alt

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি : সাবজেক্ট নিয়ে হতাশা নয়

জি.এ.মিল্টন : বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

ফাইল ছবি

প্রতিটা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে ভাল কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। ফলে সে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি দিয়ে পড়াশোনা করতে থাকে যাতে তার কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে। অবশ্য কেউ কেউ পেয়েও যায়। তবে কেউ আবার সামান্য নম্বরের জন্য তার কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয় হাতের নাগালে পেয়েও যেন হারিয়ে ফেলে। যার জন্য তাকে পড়তে হয় জাতীয় কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তবে পাবলিকে পড়েও অনেকে হতাশার সাগরে ভাসতে থাকে। কারণ সে বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ঠিকই তবে তার চাওয়া অনুযায়ী ভাল কোন ‘বিষয়ে’ ভর্তি হতে পারেনি। ফলে কাটে হতাশার মধ্যে দিয়। ভাবতে থাকে- তার জীবনে আর কি হবে, কি হবে এই বিষয়ে (সাবজেক্ট) পড়াশোনা করে।

আর বিপত্তিটা এখানেই। সে না পারে ওই বিষয়ে ভাল করে পড়ালেখা করতে না পারে জব সেক্টরের পড়াশোনা করতে ফলে সে তালগোল পাকিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েই দিনাতিপাত করতে থাকে। আর এভাবেই তার ক্যাম্পাস জীবন শেষ হতে থাকে। কখন সে জীবনের এতগুলো বছর শেষ করে ফেলেছে তা ভাবতেও পারেনা। যেখানে তার অন্য বিভাগের বন্ধুরা উভয় দিক (নিজের বিভাগ/চাকরি) পড়াশোনা করে নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে। আর সেখানে সে হতাশা নিয়ে দিন কাটাতে থাকে।

এর একটিই কারণ পছন্দের বিষয় না পাওয়া। তবে পছন্দের বিষয় পেয়েও অনেকে জীবনে কিছুই করতে পারে না। যেন তার পড়াশোনা করা আর না করা সমান কথা। এমন নজীরও রয়েছে অসংখ্য। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এমন অসংখ্য শিক্ষার্থীকে স্বচক্ষে দেখেছি।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন একটি বিষয়ে ভর্তি হয়েও যে নিজেকে ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায় তার সংখ্যাটাও কিন্তু নেহাতই কম নয়। এর জন্য চাই নিজের প্রবল ইচ্ছা ও যোগ্যতা। আর এই যোগ্যতা একদিনে তৈরি হয় না। এটিকে অর্জন করে নিতে হয়। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এই যোগ্যতা প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য অনিবার্য। হোক সে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন কতগুলো ‘বিষয়’ (সাবজেক্ট) থাকে যেখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত হয়। ফলশ্রুতিতে ক্যাম্পাস জীবন শেষ করে তাকে পোহাতে হয় অসহ্য যন্ত্রনা। কোনটা পড়বে আর কোন দিকে তার লক্ষ স্থির করবে তা ভাবতেই দিন শেষ।

তেমনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীরাও তার ব্যতিক্রম নয়। বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা যেন তার নিস্তেজ হারিয়ে ফেলে। যে রঙ্গিন স্বপ্ন আর উদ্যম নিয়ে এখানে আসে সেই স্বপ্ন আর সতেজতা যেন তাদের মাঝে দিন দিন লোপ পেতে থাকে। তারা ভাবে এই বিষয়ে পড়াশোনা করে জীবনে কি-বা করতে পারবো। নানা উদ্ভট চিন্তা সে মাথায় বয়ে নিয়ে বেড়ায়। তবে, বিষয় যে কোন বিষয় নয় তা সে নতুন জগতে এসে মিলাতে পারে না। একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে অন্য বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা যাবে না বা কৃতিত্ব অর্জন করা যাবে না তা তো নেহাতই ভুল। তা না হলে সমাজবিজ্ঞানে পড়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ে সমাজবিজ্ঞানী হত না। কিংবা রসায়নে পড়ে সাহিত্যে খ্যাতি অর্জন করতে পারতো না। কিংবা সারাজীবন অর্থনীতিতে কাজ করে শান্তিতে কিংবা রাজনীতিবিদ হয়ে সাহিত্যে বা মনোবিজ্ঞানী হয়ে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেত না।

