দুই দিনব্যাপী জাতীয় নজরুল সংগীত উৎসব শেষ হয়েছে। শনিবার (১২ মার্চ) গুলশান লেক পার্কে দুই দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রাত ১০টায় এ উৎসব শেষ হয়। গত শুক্রবার বিকেলে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এদিন আলাচনায় অংশ নেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা ও কবির নাতনি খিলখিল কাজী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নজরুল সংগীত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল। এএইচএসবিসি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুবুর রহমানের পক্ষে বক্তব্য দেন আহমেদ সাইফুল ইসলাম। গুলশান সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতার ভূমিকা পালন করে এইচএসবিসি ব্যাংক।
শনিবার দুই দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে সংগীত পরিবেশনা করেন অন্তরা ভট্টাচার্য, অরুপ বিশ্বাস, আফরোজা খান মিতা, আরিফা নিশাত, ইয়াকুব আরী খান, ইলা চৌধুরী, ঐশী হালদার, করিম হাসান খান, খন্দকার আনিকা ইসলাম, গোলজার হোসেইন উজ্বল, ছন্দা চক্রবর্তী, জয়িতা অর্পা, নন্দিতা দিশা, নাশিদ কামাল, নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি, পরিতোষ ম-ল, প্রিয়াংকা গোপ, ফারহ্ দিবা খান লাবণ্য, ফেরদৌস আড়া, বিজন মিস্ত্রী, বিপুল কুমার, মাহমুদুল হাসান, মৃদুলা সমদ্দার, মুহিত খান, রূম্পা চৌধুরী, শ্রান্তী ধর, শ্রীকান্ত আচার্য, সঞ্জয় হালদার, সামিয়া সাদাফ, সিরাজুম মনিরা, সুজাতা বড়ুয়া, সুনীল সূত্রধর, সুস্মিতা গোস্বামী।
বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান শিল্পীদের সঙ্গে ছিল উভয় দেশের উদীয়মান শিল্পীদের পরিবেশনা। তারা গান ও কবিতায় মুগ্ধতা ছড়ান। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে উৎসর্গকৃত এ উৎসবে সম্পৃক্ত হন দুই দেশের শতাধিক শিল্পী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নজরুল চর্চাকে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থা ও অরুণরঞ্জনী।
শুক্রবার আলোচনার পর্বে রফিকুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করেন তার সহধর্মিণী জাহানারা ইসলাম। তিনি বলেন, মানুষটি তার সারা জীবন নজরুলের জন্য নিবেদন করে গেছেন। সে সুবাদে নজরুলের এ উৎসবের সঙ্গে মিশে থাকবে তার সেই মননশীল প্রয়াস। খিলখিল কাজী বলেন, নজরুলের গান-কবিতাকে সঙ্গী করে সমাজ থেকে দূর করতে হবে অনাচার। অমানবিকতাকে রুখে দিয়ে গাইতে হবে মানবতার জয়গান।
সাম্প্রদায়িকতার বিভাজন সরিয়ে গড়তে হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, ‘এ উৎসবের মাধ্যমে আমরা একইসঙ্গে নজরুলের গান এবং জীবনদর্শনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। জাতীয় কবিকে আমরা জাতীয়ভাবেই মূল্যায়ন করতে চাই। তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে চাই নজরুলচর্চা। পাশাপাশি এ আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের নজরুল সংগীত শিল্পীদের জন্য একটি প্লাটফর্ম গড়ার প্রয়াস নেয়া হয়েছে।’
পরিবেশনা পর্বের শুরুতে ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য হে উদার নাথ’ গানের সুরে শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালনায় পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। নাচের পর তমা সরকার শুনিয়েছেন ‘তুমি আরেকটি দিন থাকো’। তাহরিমা বতুল রিভা গেয়েছেন ‘হেমন্তিকা এসো এসো’। সুদীপ্ত দাশ শুভ পরিবেশন করেন ‘জাগো হে রুদ্র’। বর্ণালী সরকার গেয়েছেন ‘কে নিবি মালিকা’। পরের পরিবেশনায় কবিতা নিয়ে মঞ্চে আসেন সুমনা বিশ্বাস। ঐশ্বর্য সমদ্দার পরিবেশন করেন ‘ভরিয়া পরাণ শুনিতেছি গান’। সানজিদা বীথিকা শুনিয়েছেন ‘কার বাঁশরি বাজে’। রেজাউল করিমের গাওয়া গানের শিরোনাম ছিল ‘আমি যদি আরব হতাম মদিনার পথ’। ‘এল ফুলের মরসুম’ শীর্ষক সংগীত পরিবেশন করেন সাওদা সাইরা প্রাচী। সালেক হোসেনের কণ্ঠে গীত হয় ‘ওই নন্দন নন্দিনী দয়িতা’। সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করেন সামিনা হোসেন প্রেমা। সালাউদ্দিন আহমেদ পরিবেশন করেন ‘আনো সাকী সিরাজী আনো’। খিলখিল কাজীর কণ্ঠে গীত হয় ‘তোমার এ চোখ ইশারায়’। যাবিন তাসনিম রাফা গেয়েছেন ‘ফাগুন রাতের ফুলের নেশায়’। লুবাবা ইসলাম শুনিয়েছেন ‘ভীরু এ মনের কলি’। এছড়া একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের শিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় শুনিয়েছেন ‘নয়নে নিদ নাহি’। ইয়াসমিন মুশতারী শুনিয়েছেন ‘গহীন রাতে’।
