ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় ১২৮ জনকে দায়ী করে তালিকা প্রকাশ করেছে সত্যানুসন্ধান কমিটি। এই তালিকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের নাম রয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতায় জড়িত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। একই সঙ্গে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ এবং রেজিস্ট্রার মুন্সী শামসউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সহিংসতার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ৮ অক্টোবর আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণের নেতৃত্বে গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটি তদন্ত শেষে সোমবার সিন্ডিকেট সভায় তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। কমিটির মতে, সহিংসতায় সরাসরি অংশ নেওয়া শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তাঁরা সহিংসতায় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন বলেও কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া তালিকায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল পর্যায়ের নেতাদের নাম রয়েছে। কিছু বহিরাগতরাও সহিংসতায় যুক্ত ছিল বলে কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণ গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতার প্রায় ২৫ শতাংশের তথ্য আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। কারণ, শুধু সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া ঘটনাগুলোকেই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয়, সাময়িক বহিষ্কারের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় ১২৮ জনকে দায়ী করে তালিকা প্রকাশ করেছে সত্যানুসন্ধান কমিটি। এই তালিকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের নাম রয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতায় জড়িত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। একই সঙ্গে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ এবং রেজিস্ট্রার মুন্সী শামসউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সহিংসতার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ৮ অক্টোবর আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণের নেতৃত্বে গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটি তদন্ত শেষে সোমবার সিন্ডিকেট সভায় তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। কমিটির মতে, সহিংসতায় সরাসরি অংশ নেওয়া শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তাঁরা সহিংসতায় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন বলেও কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া তালিকায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল পর্যায়ের নেতাদের নাম রয়েছে। কিছু বহিরাগতরাও সহিংসতায় যুক্ত ছিল বলে কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণ গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতার প্রায় ২৫ শতাংশের তথ্য আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। কারণ, শুধু সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া ঘটনাগুলোকেই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয়, সাময়িক বহিষ্কারের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।