৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বুড়িগঙ্গার তীরঘেঁষা রেস্তোরাঁ বুড়িগঙ্গা রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে একত্রিত হন সুপারিশপ্রাপ্তরা।
জানা যায়, ৪৩ তম বিসিএসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশ ক্যাডারে ১ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ৪ জন, ট্যাক্স (কর) ক্যাডারে ৩ জন, নিরীক্ষা ও হিসাব, শুল্ক ও আবগারি, তথ্য, সমবায় ক্যাডারে ১ জন করে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর বাইরের বেশিরভাগই শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এসময় প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত আশফিয়া ইসলাম বলেন, যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সকল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি তাই আমাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কও তেমন গড়ে ওঠেনি। এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক হওয়ার একটা সুযোগ হয়। আমাদের ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে। ভবিষ্যতে ক্যাডার সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটবে, বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত শরীফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের মধ্যে যোগাযোগের যে স্বাভাবিক ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে এবং ভবিষ্যতের কর্মস্থলে জবিয়ানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এধরণের আয়োজন যুগান্তকারী হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে যারা আসবেন তাদের জন্য শুভকামনা, তাঁরা আরো ভালো কিছু করবেন।
বিসিএস শুল্ক এবং আবগারিতে সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদুল আলম পলাশ বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সকলে সকলকে ভালোভাবে জানতে পেরেছি, সিনিয়র-জুনিয়র সকলে একত্রিত হতে পেরেছি, সবার সাথে আলাদা ভাবে পরিচিত হতে পেরেছি যা আমাদের ভবিষ্যৎ চাকরিজীবনে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। আজকের এই ছোটো প্রোগ্রামটিই ভবিষ্যতে অনেক বড় বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পাথেয় হয়ে থাকবে।
মিলনমেলার অন্যতম উদ্যোক্তা শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ফলাফল ঘোষণার পরপরই চেষ্টা করেছি সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর আয়োজন করার। সবাই অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসছেন এবং প্রোগ্রাম সফল করার জন্য কাজ করেছেন। অনেকে উপস্থিত থাকতে পারেন নাই, ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে আরো বড় পরিসরে প্রোগ্রাম করার। এ ধরনের প্রোগ্রাম আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হবে এবং সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিবে।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            শনিবার, ০১ জুন ২০২৪
৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বুড়িগঙ্গার তীরঘেঁষা রেস্তোরাঁ বুড়িগঙ্গা রিভারভিউ রেস্টুরেন্টে একত্রিত হন সুপারিশপ্রাপ্তরা।
জানা যায়, ৪৩ তম বিসিএসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশ ক্যাডারে ১ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ৪ জন, ট্যাক্স (কর) ক্যাডারে ৩ জন, নিরীক্ষা ও হিসাব, শুল্ক ও আবগারি, তথ্য, সমবায় ক্যাডারে ১ জন করে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর বাইরের বেশিরভাগই শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এসময় প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত আশফিয়া ইসলাম বলেন, যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সকল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি তাই আমাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কও তেমন গড়ে ওঠেনি। এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক হওয়ার একটা সুযোগ হয়। আমাদের ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে। ভবিষ্যতে ক্যাডার সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটবে, বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত শরীফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের মধ্যে যোগাযোগের যে স্বাভাবিক ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে এবং ভবিষ্যতের কর্মস্থলে জবিয়ানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এধরণের আয়োজন যুগান্তকারী হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে যারা আসবেন তাদের জন্য শুভকামনা, তাঁরা আরো ভালো কিছু করবেন।
বিসিএস শুল্ক এবং আবগারিতে সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদুল আলম পলাশ বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সকলে সকলকে ভালোভাবে জানতে পেরেছি, সিনিয়র-জুনিয়র সকলে একত্রিত হতে পেরেছি, সবার সাথে আলাদা ভাবে পরিচিত হতে পেরেছি যা আমাদের ভবিষ্যৎ চাকরিজীবনে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। আজকের এই ছোটো প্রোগ্রামটিই ভবিষ্যতে অনেক বড় বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পাথেয় হয়ে থাকবে।
মিলনমেলার অন্যতম উদ্যোক্তা শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ফলাফল ঘোষণার পরপরই চেষ্টা করেছি সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর আয়োজন করার। সবাই অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসছেন এবং প্রোগ্রাম সফল করার জন্য কাজ করেছেন। অনেকে উপস্থিত থাকতে পারেন নাই, ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে আরো বড় পরিসরে প্রোগ্রাম করার। এ ধরনের প্রোগ্রাম আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হবে এবং সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিবে।