alt

চার বছর পর ৬ লাখ শিক্ষার্র্থীর বৃত্তির বকেয়া টাকা ছাড়

রাকিব উদ্দিন : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে ছয় লাখের বেশি শিক্ষার্থী বৃত্তি ও উপবৃত্তির ‘বকেয়া’ টাকা ছাড় করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের মধ্যে বৃত্তি ও উপবৃত্তির বকেয়া অর্থ শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

তবে চার বছর আটকে থাকা বৃত্তি ও উপবৃত্তির বকেয়া টাকা দেয়ার অনুমতি মিললেও অনেক শিক্ষার্থীর ‘খোঁজ’ বা হদিস নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ব্যাংক একাউন্টের ‘ডিজিটাল সমস্যার’ কারণে বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা ছাড়ে জটিলতা হয়েছিল; যা এখনও পুরোপুরি নিরসন হয়নি।

মাউশির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইএফটি (ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বৃত্তি ও উপবৃত্তির কোনো বকেয়া দেয়া হয়নি। ওই অর্থবছরে কতজন শিক্ষার্থীর বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা বকেয়া ছিল সেই তথ্য প্রতিবেদনে উঠে আসেনি।

মাউশির দু’জন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তির বকেয়া টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে মাউশিতে নানাভাবে চেষ্টা, তদবির ও আবেদন করেছে। কিন্তু সংস্থার সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার ‘গাফিলতি’ ও ‘স্বেচ্ছাচারিতার’ কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে সম্প্রতি একটি বিশেষ সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ‘সন্তানের’ তদবিরে বৃত্তির বকেয়া টাকা দেয়ার প্রক্রিয়া দ্রƒত নিস্পত্তি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাউশি জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮১ জন শিক্ষার্থীর (ইএফটি) ১১৩ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৩৬০ টাকা বকেয়া ছিল। ওই টাকা আর শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি।

২০২১-২২ অর্থবছরেও বকেয়া প্রদান করা হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ২২১ জন শিক্ষার্র্থীর বকেয়া বৃত্তি (সাধারণ শিক্ষা) ছিল ১৯ কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩০ টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চার হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থীর বকেয়া (মাদ্রাসা) ছিল চার কোটি আট লাখ ৬২ হাজার ৭৯৫ টাকা। সর্বমোট ১৩৬ কোটি ৩৫ লাখ সাত হাজার ৯৮৫ টাকা বৃত্তির বকেয়া রয়েছে।

বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা বিতরণ না হওয়ার কারণ সর্ম্পকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ও পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়া, করোনা মহামারী এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এন্ট্রিকৃত তথ্যে গড়মিল ও সাধারণ শিক্ষার বকেয়া প্রদানের অনুমতি না পাওয়ায় বিতরণ কম হয়েছে।

এছাড়া বৃত্তির কার্যক্রম ম্যানুয়াল সিস্টেমের পরিবর্তে অনলাইনে বৃত্তির অর্থ ইএফটি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বিতরণ কম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। মাউশির গত ২ অক্টোবর মাউশির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিভিন্ন পরীক্ষায় বৃত্তি/উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি/সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বকেয়ার পরিমাণ পরিবর্তিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতোপূর্বে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রেরিত প্রস্তাবের পরে তথ্যগত পরিবর্তন হওয়ায় চলমান ২০২৪-২৫ অর্থবছর মাউশি অধিদপ্তরের বৃত্তি/উপবৃত্তি কোডে বরাদ্দকৃত টাকার উদ্বৃত্ত অর্থ হতে ২০১৯-২০ তেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা/ক্যাটাগরির বৃত্তি/উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনুকূলে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের অনুমতি প্রয়োজন।’

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য অধ্যায়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এন্ট্রি সম্পাদন করা হয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এক্ষেত্রে যথাসময়ে এন্ট্রি না হওয়া, এন্ট্রিকৃত তথ্যের বৃত্তি সংক্রান্ত তথ্যে ভুল, ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্যে ভুল থাকা, একই বৃত্তির বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীর একাধিক এন্ট্রিসহ মাউশি প্রদত্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর বৃত্তির অর্থ যথাসময়ে তাদের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা সম্ভব হয় না।

