তদন্তে এগিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, পরিবারের কেউ সন্দেহ করছেন না
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকারকে (২৬) গুলি করে হত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, তবে এখনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পায়নি। অর্ণবের পরিবারও কোনো নির্দিষ্ট সন্দেহভাজনের কথা জানায়নি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ঘটনার পরই সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তবে তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনার তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণব কুমার সরকারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি চায়ের দোকানের সামনে মোটরসাইকেলে হেলান দিয়ে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
একটি গুলি অর্ণবের মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে তিনটি পিস্তলের গুলি ও একটি শটগানের গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অর্ণবের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রাজনগর গ্রামে। তাঁর পরিবার ১৫ বছর ধরে খুলনার বানরগাতি ইসলাম কমিশনার মোড় এলাকায় বসবাস করছে। তাঁর বাবা নীতীশ চন্দ্র সরকার একজন ঠিকাদার। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার ব্যবসার দেখাশোনা করতেন অর্ণব।
শনিবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যান।
অর্ণবের মা দীপিকা সরকার এখনও বুঝতে পারেননি যে তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। স্বজনরা তাঁকে বলেছে, এটি একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। দীপিকা বিলাপ করতে করতে বলছিলেন, “বাবা, তুই কেন মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলি!”
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অর্ণবের শরীরে বেশ কয়েকটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত বিশ্লেষণ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, “বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। অর্ণবের বাবার ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি নারীঘটিত কোনো বিষয় অথবা ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতার সম্ভাবনাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জায়গাটি ইট দিয়ে ঘেরা এবং রক্তের দাগ রয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় করছিলেন। এলাকাবাসী আতঙ্কিত হলেও হত্যার কোনো সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
অর্ণব ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। পরিবারের জন্য তাঁর ছিল বিশেষ দায়িত্ব। বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা এগিয়ে নিচ্ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের মতে, তাঁর কোনো শত্রু থাকার কথা নয়।
পুলিশ এ ঘটনায় তৎপর রয়েছে। আটক তিনজনের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে হত্যার মোটিভ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডে শহরের সাধারণ মানুষ শোকাহত। অর্ণবের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য এটি এক গভীর ট্র্যাজেডি হয়ে থাকবে। তদন্তে নতুন কোনো অগ্রগতি বা তথ্য পাওয়া গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তা জানানো হবে।
তদন্তে এগিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, পরিবারের কেউ সন্দেহ করছেন না
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকারকে (২৬) গুলি করে হত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, তবে এখনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পায়নি। অর্ণবের পরিবারও কোনো নির্দিষ্ট সন্দেহভাজনের কথা জানায়নি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ঘটনার পরই সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তবে তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনার তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণব কুমার সরকারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি চায়ের দোকানের সামনে মোটরসাইকেলে হেলান দিয়ে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
একটি গুলি অর্ণবের মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে তিনটি পিস্তলের গুলি ও একটি শটগানের গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অর্ণবের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রাজনগর গ্রামে। তাঁর পরিবার ১৫ বছর ধরে খুলনার বানরগাতি ইসলাম কমিশনার মোড় এলাকায় বসবাস করছে। তাঁর বাবা নীতীশ চন্দ্র সরকার একজন ঠিকাদার। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার ব্যবসার দেখাশোনা করতেন অর্ণব।
শনিবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যান।
অর্ণবের মা দীপিকা সরকার এখনও বুঝতে পারেননি যে তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। স্বজনরা তাঁকে বলেছে, এটি একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। দীপিকা বিলাপ করতে করতে বলছিলেন, “বাবা, তুই কেন মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলি!”
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অর্ণবের শরীরে বেশ কয়েকটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত বিশ্লেষণ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, “বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। অর্ণবের বাবার ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি নারীঘটিত কোনো বিষয় অথবা ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতার সম্ভাবনাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জায়গাটি ইট দিয়ে ঘেরা এবং রক্তের দাগ রয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় করছিলেন। এলাকাবাসী আতঙ্কিত হলেও হত্যার কোনো সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
অর্ণব ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। পরিবারের জন্য তাঁর ছিল বিশেষ দায়িত্ব। বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা এগিয়ে নিচ্ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের মতে, তাঁর কোনো শত্রু থাকার কথা নয়।
পুলিশ এ ঘটনায় তৎপর রয়েছে। আটক তিনজনের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে হত্যার মোটিভ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডে শহরের সাধারণ মানুষ শোকাহত। অর্ণবের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য এটি এক গভীর ট্র্যাজেডি হয়ে থাকবে। তদন্তে নতুন কোনো অগ্রগতি বা তথ্য পাওয়া গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তা জানানো হবে।