অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলা। এর আগে দুই দফায় তারিখ ঘোষণা করেও কি কারণে মেলা স্থগিত হলো এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি আয়োজকরা। গত ৯ সেপ্টেম্বর ১০দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।
কলকাতায় এই বইমেলার আয়োজনের দায়িত্বে থাকে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন। প্রথমে তাদের পক্ষ থেকে ৯ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ম বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কিন্তু ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা উপ-হাইকমিশনের বরাত দিয়ে প্রেস সেক্রেটারী রঞ্জন সেন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ‘অনিবার্য কারণ বসত’ বই মেলা স্থগিত করার বিষয়টি জানান। মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষিত তারিখের একদিন আগে আয়োজন স্থগিত হওয়ার কারণ জানানো হয়নি।
বইমেলা ৭দিন পিছিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবার কথা ছিল। সে মোতাবেক বাংলাদেশের প্রকাশকরা ১০ সেপ্টেম্বর ফেইসবুকে ঘোষণা দেয়। কিন্তু শেষ আর মেলা করতে পারেনি বাংলাদেশের প্রকাশকরা।
বাংলাদেশ সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনীর কর্ণধার ফরিদ আহমেদ সংবাদকে বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর আর্থিক সহায়তায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রতিবছর কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বই ভারতের জনগণের কাছে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিবছর অলাভজনকভাবে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়। ফরিদ আহমেদ জানান, ৯ম বইমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কোভিডের কারণে গেল দু'বছর বাংলাদেশ বইমেলা হতে পারনি।
এবার কলকাতায় বাংলাদেশের বইমেলায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। ফরিদ আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিশিষ্টজনদের বই নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রকাশকরা। কিন্তু শেষ মুহুর্তে মেলা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক।
২০১১ সাল থেকে কলকাতায় বাংলাদেশের বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর কলকাতায় বাংলাদেশের বইমেলাটি রবীন্দ্রসদন এলাকায় মোহরকুঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। সে আনুযায়ী কলকাতা উপ-হাইকমিশন ৯ থেকে সেপ্টেম্বর মোহরকুঞ্জকে উপলক্ষ করেই ১০ম বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। কিন্তু মাঠপরিচালনা কর্তৃপক্ষ তাদের ‘অভ্যন্তরীণ জটিলতার’ কারণে এবার বইমেলার জন্য মোহরকুঞ্জ মাঠের অনুমোদন দিতে অপারগ হয়। মূলত এই কারণে প্রথমবার বইমেলা স্থগিত করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বানিজ্য) শামছুল আরিফ।
পরে বইমেলা ৭দিন পিছিয়ে অন্য একটি ভেন্যুতে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার কথা ছিল। সে মোতাবেক বাংলাদেশের প্রকাশকরা ১০ সেপ্টেম্বর ফেইসবুকে ঘোষণা দেয়। নতুন উদ্যোমে মোহরকুঞ্জের পাশেই সেন্ট পল ক্যাথেড্রাল মাঠে মেলা করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই মাঠেও মেলা করতে পারেনি বাংলাদেশের প্রকাশকরা।
এ ব্যাপারে প্রথম সচিব আরিফ জানান, নতুন মাঠে বৃষ্টির জল জমে থাকার কারণে সেখানেও ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। দুই দফায় মেলা স্থগিত হওয়ায় হতবাক বাংলাদেশের প্রকাশক ও কলকাতার বইপ্রেমি পাঠক ও লেখক সমাজ। কি কারণে মেলা স্থগিত হলো, ফের কবে কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা হবে, বা আদৌ হবে কিনা-এই ধরণের কোন তথ্য জানাতে পারেনি কলকাতা উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বানিজ্য) আরিফ।
এ ব্যাপরে বুধবার কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াছের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘মাঠ সমস্যার কারণে বইমেলাটি স্থগিত করা হয়েছে আমরা খুব শিগগিরই মেলার নতুন তারিখ নির্ধারণ করবো।’ কবে নাগাদ মেলা হতে পারে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মূহুর্তে বলা সম্ভব নয়, তবে নতুন তারিখ ঠিক করে জানিয়ে দেয়া হবে।’