পরবর্তীতে তথ্য সঠিকভাবে এন্ট্রি/সংশোধন করা হলে সেসব শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী অর্থবছরসমূহের প্রাপ্যতা বকেয়া হিসাবে গণ্য হয়। অর্থ না পাওয়া কতজন শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি/সংশোধন হবে এবং বকেয়া হিসাবে প্রাপ্যতা তৈরি হবে তা জানা যায় না বিধায় অর্থবছরের শেষদিকে স্কিমের (প্রকল্প অফিস) মাধ্যমে বকেয়ার হিসাব না করা পর্যন্ত চূড়ান্ত চাহিদা প্রস্তুত করা সম্ভব হয় না।’

গত ১১ ডিসেম্বর মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীম মাঠ পর্র্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানকের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে বৃত্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি/সংশোধন করার জন্য বলা হলেও প্রতিষ্ঠান থেকে এন্ট্রিকৃত তথ্যে ব্যাংক সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুলের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর বৃত্তির অর্থ ইএফটিতে ‘বাউন্সড’ বা ফেরত আসছে। ফলে সকল শিক্ষার্থীর বৃত্তির অর্থ তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি।’ নির্দেশনায় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তথ্য সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।

ছবি

সিরাজগঞ্জে ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

ছবি

ইডেন ও বদরুন্নেসায় ‘সহশিক্ষা’ চালুর প্রস্তাব বাতিলের দাবি

আজ থেকে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ‘হাতাহাতি’: সরকারি কলেজগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

ছবি

এমআইএসটির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

ছবি

এইচএসসির ফল ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে

দুর্গাপূজার ছুটি শেষে খুলেছে স্কুল, রোববার থেকে কলেজ

ছবি

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২-৩ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

১২ ডিসেম্বর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

ছবি

শিক্ষক দিবসে নারায়ণগঞ্জে ৫ শিক্ষককে সন্মাননা দেয়া হয়েছে

ছবি

এমপিও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়লো ৫০০ টাকা, প্রত্যাখান

ছবি

ইউজিসি সদস্য হলেন চাবিপ্রবি উপাচার্য

ছবি

শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের হার্টে অস্ত্রোপচার

ছবি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান-সহকারী প্রধান নিয়োগেও নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সরকার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যেই

ছবি

স্বাতন্ত্র্য ও শিক্ষার উন্নয়নে ‘অক্সফোর্ড মডেলে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাত কলেজের শিক্ষকদের

ছবি

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর

ছবি

জরিপ: পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের, ভোট দিতে চান ৯৪ শতাংশ

ছবি

এসএসসি পরীক্ষায় ১৪০টি ভেন্যু কেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল করছে যশোর বোর্ড

ছবি

র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়!

ছবি

ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি: কাউন্সিল নিয়ে কর্তৃত্বের ‘দ্বন্দ্ব’

ছবি

ডিমলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রক্সি দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

৪৭তম বিসিএস: পৌনে চার লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রিলিমিনারি সম্পন্ন

ছবি

ঢাকার ৭ সরকারি কলেজ: উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষা সংকোচন, কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো বিলুপ্তির চেষ্টার অভিযোগ

ছবি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১ দিনের লম্বা ছুটিতে স্কুল-কলেজ

ছবি

তৃতীয় আবেদনেও কলেজ পায়নি জিপিএ-৫ পাওয়া ২৯৫ জনসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই: প্রাথমিকের বই ছাপা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

ছবি

ঢাকা কলেজ অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত

ছবি

এসএসসি ২০২৬: নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত, অনিয়মিতদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস

ছবি

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু

ছবি

এসএসসি খাতা মূল্যায়নে অবহেলা, কালো তালিকায় ৭১ শিক্ষক

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে গেল সাত কলেজ

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার্থী তৈরি করছে: উপাচার্য

tab

চার বছর পর ৬ লাখ শিক্ষার্র্থীর বৃত্তির বকেয়া টাকা ছাড়

রাকিব উদ্দিন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে ছয় লাখের বেশি শিক্ষার্থী বৃত্তি ও উপবৃত্তির ‘বকেয়া’ টাকা ছাড় করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের মধ্যে বৃত্তি ও উপবৃত্তির বকেয়া অর্থ শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

তবে চার বছর আটকে থাকা বৃত্তি ও উপবৃত্তির বকেয়া টাকা দেয়ার অনুমতি মিললেও অনেক শিক্ষার্থীর ‘খোঁজ’ বা হদিস নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ব্যাংক একাউন্টের ‘ডিজিটাল সমস্যার’ কারণে বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা ছাড়ে জটিলতা হয়েছিল; যা এখনও পুরোপুরি নিরসন হয়নি।

