ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ী হিসেবে ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হলেও এটি চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ১২৮ জনের তালিকা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করবে। যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যার ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা সহিংসতার ঘটনায় দায়ী হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের নাম তালিকায় রয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সহিংসতায় জড়িত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
তালিকা থেকে ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের’ নাম বাদ পড়েছে অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুরে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে তারা তালিকা পরিমার্জন এবং হামলাকারীদের যুক্ত করার দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলি ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “আমাদের চোখের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে। অনেকের ছবি ও ভিডিও শিক্ষার্থীদের কাছেই আছে। কিন্তু তালিকায় তাদের নাম নেই।”
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের বলেন, “সুস্পষ্ট ফুটেজ থাকার পরও অনেক সন্ত্রাসীর নাম তালিকায় আসেনি। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে, কিন্তু তার নাম তালিকায় নেই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, “এটি বহিষ্কারের চূড়ান্ত তালিকা নয়। এটি সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত।”
তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের শিক্ষার্থীদের নাম থাকায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রক্টর জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর নাম তালিকায় এসেছে, তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এছাড়া পটুয়াখালীর এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধেও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ী হিসেবে ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হলেও এটি চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ১২৮ জনের তালিকা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করবে। যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যার ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা সহিংসতার ঘটনায় দায়ী হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের নাম তালিকায় রয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সহিংসতায় জড়িত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
তালিকা থেকে ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের’ নাম বাদ পড়েছে অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুরে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে তারা তালিকা পরিমার্জন এবং হামলাকারীদের যুক্ত করার দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলি ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “আমাদের চোখের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে। অনেকের ছবি ও ভিডিও শিক্ষার্থীদের কাছেই আছে। কিন্তু তালিকায় তাদের নাম নেই।”
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের বলেন, “সুস্পষ্ট ফুটেজ থাকার পরও অনেক সন্ত্রাসীর নাম তালিকায় আসেনি। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে, কিন্তু তার নাম তালিকায় নেই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, “এটি বহিষ্কারের চূড়ান্ত তালিকা নয়। এটি সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত।”
তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের শিক্ষার্থীদের নাম থাকায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রক্টর জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর নাম তালিকায় এসেছে, তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এছাড়া পটুয়াখালীর এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধেও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।