এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন জেলার বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর শিক্ষা ভবনে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিক্ষককে এমপিওভুক্তির দাবি জানানো হয়। এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকরা গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কলেজ শিক্ষক মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানিয়েছেন, পুলিশের সহায়তায় ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার অফিসে গেছেন। সরকার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এমপিওভুক্তির বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে তারা আশা করছেন। যদি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির কোনো ‘সিদ্ধান্ত’ না আসে তাহলে লাগাতার অবস্থা কর্মসূচি চলবে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাউশির সামনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা শিক্ষা ভবনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। কেউ কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েন এবং রাস্তা অবরোধ করেন।
এর আগের দিনও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে রাত পৌনে ১০টার দিকে রাস্তা ছেড়ে যান শিক্ষকরা।
বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স ফেডারেশনের সভাপতি নেকবর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মেহরাব আলী জানিয়েছেন, বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা প্রায় ৩২ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন। কলেজ থেকে নামমাত্র টাকা দেয়া হয় যা অনিয়মিত।
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে বিগত সরকারের সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এমপিওভুক্তির জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও ‘আমলারা রহস্যজনক’ কারণে কোনো পতক্ষেপ নেয়নি।
নেকবর হোসেন জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘রাজনৈতিক রোষানলে’ পড়ে ৩২ বছর ধরে তারা কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। অথচ একই কলেজে ‘অভিন্ন প্রক্রিয়ায়’ নিয়োগ পেয়ে ইন্টারমেডিয়েট স্তরের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছে, প্রচলিত জনবলকাঠামোতে না থাকার পরও ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় পদের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছে, মাদ্রাসায় কামিল স্তরের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন এবং সম্প্রতি শেখ পরিবারের নামে সঙ্গে সর্ম্পকিত ও রাজনৈতিক বিবেচনায় ৩০৩টি জাতীয়করণকৃত কলেজে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষককে আতœীকৃত করা হয়েছে দাবি করেন নেকবর হোসেন।
২৬২টি বেসরকারি কলেজের প্রায় তিন হাজার ৫শ’ শিক্ষককে ‘নন-এমপিও’ নামের ‘আড়ালে বেতনবিহীন’ রাখা হয়েছে দাবি করে শিক্ষকরা জানান, এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। বেতনভাতা না পেয়ে শিক্ষকরা ‘মানবেতর জীবনযাপন’ করছেন।
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন জেলার বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর শিক্ষা ভবনে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিক্ষককে এমপিওভুক্তির দাবি জানানো হয়। এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকরা গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কলেজ শিক্ষক মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানিয়েছেন, পুলিশের সহায়তায় ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার অফিসে গেছেন। সরকার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এমপিওভুক্তির বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে তারা আশা করছেন। যদি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির কোনো ‘সিদ্ধান্ত’ না আসে তাহলে লাগাতার অবস্থা কর্মসূচি চলবে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাউশির সামনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা শিক্ষা ভবনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। কেউ কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েন এবং রাস্তা অবরোধ করেন।
এর আগের দিনও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে রাত পৌনে ১০টার দিকে রাস্তা ছেড়ে যান শিক্ষকরা।
বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স ফেডারেশনের সভাপতি নেকবর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মেহরাব আলী জানিয়েছেন, বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা প্রায় ৩২ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন। কলেজ থেকে নামমাত্র টাকা দেয়া হয় যা অনিয়মিত।
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে বিগত সরকারের সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এমপিওভুক্তির জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও ‘আমলারা রহস্যজনক’ কারণে কোনো পতক্ষেপ নেয়নি।
নেকবর হোসেন জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘রাজনৈতিক রোষানলে’ পড়ে ৩২ বছর ধরে তারা কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। অথচ একই কলেজে ‘অভিন্ন প্রক্রিয়ায়’ নিয়োগ পেয়ে ইন্টারমেডিয়েট স্তরের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছে, প্রচলিত জনবলকাঠামোতে না থাকার পরও ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় পদের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছে, মাদ্রাসায় কামিল স্তরের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন এবং সম্প্রতি শেখ পরিবারের নামে সঙ্গে সর্ম্পকিত ও রাজনৈতিক বিবেচনায় ৩০৩টি জাতীয়করণকৃত কলেজে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষককে আতœীকৃত করা হয়েছে দাবি করেন নেকবর হোসেন।
২৬২টি বেসরকারি কলেজের প্রায় তিন হাজার ৫শ’ শিক্ষককে ‘নন-এমপিও’ নামের ‘আড়ালে বেতনবিহীন’ রাখা হয়েছে দাবি করে শিক্ষকরা জানান, এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। বেতনভাতা না পেয়ে শিক্ষকরা ‘মানবেতর জীবনযাপন’ করছেন।