আগামী ৪ ডিসেম্বর সাউর্দান মেডিক্যাল কলেজে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন। দেশি-বিদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণে উক্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন ৫৫৪ জন গবেষক। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাবে আয়োজিত এক অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানান সাউর্দান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ এবং সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

‘স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও মানবতার সেতুবন্ধন’ প্রতিপাদ্য আয়োজিত হতে যাওয়া এ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা, মেডিক্যাল ক্যারিকুলাম, অ্যাক্রেডিটেশন, তথ্য ও প্রযুক্তি, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশু স্বাস্থ্য, লিভার, হৃদরোগ, চক্ষু, গণস্বাস্থ্য, বার্ধক্যজনিত রোগ, অনুজীববিদ্যা, মৌলিক চিকিৎসা বিদ্যাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপনা করা হবে।

সভায় জানানো হয়, বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে দেশি-বিদেশি ৫৫৪ জনের অংশগ্রহণে এই সম্মেলনে মোট ৬৩টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র উপস্থাপনা করা হবে। এরমধ্যে ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, আমেরিকা, লন্ডন থেকে আগত চারজন আর্ন্তজাতিক গবেষক তাদের গাবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। পাশাপাশি দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসকরাও উপস্থাপন করবেন তাদের নিজেদের গবেষণাপত্র। যার মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্টিফিক রিসার্চ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, খ্যাতনামা সার্জন অধ্যাপক ডা. খন্দকার এ কে আজাদ, শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা, খ্যাতনামা গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমীন, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ।

এছাড়া সাউর্দান মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত সাইন্টিফিক প্রজেক্ট উপস্থাপন করা হবে সম্মেলনে।

যার মধ্যে রয়েছে হাইপোগন্টাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ‘লাইফগার্ড’ থ্যালাসেমিয়ার ঝুঁকি শনাক্তকরণের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য কিটের উদ্ভাবন এবং মৃগীরোগের জন্য পরিধানযোগ্য সতর্কীকরণ যন্ত্রের উদ্ভাবন।