বাংলার আবহমানকালের প্রাণ-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, বাংলা বছরের দ্বিতীয় ঋতু বর্ষাকে মহাসমারোহে বরণ করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার (১৫ জুন) টিএসসি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সংসদ আয়োজন করে ‘আষাঢ় পার্বণ ১৪২৯’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ প্রথমবারের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কারুশিল্প মেলা আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবটি উদযাপন করে। প্রখ্যাত নাট্য ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে বর্ষার রূপের সৃষ্টি হয়েছে বলা যায় বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ বর্ষা নিয়ে যেসব লেখাজোকা করেছেন তার সবই রোমান্টিকধর্মী। বর্তমানে যারা শহরে জন্মগ্রহণ করেছে তাদের পক্ষে রবীন্দ্রনাথের সময়ের সেই গ্রামের দৃশ্য কল্পনা করা সম্ভব না বলে মনে করেন তিনি। কারণ, যখন হীন ঘন বর্ষায় মেঘ অন্ধকার হয়ে নেমে আসে তখন সূর্য দেখা যায় না তখন শুধু মন খোলা যায়। এমন দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না, তবে তার সামন্যটুকু দেখা মেলে গ্রামে।
কবি সামাদ বলেন, আমরা আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রধান দায়িত্ব। কারণ এদেশে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মাসক্তিপূর্ণ লোক এখনও রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ চর্চায় এবং দেশ ও সমাজে সম্প্রীতি বজায় রাখতে সংস্কৃতিচর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। আবহামান বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সংস্কৃতিচর্চা আরও জোরদার করার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, বর্ষা আমাদের জীবনের সাথে,আমাদের পেশার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদি বর্ষা না থাকে তাহলে ফসল হবে না,আমাদের মৎস সম্পদ হারিয়ে যাবে। যদি বর্ষা না থাকে আমাদের ভাটিয়ালি গান আমরা হারিয়ে ফেলব,আমাদের জীবনে পরিবেশের যে প্রশান্তি তাতে বিপর্যয় নামবে। আর বর্ষা রক্ষায় প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।
ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সাদিয়া আশরাফি থিজবী বলেন, সংস্কৃতির শুদ্ধ চর্চা ও বাঙালি ঐতিহ্য ধারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ সব সময়ই অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বাঙালির জীবনে বর্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। শ্যামল-বাদল জলে এই তিক্ত-মিষ্ট অভিজ্ঞতার ঋতুকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের এই আয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর ড. সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় ও টিএসসির উপদেষ্টা ড. শিকদার মনোয়ার মোর্শেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সাদিয়া আশরাফি থিজবী ও সাধারণ সম্পাদক জয় দাস।
বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
বাংলার আবহমানকালের প্রাণ-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, বাংলা বছরের দ্বিতীয় ঋতু বর্ষাকে মহাসমারোহে বরণ করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার (১৫ জুন) টিএসসি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সংসদ আয়োজন করে ‘আষাঢ় পার্বণ ১৪২৯’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ প্রথমবারের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কারুশিল্প মেলা আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবটি উদযাপন করে। প্রখ্যাত নাট্য ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে বর্ষার রূপের সৃষ্টি হয়েছে বলা যায় বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ বর্ষা নিয়ে যেসব লেখাজোকা করেছেন তার সবই রোমান্টিকধর্মী। বর্তমানে যারা শহরে জন্মগ্রহণ করেছে তাদের পক্ষে রবীন্দ্রনাথের সময়ের সেই গ্রামের দৃশ্য কল্পনা করা সম্ভব না বলে মনে করেন তিনি। কারণ, যখন হীন ঘন বর্ষায় মেঘ অন্ধকার হয়ে নেমে আসে তখন সূর্য দেখা যায় না তখন শুধু মন খোলা যায়। এমন দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না, তবে তার সামন্যটুকু দেখা মেলে গ্রামে।
কবি সামাদ বলেন, আমরা আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রধান দায়িত্ব। কারণ এদেশে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মাসক্তিপূর্ণ লোক এখনও রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ চর্চায় এবং দেশ ও সমাজে সম্প্রীতি বজায় রাখতে সংস্কৃতিচর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। আবহামান বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সংস্কৃতিচর্চা আরও জোরদার করার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, বর্ষা আমাদের জীবনের সাথে,আমাদের পেশার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদি বর্ষা না থাকে তাহলে ফসল হবে না,আমাদের মৎস সম্পদ হারিয়ে যাবে। যদি বর্ষা না থাকে আমাদের ভাটিয়ালি গান আমরা হারিয়ে ফেলব,আমাদের জীবনে পরিবেশের যে প্রশান্তি তাতে বিপর্যয় নামবে। আর বর্ষা রক্ষায় প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।
ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সাদিয়া আশরাফি থিজবী বলেন, সংস্কৃতির শুদ্ধ চর্চা ও বাঙালি ঐতিহ্য ধারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ সব সময়ই অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বাঙালির জীবনে বর্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। শ্যামল-বাদল জলে এই তিক্ত-মিষ্ট অভিজ্ঞতার ঋতুকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের এই আয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর ড. সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় ও টিএসসির উপদেষ্টা ড. শিকদার মনোয়ার মোর্শেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি সাদিয়া আশরাফি থিজবী ও সাধারণ সম্পাদক জয় দাস।