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল কলকাতার বাংলাদেশ বইমেলা। এর আগে দুই দফায় তারিখ ঘোষণা করেও কি কারণে মেলা স্থগিত হলো এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি আয়োজকরা। গত ৯ সেপ্টেম্বর ১০দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।
কলকাতায় এই বইমেলার আয়োজনের দায়িত্বে থাকে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন। প্রথমে তাদের পক্ষ থেকে ৯ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ম বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কিন্তু ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা উপ-হাইকমিশনের বরাত দিয়ে প্রেস সেক্রেটারী রঞ্জন সেন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ‘অনিবার্য কারণ বসত’ বই মেলা স্থগিত করার বিষয়টি জানান। মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষিত তারিখের একদিন আগে আয়োজন স্থগিত হওয়ার কারণ জানানো হয়নি।
বইমেলা ৭দিন পিছিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবার কথা ছিল। সে মোতাবেক বাংলাদেশের প্রকাশকরা ১০ সেপ্টেম্বর ফেইসবুকে ঘোষণা দেয়। কিন্তু শেষ আর মেলা করতে পারেনি বাংলাদেশের প্রকাশকরা।
বাংলাদেশ সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনীর কর্ণধার ফরিদ আহমেদ সংবাদকে বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর আর্থিক সহায়তায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রতিবছর কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার বই ভারতের জনগণের কাছে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিবছর অলাভজনকভাবে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়। ফরিদ আহমেদ জানান, ৯ম বইমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কোভিডের কারণে গেল দু'বছর বাংলাদেশ বইমেলা হতে পারনি।
এবার কলকাতায় বাংলাদেশের বইমেলায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। ফরিদ আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিশিষ্টজনদের বই নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রকাশকরা। কিন্তু শেষ মুহুর্তে মেলা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক।
২০১১ সাল থেকে কলকাতায় বাংলাদেশের বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর কলকাতায় বাংলাদেশের বইমেলাটি রবীন্দ্রসদন এলাকায় মোহরকুঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। সে আনুযায়ী কলকাতা উপ-হাইকমিশন ৯ থেকে সেপ্টেম্বর মোহরকুঞ্জকে উপলক্ষ করেই ১০ম বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। কিন্তু মাঠপরিচালনা কর্তৃপক্ষ তাদের ‘অভ্যন্তরীণ জটিলতার’ কারণে এবার বইমেলার জন্য মোহরকুঞ্জ মাঠের অনুমোদন দিতে অপারগ হয়। মূলত এই কারণে প্রথমবার বইমেলা স্থগিত করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বানিজ্য) শামছুল আরিফ।
পরে বইমেলা ৭দিন পিছিয়ে অন্য একটি ভেন্যুতে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার কথা ছিল। সে মোতাবেক বাংলাদেশের প্রকাশকরা ১০ সেপ্টেম্বর ফেইসবুকে ঘোষণা দেয়। নতুন উদ্যোমে মোহরকুঞ্জের পাশেই সেন্ট পল ক্যাথেড্রাল মাঠে মেলা করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই মাঠেও মেলা করতে পারেনি বাংলাদেশের প্রকাশকরা।
এ ব্যাপারে প্রথম সচিব আরিফ জানান, নতুন মাঠে বৃষ্টির জল জমে থাকার কারণে সেখানেও ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। দুই দফায় মেলা স্থগিত হওয়ায় হতবাক বাংলাদেশের প্রকাশক ও কলকাতার বইপ্রেমি পাঠক ও লেখক সমাজ। কি কারণে মেলা স্থগিত হলো, ফের কবে কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা হবে, বা আদৌ হবে কিনা-এই ধরণের কোন তথ্য জানাতে পারেনি কলকাতা উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বানিজ্য) আরিফ।
এ ব্যাপরে বুধবার কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াছের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘মাঠ সমস্যার কারণে বইমেলাটি স্থগিত করা হয়েছে আমরা খুব শিগগিরই মেলার নতুন তারিখ নির্ধারণ করবো।’ কবে নাগাদ মেলা হতে পারে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মূহুর্তে বলা সম্ভব নয়, তবে নতুন তারিখ ঠিক করে জানিয়ে দেয়া হবে।’