সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা -সংবাদ
বেতন কাঠামোর ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষক নেতারা কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বৈঠক শেষে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি দশম গ্রেড হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের জন্য ১১তম বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাদের প্রতি আস্থা রেখে আমরা আগামীকাল (আজ) থেকে আমাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো সোমবার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। একই সঙ্গে কর্মবিরতিও পালন করেছেন শিক্ষকরা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’র ব্যানারে প্রাথমিক শিক্ষকদের চারটি সংগঠন একসঙ্গে এ কর্মসূচি পালন করেছে।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার এলাকায় আশ্রয় নেন। সেখানেই কর্মসূচি পালন করেছেন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি ছিল- সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
সরকার গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ৮৪ হাজার।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা -সংবাদ
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
বেতন কাঠামোর ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) সচিবালয়ে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষক নেতারা কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বৈঠক শেষে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি দশম গ্রেড হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের জন্য ১১তম বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাদের প্রতি আস্থা রেখে আমরা আগামীকাল (আজ) থেকে আমাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো সোমবার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। একই সঙ্গে কর্মবিরতিও পালন করেছেন শিক্ষকরা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’র ব্যানারে প্রাথমিক শিক্ষকদের চারটি সংগঠন একসঙ্গে এ কর্মসূচি পালন করেছে।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার এলাকায় আশ্রয় নেন। সেখানেই কর্মসূচি পালন করেছেন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি ছিল- সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
সরকার গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ৮৪ হাজার।