image

এসএসসি পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার বন্ধ ও কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা

শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

চলতি বছরের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ৩৪ দিন ‘সব ধরনের’ কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর পরীক্ষার তিন ঘণ্টা পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ইয়ানুর রহমান শনিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।”

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে ১০ এপ্রিল। বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এবারের এসএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে।

ইয়ানুর রহমান বলেন, “এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলার সময় কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষাসংশ্লিষ্টতা ছাড়া অন্যকেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না।”

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার শনিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণত কেন্দ্রের আশাপাশে ২০০ গজের মধ্যে শুধু পরীক্ষার তিন ঘণ্টা ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কেন্দ্রভেদে এ দূরত্ব কম-বেশি হতে পারে। “কেন্দ্রের আশপাশে কতটুকু জায়গা ১৪৪ ধারার অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তা লালপতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়।”

একগুচ্ছ নির্দেশনাসহ গত বুধবার পরিপত্রটি সব বিভাগীয় কমিশনার, সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। দেরিতে এলে রেজিস্টারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও কারণ উল্লেখ করতে হবে। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ও মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। মন্ত্রণালয় বলছে, কেন্দ্র সচিব সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। “প্রশ্নের সেট কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সেট কোডে পরীক্ষা নিতে হবে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্র সচিব এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে নির্ধারিত সেট কোড নিশ্চিত হয়ে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।”

অনিবার্য কারণে পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলে পরে তা সমন্বয় করার কথাও বলেছে মন্ত্রণালয়।

‘শিক্ষা’ : আরও খবর

» শিক্ষা ক্যাডারে ২৭০৬ জনের পদোন্নতি

সম্প্রতি