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানেই হচ্ছে বইমেলা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নির্বাচন ও রোজা
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রোজার কারণে অমর একুশে বইমেলা এবার এগিয়ে আনা হল ডিসেম্বরে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত বইমেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার, (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা অ্যাকাডেমি।
বৃহস্পতিবার, বিকেল ৫টায় অ্যাকাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬- এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা হয়। তাতে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, অ্যাকাডেমির সচিব, পরিচালকরা এবং বাংলাদেশ পুস্তকপ্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রোজা শুরু হবে। তার আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ দুটো বিষয় মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবার, সভায় একুশে বইমেলার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে অ্যাকাডেমির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
১৯৮৩ সালে এরশাদের সময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কারণে একবার বইমেলা বন্ধ হয়েছিল। এছাড়া বইমেলা বন্ধ থাকার নজির নেই। তবে কোভিড মহামারীর সময় ২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালে বইমেলার সময় পরিবর্তন করে মার্চ মাসে নেয়া হয়েছিল।
১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা অ্যাকাডেমির ফটকে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন প্রকাশনাসংস্থা মুক্তধারার প্রতিষ্ঠাতা চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৪ সালে বাংলা অ্যাকাডেমির একুশের অনুষ্ঠানমালার সঙ্গে সংগতি রেখে অ্যাকাডেমির ভেতরে ছোট একটি স্টল স্থাপন করে বই বিক্রি করে মুক্তধারা। ১৯৭৭ সালে মুক্তধারার সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দেয়, সেই থেকে একুশে বইমেলার সূচনা।১৯৭৮ সালে বাংলা অ্যাকাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক
আশরাফ সিদ্দিকী অ্যাকাডেমিকে এ বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। এর পরের বছরই বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়। মনজুরে মওলা বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় ১৯৮৩ সালে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে এ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হলেও তা করা যায়নি। পরের বছর থেকে বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে সূচনা হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’।
মেলা শুরু থেকেই অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে হয়ে এলেও ধীরে ধীরে পরিসর বাড়তে থাকায় জায়গার সংকুলান হচ্ছিল না। পরে অ্যাকাডেমির সামনের সড়কেও বইমেলার স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৪ সালে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে বরাদ্দ দেয়া হয় এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে বরাদ্দ দেয়া হয় বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে। তবে মেলার মূল মঞ্চ এবং তথ্যকেন্দ্র রাখা হয় অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণেই। বিগত এক দশক ধরে বাংলা অ্যাকাডেমি এবং সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানেই হচ্ছে বইমেলা।