নির্ধারিত সময়ে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় বিগত মতবিনিময় সভায় আলোচিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের গৃহীত উদ্যোগ ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এরই মধ্যে সরবরাহকৃত পাঠ্যপুস্তকের বিল দ্রুত পরিশোধের বিষয়ে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান স্বত্বাধিকারীদের আশ্বস্ত করা হয়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, বই পরিবহন ও সংরক্ষণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং এ উদ্যোগে সহনীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা, সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মাঠপর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক গ্রহণের ব্যবস্থা করা, মাঠপর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক পাঠানোর আগে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান স্বত্বাধিকারীরা বই গ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। পাঠ্যপুস্তক সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান সংকুলানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান স্বত্বাধিকারীরাও শিক্ষাবর্ষের শুরুতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সব অংশীজনের সমন্বিত সহযোগিতায় নির্ধারিত সময়ে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে বলে এনসিটিবি আশাবাদী।
সভায় জানানো হয়, এনসিটিবি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে নির্দিষ্ট সময়ে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানোর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে। পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও বিতরণের প্রতিটি পর্যায়ে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে এনসিটিবি নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুদ্রণ ও বাঁধাই করে শিক্ষার্থীদের কাছে বিতরণ নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এনসিটিবি কাজ করছে। পাঠ্যপুস্তকের গুণগত মান নিশ্চিতে এনসিটিবির নিজস্ব পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নিরপেক্ষ ইন্সপেকশন ফার্ম (পিডিআই) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশেষ মনিটরিং টিম মাঠপর্যায়ে নিয়মিত তদারকি করছে এবং প্রেস মালিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় বজায় রাখা হচ্ছে।
শিক্ষাবর্ষের শুরুতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে সম্প্রতি এনসিটিবির অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান মালিকরা কতিপয় সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেগুলো সমাধানের অনুরোধ করেন এবং উল্লেখ করেন এ প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা হলে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ আরও গতিশীল হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান মালিকদের মতবিনিময় সভায় আলোচিত সমস্যাগুলো নিরসনের উদ্দেশ্যে গত ১৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এক হাজারেরও বেশি কর্মকর্তার সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা ভার্চুয়ালি সভার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
বৃহস্পতিবার, সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, এনসিটিবির কর্মকর্তারা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, কারিগরি, শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি ও মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
নির্ধারিত সময়ে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় বিগত মতবিনিময় সভায় আলোচিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের গৃহীত উদ্যোগ ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এরই মধ্যে সরবরাহকৃত পাঠ্যপুস্তকের বিল দ্রুত পরিশোধের বিষয়ে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান স্বত্বাধিকারীদের আশ্বস্ত করা হয়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, বই পরিবহন ও সংরক্ষণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং এ উদ্যোগে সহনীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা, সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মাঠপর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক গ্রহণের ব্যবস্থা করা, মাঠপর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক পাঠানোর আগে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান স্বত্বাধিকারীরা বই গ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। পাঠ্যপুস্তক সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান সংকুলানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান স্বত্বাধিকারীরাও শিক্ষাবর্ষের শুরুতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সব অংশীজনের সমন্বিত সহযোগিতায় নির্ধারিত সময়ে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে বলে এনসিটিবি আশাবাদী।
সভায় জানানো হয়, এনসিটিবি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে নির্দিষ্ট সময়ে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানোর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে। পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও বিতরণের প্রতিটি পর্যায়ে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে এনসিটিবি নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুদ্রণ ও বাঁধাই করে শিক্ষার্থীদের কাছে বিতরণ নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এনসিটিবি কাজ করছে। পাঠ্যপুস্তকের গুণগত মান নিশ্চিতে এনসিটিবির নিজস্ব পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি নিরপেক্ষ ইন্সপেকশন ফার্ম (পিডিআই) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশেষ মনিটরিং টিম মাঠপর্যায়ে নিয়মিত তদারকি করছে এবং প্রেস মালিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় বজায় রাখা হচ্ছে।
শিক্ষাবর্ষের শুরুতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে সম্প্রতি এনসিটিবির অডিটোরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান মালিকরা কতিপয় সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেগুলো সমাধানের অনুরোধ করেন এবং উল্লেখ করেন এ প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা হলে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ আরও গতিশীল হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান মালিকদের মতবিনিময় সভায় আলোচিত সমস্যাগুলো নিরসনের উদ্দেশ্যে গত ১৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এক হাজারেরও বেশি কর্মকর্তার সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা ভার্চুয়ালি সভার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
বৃহস্পতিবার, সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, এনসিটিবির কর্মকর্তারা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, কারিগরি, শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি ও মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।