মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে সোমবার পুরান ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলে কোনো ক্লাস হয়নি। ফাঁকা ছিল ক্লাসরুম -সংবাদ
দেশব্যাপী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সোমবার,( ০১ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে সোমবার রাজধানীসহ বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। অনেক বিদ্যালয় গত বৃহস্পতিবারই নোটিশ দিয়ে সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানিয়েছে।
গতকাল রোববার ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের এক নোটিশে সোমবারের পরীক্ষার না নেওয়ার কথা জানানো হয়।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলেও সোমবার বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। ঢাকার শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়েও সোমবারের পরীক্ষা নেয়া হয়নি। ঢাকার সদরঘাটে বাংলা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সোমবার বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।
রাজধানীর মোট ৩১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটিতেও এদিন পরীক্ষা নেয়া হয়নি বলে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন।
সোমবার সকালে খুলনার সরকারি করোনেশন গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষক জানান, তাদের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। এছাড়া পিরোজপুর ও নওগাঁয় কোনো সরকারি হাইস্কুলে পরীক্ষা নেয়া হয়নি বলে খবর পাওয়া গেছে।
মাধ্যমিক শিক্ষকদের চারটি দাবি হলোÑ সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক?্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের’ গেজেট প্রকাশ; বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা; সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেয়া এবং ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২-৩টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ করা।
দেশব্যাপী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২৪ নভেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা।
এই সমিতির এক নেতা জানিয়েছেন, সরকার যদি তাদের দাবি পূরণ করে তাহলে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো নেবেন এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করবেন। দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতি চলবে।
এর আগে গতকাল রোববার সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিনের পেশাগত মর্যাদা ও বেতন-ভাতাসংক্রান্ত চার দফা দাবির বিষয়ে ওইদিন তারা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু দাবিগুলো না মানায় তারা সোমবার লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
এই সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের দাবিগুলো পূরণের বিষয়ে রূপরেখাসহ সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিলে তারা শিক্ষার্থী ও জাতীয় স্বার্থে কর্মবিরতি স্থগিত করবেন।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার সরকারি (নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক/স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষা ২০২৫ গ্রহণসংক্রান্ত এবং পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক/কর্মকর্তাদের উপস্থিতিসংক্রান্ত তথ্যাদি দুপুর ১২ টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।’ বিষয়টি জরুরি বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরাও কর্মবিরতিতে:
সহকারী শিক্ষকদের বেতন ‘আপাতত’ ১১তম গ্রেড দেয়াসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।
গতকাল রোববার সংগঠনের পক্ষ্য থেকে জানানো হয়, দাবি বাস্তবায়নের কাঙ্খিত অগ্রগতি না হওয়ায় সোমবার তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) বর্জন কর্মসূচি চলবে।
যদিও সোমবার ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শিক্ষকদের একাংশ কর্মবিরতিতে থাকলেও বার্ষিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। একই সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও গতকাল বোরবার সতর্ক করা হয়েছে।
ওইদিন ডিপিইর পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) একে মোহাম্মদ সামছুল আহসানের সই করা এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। চিঠিটি সব বিভাগীয় উপ-পরিচালক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘১ ডিসেম্বর (গতকাল) থেকে দেশব্যাপী সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা কার্যক্রম বিনা ব্যর্থতায় নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। তৃতীয় সাময়িক পরীক্ষা গ্রহণে শিক্ষক বা কর্মকর্তার কোনো প্রকার শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ তিন লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি, বর্তমানে কর্মরত তিন লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে আছেন (শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১০ম করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে সহকারী শিক্ষকরা এ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ও বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে সোমবার পুরান ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলে কোনো ক্লাস হয়নি। ফাঁকা ছিল ক্লাসরুম -সংবাদ
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
দেশব্যাপী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সোমবার,( ০১ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে সোমবার রাজধানীসহ বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। অনেক বিদ্যালয় গত বৃহস্পতিবারই নোটিশ দিয়ে সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানিয়েছে।
গতকাল রোববার ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের এক নোটিশে সোমবারের পরীক্ষার না নেওয়ার কথা জানানো হয়।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলেও সোমবার বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। ঢাকার শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়েও সোমবারের পরীক্ষা নেয়া হয়নি। ঢাকার সদরঘাটে বাংলা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সোমবার বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।
রাজধানীর মোট ৩১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটিতেও এদিন পরীক্ষা নেয়া হয়নি বলে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন।
সোমবার সকালে খুলনার সরকারি করোনেশন গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষক জানান, তাদের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। এছাড়া পিরোজপুর ও নওগাঁয় কোনো সরকারি হাইস্কুলে পরীক্ষা নেয়া হয়নি বলে খবর পাওয়া গেছে।
মাধ্যমিক শিক্ষকদের চারটি দাবি হলোÑ সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক?্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের’ গেজেট প্রকাশ; বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা; সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেয়া এবং ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২-৩টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ করা।
দেশব্যাপী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২৪ নভেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা।
এই সমিতির এক নেতা জানিয়েছেন, সরকার যদি তাদের দাবি পূরণ করে তাহলে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো নেবেন এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করবেন। দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতি চলবে।
এর আগে গতকাল রোববার সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিনের পেশাগত মর্যাদা ও বেতন-ভাতাসংক্রান্ত চার দফা দাবির বিষয়ে ওইদিন তারা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু দাবিগুলো না মানায় তারা সোমবার লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
এই সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের দাবিগুলো পূরণের বিষয়ে রূপরেখাসহ সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিলে তারা শিক্ষার্থী ও জাতীয় স্বার্থে কর্মবিরতি স্থগিত করবেন।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার সরকারি (নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক/স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষা ২০২৫ গ্রহণসংক্রান্ত এবং পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক/কর্মকর্তাদের উপস্থিতিসংক্রান্ত তথ্যাদি দুপুর ১২ টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।’ বিষয়টি জরুরি বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরাও কর্মবিরতিতে:
সহকারী শিক্ষকদের বেতন ‘আপাতত’ ১১তম গ্রেড দেয়াসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।
গতকাল রোববার সংগঠনের পক্ষ্য থেকে জানানো হয়, দাবি বাস্তবায়নের কাঙ্খিত অগ্রগতি না হওয়ায় সোমবার তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) বর্জন কর্মসূচি চলবে।
যদিও সোমবার ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শিক্ষকদের একাংশ কর্মবিরতিতে থাকলেও বার্ষিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। একই সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও গতকাল বোরবার সতর্ক করা হয়েছে।
ওইদিন ডিপিইর পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) একে মোহাম্মদ সামছুল আহসানের সই করা এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। চিঠিটি সব বিভাগীয় উপ-পরিচালক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘১ ডিসেম্বর (গতকাল) থেকে দেশব্যাপী সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা কার্যক্রম বিনা ব্যর্থতায় নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। তৃতীয় সাময়িক পরীক্ষা গ্রহণে শিক্ষক বা কর্মকর্তার কোনো প্রকার শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ তিন লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি, বর্তমানে কর্মরত তিন লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে আছেন (শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১০ম করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে সহকারী শিক্ষকরা এ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ও বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন।