জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের আবাসন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে এই ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এলাকায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে স্থায়ী হল নির্মাণের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই অস্থায়ী আবাসন সুবিধা পাবেন। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে সই করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির আহমাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আস-সুন্নাহর চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম।
শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, “আমরা ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিকভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধাও দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে ১০০ কম্পিউটার বিশিষ্ট একটি ল্যাব থাকবে। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে।”
শুরুতে ছেলেদের জন্য আবাসন সুবিধা চালু করা হলেও অচিরেই মেয়েদের জন্যও হলের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। ভবিষ্যতে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েছে ফাউন্ডেশন।
অস্থায়ী আবাসনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে উল্লেখ করে আহমাদুল্লাহ বলেন, “হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, “আবাসন সংকট সমাধানে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা ছিল। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এগিয়ে আসায় আমরা কৃতজ্ঞ।”
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তেঘরিয়ার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এর দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করলেও এখনো তেমন অগ্রগতি হয়নি।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে আন্দোলনের সংগঠক একেএম রাকিব বলেন, “এটি ইতিবাচক উদ্যোগ হলেও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে প্রশাসনের গতি আনতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের আবাসন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে এই ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এলাকায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে স্থায়ী হল নির্মাণের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই অস্থায়ী আবাসন সুবিধা পাবেন। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে সই করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাব্বির আহমাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আস-সুন্নাহর চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম।
শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, “আমরা ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিকভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধাও দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে ১০০ কম্পিউটার বিশিষ্ট একটি ল্যাব থাকবে। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে।”
শুরুতে ছেলেদের জন্য আবাসন সুবিধা চালু করা হলেও অচিরেই মেয়েদের জন্যও হলের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। ভবিষ্যতে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েছে ফাউন্ডেশন।
অস্থায়ী আবাসনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে উল্লেখ করে আহমাদুল্লাহ বলেন, “হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, “আবাসন সংকট সমাধানে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা ছিল। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এগিয়ে আসায় আমরা কৃতজ্ঞ।”
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তেঘরিয়ার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এর দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করলেও এখনো তেমন অগ্রগতি হয়নি।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে আন্দোলনের সংগঠক একেএম রাকিব বলেন, “এটি ইতিবাচক উদ্যোগ হলেও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে প্রশাসনের গতি আনতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।