মাউশির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইএফটি (ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বৃত্তি ও উপবৃত্তির কোনো বকেয়া দেয়া হয়নি। ওই অর্থবছরে কতজন শিক্ষার্থীর বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা বকেয়া ছিল সেই তথ্য প্রতিবেদনে উঠে আসেনি।

মাউশির দু’জন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদকে জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তির বকেয়া টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে মাউশিতে নানাভাবে চেষ্টা, তদবির ও আবেদন করেছে। কিন্তু সংস্থার সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার ‘গাফিলতি’ ও ‘স্বেচ্ছাচারিতার’ কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে সম্প্রতি একটি বিশেষ সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ‘সন্তানের’ তদবিরে বৃত্তির বকেয়া টাকা দেয়ার প্রক্রিয়া দ্রƒত নিস্পত্তি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাউশি জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮১ জন শিক্ষার্থীর (ইএফটি) ১১৩ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৩৬০ টাকা বকেয়া ছিল। ওই টাকা আর শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়নি।

২০২১-২২ অর্থবছরেও বকেয়া প্রদান করা হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ২২১ জন শিক্ষার্র্থীর বকেয়া বৃত্তি (সাধারণ শিক্ষা) ছিল ১৯ কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩০ টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চার হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থীর বকেয়া (মাদ্রাসা) ছিল চার কোটি আট লাখ ৬২ হাজার ৭৯৫ টাকা। সর্বমোট ১৩৬ কোটি ৩৫ লাখ সাত হাজার ৯৮৫ টাকা বৃত্তির বকেয়া রয়েছে।

বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা বিতরণ না হওয়ার কারণ সর্ম্পকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ও পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়া, করোনা মহামারী এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এন্ট্রিকৃত তথ্যে গড়মিল ও সাধারণ শিক্ষার বকেয়া প্রদানের অনুমতি না পাওয়ায় বিতরণ কম হয়েছে।

এছাড়া বৃত্তির কার্যক্রম ম্যানুয়াল সিস্টেমের পরিবর্তে অনলাইনে বৃত্তির অর্থ ইএফটি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বিতরণ কম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। মাউশির গত ২ অক্টোবর মাউশির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিভিন্ন পরীক্ষায় বৃত্তি/উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি/সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বকেয়ার পরিমাণ পরিবর্তিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতোপূর্বে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রেরিত প্রস্তাবের পরে তথ্যগত পরিবর্তন হওয়ায় চলমান ২০২৪-২৫ অর্থবছর মাউশি অধিদপ্তরের বৃত্তি/উপবৃত্তি কোডে বরাদ্দকৃত টাকার উদ্বৃত্ত অর্থ হতে ২০১৯-২০ তেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা/ক্যাটাগরির বৃত্তি/উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনুকূলে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের অনুমতি প্রয়োজন।’

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য অধ্যায়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এন্ট্রি সম্পাদন করা হয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এক্ষেত্রে যথাসময়ে এন্ট্রি না হওয়া, এন্ট্রিকৃত তথ্যের বৃত্তি সংক্রান্ত তথ্যে ভুল, ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্যে ভুল থাকা, একই বৃত্তির বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীর একাধিক এন্ট্রিসহ মাউশি প্রদত্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর বৃত্তির অর্থ যথাসময়ে তাদের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা সম্ভব হয় না।

পরবর্তীতে তথ্য সঠিকভাবে এন্ট্রি/সংশোধন করা হলে সেসব শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী অর্থবছরসমূহের প্রাপ্যতা বকেয়া হিসাবে গণ্য হয়। অর্থ না পাওয়া কতজন শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি/সংশোধন হবে এবং বকেয়া হিসাবে প্রাপ্যতা তৈরি হবে তা জানা যায় না বিধায় অর্থবছরের শেষদিকে স্কিমের (প্রকল্প অফিস) মাধ্যমে বকেয়ার হিসাব না করা পর্যন্ত চূড়ান্ত চাহিদা প্রস্তুত করা সম্ভব হয় না।’

গত ১১ ডিসেম্বর মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীম মাঠ পর্র্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানকের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে বৃত্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি/সংশোধন করার জন্য বলা হলেও প্রতিষ্ঠান থেকে এন্ট্রিকৃত তথ্যে ব্যাংক সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুলের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর বৃত্তির অর্থ ইএফটিতে ‘বাউন্সড’ বা ফেরত আসছে। ফলে সকল শিক্ষার্থীর বৃত্তির অর্থ তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি।’ নির্দেশনায় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তথ্য সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।

back to top