একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে নবম ও দশম শ্রেণীর ‘বাংলা ব্যাকরণ’ বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সংস্থার ওয়েবসাইটে দেয়া বইয়ের অনলাইন ভার্সনে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দিয়ে সেখানে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে।
তবে ‘বাংলা ব্যাকরণ’ বইয়ের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহাল এবং দেশের ‘আদিবাসীদের’ সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় পাহাড়ের আঞ্চলিক ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সমর্থিত এই ছাত্র সংগঠন।
এনসিটিবি থেকে জানা গেছে, নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ থাকা একটি গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দটি বাদ দেয়াসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন।
সংগঠনটির ব্যানারে গত ১২ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে একদল শিক্ষার্থী। পরে এনসিটিবি কর্মকর্তারা তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা চলে যান।
‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির’ যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইয়াকুব মজুমদার বলেন, এনসিটিবি ঘেরাওয়ের পর সেখানে আসেন সংস্থার সদস্য রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি শিক্ষার্থীদের ‘আশ্বস্ত’ করেছিলেন যে, ‘শব্দটা আজকে সরিয়ে দেয়া হবে। তারা সংশোধন করায় ধন্যবাদ।’ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন ইয়াকুব মজুমদার।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান সংবাদকে বলেছেন, ‘খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ৪৪১টি বই পরিমার্জন করেছি। এতে কিছু ভুল থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এরপরও যেসব ত্রুটি শনাক্ত হচ্ছে সেগুলি দ্রুতই সমাধান করা হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাপানো বইয়ে নতুন গ্রাফিতি থাকবে। অনলাইনে ইতোমধ্যে আমরা পরিবর্তন করে দিয়েছি।’ এ গ্রাফিতি কীভাবে যুক্ত করা হলো সেটি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনে একটি গাছে পাঁচটি পাতা। তার প্রত্যেকটিতে বিভিন্ন ধর্মের নাম লেখা। বাম দিক থেকে পর্যায়ক্রমে লেখা আদিবাসী, বৌদ্ধ, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান। গাছটির পাশে বড় অক্ষরে লেখা ‘পাতা ছেড়া নিষেধ’।
এই গ্রাফিতি সরিয়ে সেখানে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে, তাতে কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘বল বীর/ চির উন্নত/ মম শির’ লেখা রয়েছে।
‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহালের দাবি
নবম-দশম শ্রেণীর ‘বাংলা ব্যাকরণ’ বইয়ের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহাল এবং দেশের ‘আদিবাসীদের’ সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে এ দাবি জানায় পাহাড়ের আঞ্চলিক ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সমর্থিত এই ছাত্র সংগঠনের নেতারা। জেলা সদরে মধুপুরের সাংগঠনিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কলিন চাকমা।
তিনি বলেন, ‘রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নামধারী ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামক সংগঠনের দাবির মুখে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে দেয়া অনলাইন ভার্সনে (পিডিএফ) দেখা যায় গ্রাফিতিটি বাদ দিয়ে নতুন আরেকটি গ্রাফিতি যোগ করা হয়।’
কলিন চাকমা বাদ দেয়া আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহাল এবং আদিবাসীদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য পাঠ্যপুস্তকে বিশদভাবে লিপিবদ্ধ করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক বিজয় চাকমা, পিসিপির মহিলা কলেজে শাখার সভাপতি প্রীতি চাকমা।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে নবম ও দশম শ্রেণীর ‘বাংলা ব্যাকরণ’ বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সংস্থার ওয়েবসাইটে দেয়া বইয়ের অনলাইন ভার্সনে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দিয়ে সেখানে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে।
তবে ‘বাংলা ব্যাকরণ’ বইয়ের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহাল এবং দেশের ‘আদিবাসীদের’ সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় পাহাড়ের আঞ্চলিক ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সমর্থিত এই ছাত্র সংগঠন।
এনসিটিবি থেকে জানা গেছে, নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ থাকা একটি গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দটি বাদ দেয়াসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন।
সংগঠনটির ব্যানারে গত ১২ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে একদল শিক্ষার্থী। পরে এনসিটিবি কর্মকর্তারা তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা চলে যান।
‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির’ যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইয়াকুব মজুমদার বলেন, এনসিটিবি ঘেরাওয়ের পর সেখানে আসেন সংস্থার সদস্য রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি শিক্ষার্থীদের ‘আশ্বস্ত’ করেছিলেন যে, ‘শব্দটা আজকে সরিয়ে দেয়া হবে। তারা সংশোধন করায় ধন্যবাদ।’ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন ইয়াকুব মজুমদার।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান সংবাদকে বলেছেন, ‘খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ৪৪১টি বই পরিমার্জন করেছি। এতে কিছু ভুল থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এরপরও যেসব ত্রুটি শনাক্ত হচ্ছে সেগুলি দ্রুতই সমাধান করা হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাপানো বইয়ে নতুন গ্রাফিতি থাকবে। অনলাইনে ইতোমধ্যে আমরা পরিবর্তন করে দিয়েছি।’ এ গ্রাফিতি কীভাবে যুক্ত করা হলো সেটি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনে একটি গাছে পাঁচটি পাতা। তার প্রত্যেকটিতে বিভিন্ন ধর্মের নাম লেখা। বাম দিক থেকে পর্যায়ক্রমে লেখা আদিবাসী, বৌদ্ধ, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান। গাছটির পাশে বড় অক্ষরে লেখা ‘পাতা ছেড়া নিষেধ’।
এই গ্রাফিতি সরিয়ে সেখানে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে, তাতে কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘বল বীর/ চির উন্নত/ মম শির’ লেখা রয়েছে।
‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহালের দাবি
নবম-দশম শ্রেণীর ‘বাংলা ব্যাকরণ’ বইয়ের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহাল এবং দেশের ‘আদিবাসীদের’ সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে এ দাবি জানায় পাহাড়ের আঞ্চলিক ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সমর্থিত এই ছাত্র সংগঠনের নেতারা। জেলা সদরে মধুপুরের সাংগঠনিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কলিন চাকমা।
তিনি বলেন, ‘রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নামধারী ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামক সংগঠনের দাবির মুখে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে দেয়া অনলাইন ভার্সনে (পিডিএফ) দেখা যায় গ্রাফিতিটি বাদ দিয়ে নতুন আরেকটি গ্রাফিতি যোগ করা হয়।’
কলিন চাকমা বাদ দেয়া আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহাল এবং আদিবাসীদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য পাঠ্যপুস্তকে বিশদভাবে লিপিবদ্ধ করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক বিজয় চাকমা, পিসিপির মহিলা কলেজে শাখার সভাপতি প্রীতি চাকমা।