আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড আয়োজিত ‘অগ্রজ’-এর একাদশ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা অগ্রজ গুণী ব্যক্তিত্বরা আমন্ত্রিত হয়ে তাদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সেই ধারাবাহিকতায় ‘অগ্রজ’-এর এই পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। বরাবরের মতো দেশের ব্যাংকিং জগতের সুপরিচিত নাম আনিস এ খানের সঞ্চালনায় পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের মঞ্চনাটককে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে যে কজন গুণী ব্যক্তিত্ব অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন রামেন্দু মজুমদার তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। সাংস্কৃতিক অঙ্গণের প্রিয়মুখ রামেন্দু মজুমদার তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনজুড়ে বাংলাদেশের মঞ্চনাট্যকে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ^ পরিমন্ডলেও পরিচিতি দিতে নিরলস শ্রম দিয়েছেন।
১৯৪১ সালে লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণ করেন রামেন্দু মজুমদার। তিনি উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে অতঃপর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়-এর ইংরেজি বিভাগ থেকে অধ্যয়ন শেষে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন চৌমুহনী কলেজের অধ্যাপক হিসেবে। বছর তিনেক পর ১৯৬৭ সালে পেশা পরিবর্তন করে যুক্ত হলেন বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। ১৯৯৩ সালে তিনি নিজে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘এক্সপ্রেশানস’ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৫৮ সাল থেকেই মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় ও নির্দেশনার কাজ করতে শুরু করেন এই মানুষটি। ১৯৬১ সালে বেতারে ও ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনে নাট্যশিল্পী হিসেবে যুক্ত হন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম নাটক ‘একতলা দোতলা’য় অভিনয় করেছেন তিনি। একাত্তরের উত্তাল সময়ে রামেন্দু মজুমদার অবদান রেখেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে; বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বক্তৃতা, বিবৃতির একটি ইংরেজি সংকলন সম্পাদনা করে দিল্লি থেকে প্রকাশের কাজও করেন তিনি।
গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার দুবার দায়িত্ব পালন করেছেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) সভাপতি হিসেবে। বর্তমানে তিনি আইটিআই-এর অনারারি প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন।
‘অগ্রজ’ একটি ওয়েবিনার সিরিজ যা প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় বৃহস্পতিবার আইপিডিসি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বই অতিথিদের ব্যক্তিগত ও পেশাদারি জীবনের নানা বাঁক ও চড়াই-উৎরাই দর্শকদের সামনে তুলে আনে। লাইভ এই অনুষ্ঠানগুলো রেকর্ডকৃত রূপে আইপিডিসি’র ফেসবুক পেজ, আইপডিসি’র অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও িি.িড়মৎড়ল.পড়স.নফ এই ঠিকানায় পাওয়া যায়।
রোববার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড আয়োজিত ‘অগ্রজ’-এর একাদশ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা অগ্রজ গুণী ব্যক্তিত্বরা আমন্ত্রিত হয়ে তাদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সেই ধারাবাহিকতায় ‘অগ্রজ’-এর এই পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। বরাবরের মতো দেশের ব্যাংকিং জগতের সুপরিচিত নাম আনিস এ খানের সঞ্চালনায় পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের মঞ্চনাটককে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে যে কজন গুণী ব্যক্তিত্ব অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন রামেন্দু মজুমদার তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। সাংস্কৃতিক অঙ্গণের প্রিয়মুখ রামেন্দু মজুমদার তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনজুড়ে বাংলাদেশের মঞ্চনাট্যকে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ^ পরিমন্ডলেও পরিচিতি দিতে নিরলস শ্রম দিয়েছেন।
১৯৪১ সালে লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণ করেন রামেন্দু মজুমদার। তিনি উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে অতঃপর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়-এর ইংরেজি বিভাগ থেকে অধ্যয়ন শেষে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন চৌমুহনী কলেজের অধ্যাপক হিসেবে। বছর তিনেক পর ১৯৬৭ সালে পেশা পরিবর্তন করে যুক্ত হলেন বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। ১৯৯৩ সালে তিনি নিজে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘এক্সপ্রেশানস’ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৫৮ সাল থেকেই মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় ও নির্দেশনার কাজ করতে শুরু করেন এই মানুষটি। ১৯৬১ সালে বেতারে ও ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনে নাট্যশিল্পী হিসেবে যুক্ত হন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম নাটক ‘একতলা দোতলা’য় অভিনয় করেছেন তিনি। একাত্তরের উত্তাল সময়ে রামেন্দু মজুমদার অবদান রেখেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে; বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বক্তৃতা, বিবৃতির একটি ইংরেজি সংকলন সম্পাদনা করে দিল্লি থেকে প্রকাশের কাজও করেন তিনি।
গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার দুবার দায়িত্ব পালন করেছেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) সভাপতি হিসেবে। বর্তমানে তিনি আইটিআই-এর অনারারি প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন।
‘অগ্রজ’ একটি ওয়েবিনার সিরিজ যা প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় বৃহস্পতিবার আইপিডিসি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বই অতিথিদের ব্যক্তিগত ও পেশাদারি জীবনের নানা বাঁক ও চড়াই-উৎরাই দর্শকদের সামনে তুলে আনে। লাইভ এই অনুষ্ঠানগুলো রেকর্ডকৃত রূপে আইপিডিসি’র ফেসবুক পেজ, আইপডিসি’র অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও িি.িড়মৎড়ল.পড়স.নফ এই ঠিকানায় পাওয়া যায়।