ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে অমর একুশে বইমেলা আয়োজন সম্ভব হবে কিনা, তা স্পষ্টভাবে এখনো জানাতে পারেনি বাংলা একাডেমি। তার আগে চলতি ডিসেম্বর মাসেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘বিজয় মেলা’ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি-বাপুস। শুধু বিজয় মেলা নয়, আন্তর্জাতিক চিলড্রেন বইমেলা, সাউথ-ইস্ট এশিয়া বইমেলাসহ ৬৪ জেলায় বইমেলা আয়োজনের ধারাবাহিক আয়োজনও করবে সংগঠনটি।
আগামী ১০-২২ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির মাঠে বিজয় বইমেলায় অংশ নেবে দেশের প্রায় ২০০ প্রকাশনা সংস্থা। সেখানে হাজারো পাঠকের সমাগম হবে, শিশু–কিশোরদের জন্য থাকবে বিশেষ আয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র, ঐতিহ্যবাহী সংগীত, লেখক-পাঠকের সরাসরি সাক্ষাতের ব্যবস্থাও থাকবে। সবকিছু মিলিয়ে বিজয় বইমেলা একটি ‘জীবন্ত, প্রাণবন্ত ও জাতীয় জীবনঘনিষ্ঠ’ আয়োজন হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (ছুটির দিন সকাল ১১টা-রাত ৯টা) মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার, (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বাংলা একাডেমির আল মাহমুদ লেখক কর্নারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজয় মেলার আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিজয় বইমেলা উদযাপন জাতীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং গ্রন্থিক প্রকাশনের প্রকাশক রাজ্জাক রুবেল।
তিনি বলেন, “বিজয় বইমেলা ২০২৫, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। বাংলাদেশের ইতিহাস, সংগ্রাম ও অর্জনের প্রতিটি অধ্যায়ে ‘বিজয়’ শব্দটি আমাদের অস্তিত্বের গভীরে নতুন চেতনা জাগ্রত করে। ডিসেম্বর মাস আমাদের কাছে শুধু স্বাধীনতার স্মরণ নয়—এটি আত্মবিশ্বাস, আত্মত্যাগ, স্বপ্ন ও পুনর্জাগরণের মাস। আর সেই চেতনাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত ‘বিজয় বইমেলা ২০২৫’ কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়; এটি বিজয়ের আলোকে বইয়ের শক্তিকে পুনরুদ্ধার করার এক অনন্য জাতীয় উদ্যোগ।”
বাপুস বলেছে, ২০২৬ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক শিশুতোষ বইমেলার আয়োজন করা হবে,
যেখানে শিশুরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বই, সংস্কৃতি ও শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে। এছাড়া ২০২৬ সালে দেশের ৬৪ জেলায় বইমেলা আয়োজন করা হবে। দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা আয়োজনের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু, কিশোর এবং সাধারণ মানুষের কাছে বই পৌঁছাতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আবুল বাশার ফিরোজ। উপস্থিত ছিলেন কাওসার আহমেদ আশিক, সাবা খালেদ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে অমর একুশে বইমেলা আয়োজন সম্ভব হবে কিনা, তা স্পষ্টভাবে এখনো জানাতে পারেনি বাংলা একাডেমি। তার আগে চলতি ডিসেম্বর মাসেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘বিজয় মেলা’ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি-বাপুস। শুধু বিজয় মেলা নয়, আন্তর্জাতিক চিলড্রেন বইমেলা, সাউথ-ইস্ট এশিয়া বইমেলাসহ ৬৪ জেলায় বইমেলা আয়োজনের ধারাবাহিক আয়োজনও করবে সংগঠনটি।
আগামী ১০-২২ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির মাঠে বিজয় বইমেলায় অংশ নেবে দেশের প্রায় ২০০ প্রকাশনা সংস্থা। সেখানে হাজারো পাঠকের সমাগম হবে, শিশু–কিশোরদের জন্য থাকবে বিশেষ আয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র, ঐতিহ্যবাহী সংগীত, লেখক-পাঠকের সরাসরি সাক্ষাতের ব্যবস্থাও থাকবে। সবকিছু মিলিয়ে বিজয় বইমেলা একটি ‘জীবন্ত, প্রাণবন্ত ও জাতীয় জীবনঘনিষ্ঠ’ আয়োজন হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (ছুটির দিন সকাল ১১টা-রাত ৯টা) মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার, (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বাংলা একাডেমির আল মাহমুদ লেখক কর্নারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজয় মেলার আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিজয় বইমেলা উদযাপন জাতীয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং গ্রন্থিক প্রকাশনের প্রকাশক রাজ্জাক রুবেল।
তিনি বলেন, “বিজয় বইমেলা ২০২৫, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। বাংলাদেশের ইতিহাস, সংগ্রাম ও অর্জনের প্রতিটি অধ্যায়ে ‘বিজয়’ শব্দটি আমাদের অস্তিত্বের গভীরে নতুন চেতনা জাগ্রত করে। ডিসেম্বর মাস আমাদের কাছে শুধু স্বাধীনতার স্মরণ নয়—এটি আত্মবিশ্বাস, আত্মত্যাগ, স্বপ্ন ও পুনর্জাগরণের মাস। আর সেই চেতনাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত ‘বিজয় বইমেলা ২০২৫’ কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়; এটি বিজয়ের আলোকে বইয়ের শক্তিকে পুনরুদ্ধার করার এক অনন্য জাতীয় উদ্যোগ।”
বাপুস বলেছে, ২০২৬ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক শিশুতোষ বইমেলার আয়োজন করা হবে,
যেখানে শিশুরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বই, সংস্কৃতি ও শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে। এছাড়া ২০২৬ সালে দেশের ৬৪ জেলায় বইমেলা আয়োজন করা হবে। দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা আয়োজনের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু, কিশোর এবং সাধারণ মানুষের কাছে বই পৌঁছাতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আবুল বাশার ফিরোজ। উপস্থিত ছিলেন কাওসার আহমেদ আশিক, সাবা খালেদ।