শিক্ষা প্রশাসনে বদলি নিয়ে চলছে রীতিমতো ‘তুঘলকি’ কা-। বিগত সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ‘সুবিধাজনক’ পদায়ন পাওয়া অনেকেই এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। আবার দীর্ঘদিন যারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাকরি করেছেন তাদের অনেকে নানাভাবে চেষ্টা-তদবির করেও রাজধানীতে পদায়ন পাচ্ছেন না। এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে তালিকা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অন্তত ১০৪ জন কর্মকর্তার একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিয়েছেন ঢাকার বাইরে কর্মরত থাকা একটি পক্ষ। তালিকায় দেখা গেছে, এই ১০৪ জনের কেউ টানা ১৭ বছর, কেউ ১০ বছর কেউবা পাঁচ বছর ধরে পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন। এসব কর্মকর্তাকে বদলির দাবি জানানো হয়েছে অভিযোগপত্রে। এর মধ্যে নীচের স্তরের কয়েকজনকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে।
‘দুর্নীতি ও অনিয়মের’ অভিযোগে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সালমা বেগমের শাস্তি দাবি করেছেন খাগড়াছড়ির রামগর সরকারি কলেজের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক।
এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সালমা বেগমের বিরুদ্ধে ‘জালিয়াতিসহ ঘুষ ও দুর্নীতির’ অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে ‘সুস্পষ্ট’ মতামতসহ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মাউশির মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি নোয়াখালী সরকারি কলেজে ছিলাম। ওই সময় অধ্যক্ষ অতিরিক্ত ২৩৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিলেন। আমি এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলাম। এজন্য তিনি আমাকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আখ্যায়িত করে খাগড়াছড়িতে বদলি করান। এখন আমি ওই কর্মকর্তার শাস্তি চাই। ওই অধ্যক্ষ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠ লোক।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মাউশির শীর্ষ পদগুলোতে রদবদল হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর চুক্তিতে থাকা মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ কর্র্মীদের বিরূপ আচরণের কারণে দপ্তরে আসতে পারেননি। এক পর্যায়ে সচিবের দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সটকে পড়েন।
এরপর মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীমকে মহাপরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু এই সংস্থার অন্যান্য শীর্ষ পদে অর্থাৎ পরিচালকের পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এখন ওইসব পদে বসতে চেষ্টা করছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষক, যাদের বেশিরভাগই বিগত সরকারের আমলে মাউশি, বিভিন্ন প্রকল্পসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি অধ্যাপক হওয়া বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ভোল পাল্টিয়ে এখন রাতারাতি ‘বিএনপি সমর্থক বা আওয়ামীবিরোধী’ বনে গেছেন। এ নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে এমনকি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই মাউশির দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছে-বর্তমানে এমন নজিরও আছে। অর্থাৎ সরকার বদল হলেও বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের পদপদবি বহাল রয়েছে। এই সুযোগে যাদের স্বামী বা স্ত্রী মাউশির গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন তারাও এখন একই স্টেশনে পদায়ন ভাগানোর চেষ্টা করছেন।
একটি অভিযোগে পাওয়া গেছে, বিগত সরকারের প্রায় ১৪ বছর অন্তত তিনটি প্রকল্পের উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক ছিলেন এক কর্মকর্তা। সম্প্রতি তিনি অধ্যাপক হয়েছেন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের এই শিক্ষক এখন ‘সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক অথবা মাউশির পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছেন। গত সপ্তাহে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কাছে নালিশ করেছেন মাউশির দু’জন পরিচালক।
ইইডিতেও ‘অসন্তোষ’: ‘আওয়ামী লীগ সমর্থক’ না হওয়ার অভিযোগে প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকার বাইরে চাকরি করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) ময়মনসিংহ জোন অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ আলী। নানাভাবে চেষ্টা-তদবির করেও ঢাকা ও আশপাশের সুবিধাজনক স্থানে পদায়ন পাননি বলে তিনি সংবাদকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ৯ বছর ধরে ময়মনসিংহেই আছি। অথচ আমার পরিবার ঢাকায়। আমাকে বহুবার বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা সবাই জানে। আমি এখন ঢাকায় পদায়ন চাই।’
ইইডির দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে জানিয়েছেন, ইইডির ঢাকাসহ কয়েকটি জোন অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বদলির ‘হুমকি’ দিয়ে পরে পরিস্থিতি ধামাচাপা দেয়া হয়। এর মধ্যে কয়েকজনকে ‘সুবিধাজনক’ পদায়নের আশ^াস দিয়ে ‘সমঝোতা’ করা হয়েছে বলেও ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আবার দীর্ঘদিন ঢাকার বাইরে থাকা ইইডির ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের একাধিক পক্ষ সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান কার্র্যালয়ে পদায়ন দাবি করেছেন। তাদের যুক্তি হলো-সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ‘আওয়ামী লীগবিরোধী’ সেজে পদ-পদবি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবনে মাউশি, ইইডি, বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নীরিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কার্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ইইডিতে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রদান ও পুরনো লাইসেন্স নবায়নে হয়রানি, নিয়মিত অফিস না করা এবং সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকার বাইরে কর্মরত একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সংবাদকে জানান, ইইডির ঢাকা সার্কেল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদটি খালি রয়েছে। অথচ এই পদে বসতে কাউকে চেষ্টা করারও সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি সমর্থক হওয়ায় প্রধান কার্যালয়েও দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তাকে অনেকটাই ‘কর্মহীন’ করে রাখা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা একই জায়গায় আছেন; যাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাদের পর্যায়ক্রমে বদলি করা হচ্ছে।
রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিক্ষা প্রশাসনে বদলি নিয়ে চলছে রীতিমতো ‘তুঘলকি’ কা-। বিগত সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ‘সুবিধাজনক’ পদায়ন পাওয়া অনেকেই এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। আবার দীর্ঘদিন যারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাকরি করেছেন তাদের অনেকে নানাভাবে চেষ্টা-তদবির করেও রাজধানীতে পদায়ন পাচ্ছেন না। এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে তালিকা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অন্তত ১০৪ জন কর্মকর্তার একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিয়েছেন ঢাকার বাইরে কর্মরত থাকা একটি পক্ষ। তালিকায় দেখা গেছে, এই ১০৪ জনের কেউ টানা ১৭ বছর, কেউ ১০ বছর কেউবা পাঁচ বছর ধরে পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন। এসব কর্মকর্তাকে বদলির দাবি জানানো হয়েছে অভিযোগপত্রে। এর মধ্যে নীচের স্তরের কয়েকজনকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে।
‘দুর্নীতি ও অনিয়মের’ অভিযোগে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সালমা বেগমের শাস্তি দাবি করেছেন খাগড়াছড়ির রামগর সরকারি কলেজের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক।
এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সালমা বেগমের বিরুদ্ধে ‘জালিয়াতিসহ ঘুষ ও দুর্নীতির’ অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে ‘সুস্পষ্ট’ মতামতসহ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মাউশির মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি নোয়াখালী সরকারি কলেজে ছিলাম। ওই সময় অধ্যক্ষ অতিরিক্ত ২৩৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিলেন। আমি এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলাম। এজন্য তিনি আমাকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আখ্যায়িত করে খাগড়াছড়িতে বদলি করান। এখন আমি ওই কর্মকর্তার শাস্তি চাই। ওই অধ্যক্ষ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠ লোক।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মাউশির শীর্ষ পদগুলোতে রদবদল হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর চুক্তিতে থাকা মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ কর্র্মীদের বিরূপ আচরণের কারণে দপ্তরে আসতে পারেননি। এক পর্যায়ে সচিবের দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সটকে পড়েন।
এরপর মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীমকে মহাপরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু এই সংস্থার অন্যান্য শীর্ষ পদে অর্থাৎ পরিচালকের পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এখন ওইসব পদে বসতে চেষ্টা করছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষক, যাদের বেশিরভাগই বিগত সরকারের আমলে মাউশি, বিভিন্ন প্রকল্পসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি অধ্যাপক হওয়া বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ভোল পাল্টিয়ে এখন রাতারাতি ‘বিএনপি সমর্থক বা আওয়ামীবিরোধী’ বনে গেছেন। এ নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে এমনকি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই মাউশির দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছে-বর্তমানে এমন নজিরও আছে। অর্থাৎ সরকার বদল হলেও বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের পদপদবি বহাল রয়েছে। এই সুযোগে যাদের স্বামী বা স্ত্রী মাউশির গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন তারাও এখন একই স্টেশনে পদায়ন ভাগানোর চেষ্টা করছেন।
একটি অভিযোগে পাওয়া গেছে, বিগত সরকারের প্রায় ১৪ বছর অন্তত তিনটি প্রকল্পের উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক ছিলেন এক কর্মকর্তা। সম্প্রতি তিনি অধ্যাপক হয়েছেন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের এই শিক্ষক এখন ‘সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক অথবা মাউশির পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছেন। গত সপ্তাহে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কাছে নালিশ করেছেন মাউশির দু’জন পরিচালক।
ইইডিতেও ‘অসন্তোষ’: ‘আওয়ামী লীগ সমর্থক’ না হওয়ার অভিযোগে প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকার বাইরে চাকরি করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) ময়মনসিংহ জোন অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ আলী। নানাভাবে চেষ্টা-তদবির করেও ঢাকা ও আশপাশের সুবিধাজনক স্থানে পদায়ন পাননি বলে তিনি সংবাদকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ৯ বছর ধরে ময়মনসিংহেই আছি। অথচ আমার পরিবার ঢাকায়। আমাকে বহুবার বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা সবাই জানে। আমি এখন ঢাকায় পদায়ন চাই।’
ইইডির দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে জানিয়েছেন, ইইডির ঢাকাসহ কয়েকটি জোন অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বদলির ‘হুমকি’ দিয়ে পরে পরিস্থিতি ধামাচাপা দেয়া হয়। এর মধ্যে কয়েকজনকে ‘সুবিধাজনক’ পদায়নের আশ^াস দিয়ে ‘সমঝোতা’ করা হয়েছে বলেও ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আবার দীর্ঘদিন ঢাকার বাইরে থাকা ইইডির ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের একাধিক পক্ষ সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান কার্র্যালয়ে পদায়ন দাবি করেছেন। তাদের যুক্তি হলো-সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ‘আওয়ামী লীগবিরোধী’ সেজে পদ-পদবি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবনে মাউশি, ইইডি, বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নীরিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কার্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ইইডিতে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রদান ও পুরনো লাইসেন্স নবায়নে হয়রানি, নিয়মিত অফিস না করা এবং সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকার বাইরে কর্মরত একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সংবাদকে জানান, ইইডির ঢাকা সার্কেল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদটি খালি রয়েছে। অথচ এই পদে বসতে কাউকে চেষ্টা করারও সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি সমর্থক হওয়ায় প্রধান কার্যালয়েও দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তাকে অনেকটাই ‘কর্মহীন’ করে রাখা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা একই জায়গায় আছেন; যাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাদের পর্যায়ক্রমে বদলি করা হচ্ছে।