রোববার, ১৩ মার্চ ২০২২
দুই দিনব্যাপী জাতীয় নজরুল সংগীত উৎসব শেষ হয়েছে। শনিবার (১২ মার্চ) গুলশান লেক পার্কে দুই দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রাত ১০টায় এ উৎসব শেষ হয়। গত শুক্রবার বিকেলে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এদিন আলাচনায় অংশ নেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা ও কবির নাতনি খিলখিল কাজী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নজরুল সংগীত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল। এএইচএসবিসি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুবুর রহমানের পক্ষে বক্তব্য দেন আহমেদ সাইফুল ইসলাম। গুলশান সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতার ভূমিকা পালন করে এইচএসবিসি ব্যাংক।
শনিবার দুই দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে সংগীত পরিবেশনা করেন অন্তরা ভট্টাচার্য, অরুপ বিশ্বাস, আফরোজা খান মিতা, আরিফা নিশাত, ইয়াকুব আরী খান, ইলা চৌধুরী, ঐশী হালদার, করিম হাসান খান, খন্দকার আনিকা ইসলাম, গোলজার হোসেইন উজ্বল, ছন্দা চক্রবর্তী, জয়িতা অর্পা, নন্দিতা দিশা, নাশিদ কামাল, নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি, পরিতোষ ম-ল, প্রিয়াংকা গোপ, ফারহ্ দিবা খান লাবণ্য, ফেরদৌস আড়া, বিজন মিস্ত্রী, বিপুল কুমার, মাহমুদুল হাসান, মৃদুলা সমদ্দার, মুহিত খান, রূম্পা চৌধুরী, শ্রান্তী ধর, শ্রীকান্ত আচার্য, সঞ্জয় হালদার, সামিয়া সাদাফ, সিরাজুম মনিরা, সুজাতা বড়ুয়া, সুনীল সূত্রধর, সুস্মিতা গোস্বামী।
বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান শিল্পীদের সঙ্গে ছিল উভয় দেশের উদীয়মান শিল্পীদের পরিবেশনা। তারা গান ও কবিতায় মুগ্ধতা ছড়ান। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে উৎসর্গকৃত এ উৎসবে সম্পৃক্ত হন দুই দেশের শতাধিক শিল্পী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নজরুল চর্চাকে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থা ও অরুণরঞ্জনী।
শুক্রবার আলোচনার পর্বে রফিকুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করেন তার সহধর্মিণী জাহানারা ইসলাম। তিনি বলেন, মানুষটি তার সারা জীবন নজরুলের জন্য নিবেদন করে গেছেন। সে সুবাদে নজরুলের এ উৎসবের সঙ্গে মিশে থাকবে তার সেই মননশীল প্রয়াস। খিলখিল কাজী বলেন, নজরুলের গান-কবিতাকে সঙ্গী করে সমাজ থেকে দূর করতে হবে অনাচার। অমানবিকতাকে রুখে দিয়ে গাইতে হবে মানবতার জয়গান।
সাম্প্রদায়িকতার বিভাজন সরিয়ে গড়তে হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, ‘এ উৎসবের মাধ্যমে আমরা একইসঙ্গে নজরুলের গান এবং জীবনদর্শনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। জাতীয় কবিকে আমরা জাতীয়ভাবেই মূল্যায়ন করতে চাই। তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে চাই নজরুলচর্চা। পাশাপাশি এ আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের নজরুল সংগীত শিল্পীদের জন্য একটি প্লাটফর্ম গড়ার প্রয়াস নেয়া হয়েছে।’
পরিবেশনা পর্বের শুরুতে ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য হে উদার নাথ’ গানের সুরে শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালনায় পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। নাচের পর তমা সরকার শুনিয়েছেন ‘তুমি আরেকটি দিন থাকো’। তাহরিমা বতুল রিভা গেয়েছেন ‘হেমন্তিকা এসো এসো’। সুদীপ্ত দাশ শুভ পরিবেশন করেন ‘জাগো হে রুদ্র’। বর্ণালী সরকার গেয়েছেন ‘কে নিবি মালিকা’। পরের পরিবেশনায় কবিতা নিয়ে মঞ্চে আসেন সুমনা বিশ্বাস। ঐশ্বর্য সমদ্দার পরিবেশন করেন ‘ভরিয়া পরাণ শুনিতেছি গান’। সানজিদা বীথিকা শুনিয়েছেন ‘কার বাঁশরি বাজে’। রেজাউল করিমের গাওয়া গানের শিরোনাম ছিল ‘আমি যদি আরব হতাম মদিনার পথ’। ‘এল ফুলের মরসুম’ শীর্ষক সংগীত পরিবেশন করেন সাওদা সাইরা প্রাচী। সালেক হোসেনের কণ্ঠে গীত হয় ‘ওই নন্দন নন্দিনী দয়িতা’। সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করেন সামিনা হোসেন প্রেমা। সালাউদ্দিন আহমেদ পরিবেশন করেন ‘আনো সাকী সিরাজী আনো’। খিলখিল কাজীর কণ্ঠে গীত হয় ‘তোমার এ চোখ ইশারায়’। যাবিন তাসনিম রাফা গেয়েছেন ‘ফাগুন রাতের ফুলের নেশায়’। লুবাবা ইসলাম শুনিয়েছেন ‘ভীরু এ মনের কলি’। এছড়া একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের শিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় শুনিয়েছেন ‘নয়নে নিদ নাহি’। ইয়াসমিন মুশতারী শুনিয়েছেন ‘গহীন রাতে’।