জাতীয়করণের দাবিতে কর্মবিরতি ও আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ক্লাস নিচ্ছে দেশের বেশকিছু এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বার্ষিক পরীক্ষা ঘনিয়ে আসা ও শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরা।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনের কারণে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আট দিন পাঠদান বন্ধ ছিল। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এবং জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে শনিবার ছুটির দিনেও পূর্ণ উদ্যমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বার্ষিক পরীক্ষার আগে আগামী ১, ৮ ও ১৫ নভেম্বরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান চলবে।”
পাবনার সুজানগরের খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ রাজু জানান, শনিবার তাদের বিদ্যালয়ে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল, তবুও শিক্ষকরা এতে সন্তুষ্ট।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার আবদুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রি কলেজ, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের সন্দলপুর ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লার বরুড়া থানার কাজকামতা আশরাফিয়া আলিম মাদ্রাসা, পিরোজপুরের নেছারাবাদের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের গোয়াল বাথান উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালকাঠির সুগন্ধিয়া মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ অনেক প্রতিষ্ঠানে শনিবার ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে রাজধানীতে যেসব প্রতিষ্ঠান কর্মবিরতিতে অংশ নেয়নি, সেগুলোতে শনিবার নিয়মিত ছুটি ছিল। রাজধানীর একটি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাসাবো শাখার শিক্ষক মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স জানান, “আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির সময়ও ক্লাস চলেছে, তাই শনিবার ছুটি ছিল।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পেতেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ভাতা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করার পরও শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।
তাদের দাবি ছিল, বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ নির্ধারণ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা। এসব দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে তারা শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ও পরদিন থেকে দেশজুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর সরকার বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত জানায়, কিন্তু শিক্ষকরা তাতে সন্তুষ্ট হননি। অবশেষে ২১ অক্টোবর বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর শিক্ষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফেরেন এবং কর্মবিরতি স্থগিত করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয়করণের দাবিতে কর্মবিরতি ও আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ক্লাস নিচ্ছে দেশের বেশকিছু এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বার্ষিক পরীক্ষা ঘনিয়ে আসা ও শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরা।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনের কারণে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আট দিন পাঠদান বন্ধ ছিল। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এবং জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে শনিবার ছুটির দিনেও পূর্ণ উদ্যমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বার্ষিক পরীক্ষার আগে আগামী ১, ৮ ও ১৫ নভেম্বরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান চলবে।”
পাবনার সুজানগরের খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ রাজু জানান, শনিবার তাদের বিদ্যালয়ে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল, তবুও শিক্ষকরা এতে সন্তুষ্ট।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার আবদুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রি কলেজ, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের সন্দলপুর ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লার বরুড়া থানার কাজকামতা আশরাফিয়া আলিম মাদ্রাসা, পিরোজপুরের নেছারাবাদের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের গোয়াল বাথান উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালকাঠির সুগন্ধিয়া মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ অনেক প্রতিষ্ঠানে শনিবার ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে রাজধানীতে যেসব প্রতিষ্ঠান কর্মবিরতিতে অংশ নেয়নি, সেগুলোতে শনিবার নিয়মিত ছুটি ছিল। রাজধানীর একটি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাসাবো শাখার শিক্ষক মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স জানান, “আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির সময়ও ক্লাস চলেছে, তাই শনিবার ছুটি ছিল।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পেতেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ভাতা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করার পরও শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।
তাদের দাবি ছিল, বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ নির্ধারণ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা। এসব দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে তারা শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ও পরদিন থেকে দেশজুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর সরকার বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত জানায়, কিন্তু শিক্ষকরা তাতে সন্তুষ্ট হননি। অবশেষে ২১ অক্টোবর বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর শিক্ষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফেরেন এবং কর্মবিরতি স্থগিত করেন।