এ সব বলার অর্থই হচ্ছে একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলেই যে, অন্য বিষয় নিয়ে ভাবার বা কাজের সুযোগ নেই বা ওই বিষয় থেকে পড়াশোনা করেও যে ভাল কাজের সুযোগ নেই এটি ঠিক নয়। শুধু ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীরাই নয় এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই অনেক বিভাগ রয়েছে যেখানে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা হতাশায় দিনাতিপাত করে। পড়াশোনায় মন বসাতে পারে না।

সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। আবার ফোকলোর বিভাগসহ অন্যান্য তথাকথিত কম ভাল বিভাগে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীদের হতাশার অন্ত থাকবে না তা হলফ করে বলতে পারি। তবে প্রতিটা শিক্ষার্থীর উচিৎ- কোন বিষয়ে ভর্তি হয়েছি সেদিকে না দেখে, আমার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি কি-না তার দিকে মন দেওয়া। অন্য কোন বিষয়ে পড়েও যে বাইরের একটি বিশাল জগৎ সম্পর্কে ভাবার বা কাজ করার সুযোগ আছে তা একটু ভাবলেই চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। এর জন্য চাই প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও যোগ্যতা।

ছবি

সিরাজগঞ্জে ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

ছবি

ইডেন ও বদরুন্নেসায় ‘সহশিক্ষা’ চালুর প্রস্তাব বাতিলের দাবি

আজ থেকে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ‘হাতাহাতি’: সরকারি কলেজগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

ছবি

এমআইএসটির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

ছবি

এইচএসসির ফল ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে

দুর্গাপূজার ছুটি শেষে খুলেছে স্কুল, রোববার থেকে কলেজ

ছবি

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২-৩ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

১২ ডিসেম্বর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

ছবি

শিক্ষক দিবসে নারায়ণগঞ্জে ৫ শিক্ষককে সন্মাননা দেয়া হয়েছে

ছবি

এমপিও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়লো ৫০০ টাকা, প্রত্যাখান

ছবি

ইউজিসি সদস্য হলেন চাবিপ্রবি উপাচার্য

ছবি

শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের হার্টে অস্ত্রোপচার

ছবি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান-সহকারী প্রধান নিয়োগেও নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সরকার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যেই

ছবি

স্বাতন্ত্র্য ও শিক্ষার উন্নয়নে ‘অক্সফোর্ড মডেলে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাত কলেজের শিক্ষকদের

ছবি

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর

ছবি

জরিপ: পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের, ভোট দিতে চান ৯৪ শতাংশ

ছবি

এসএসসি পরীক্ষায় ১৪০টি ভেন্যু কেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল করছে যশোর বোর্ড

ছবি

র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়!

ছবি

ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি: কাউন্সিল নিয়ে কর্তৃত্বের ‘দ্বন্দ্ব’

ছবি

ডিমলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রক্সি দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

৪৭তম বিসিএস: পৌনে চার লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রিলিমিনারি সম্পন্ন

ছবি

ঢাকার ৭ সরকারি কলেজ: উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষা সংকোচন, কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো বিলুপ্তির চেষ্টার অভিযোগ

ছবি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১ দিনের লম্বা ছুটিতে স্কুল-কলেজ

ছবি

তৃতীয় আবেদনেও কলেজ পায়নি জিপিএ-৫ পাওয়া ২৯৫ জনসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই: প্রাথমিকের বই ছাপা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

ছবি

ঢাকা কলেজ অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত

ছবি

এসএসসি ২০২৬: নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত, অনিয়মিতদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস

ছবি

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু

ছবি

এসএসসি খাতা মূল্যায়নে অবহেলা, কালো তালিকায় ৭১ শিক্ষক

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে গেল সাত কলেজ

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার্থী তৈরি করছে: উপাচার্য

tab

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি : সাবজেক্ট নিয়ে হতাশা নয়

জি.এ.মিল্টন

ফাইল ছবি

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

প্রতিটা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে ভাল কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। ফলে সে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি দিয়ে পড়াশোনা করতে থাকে যাতে তার কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে। অবশ্য কেউ কেউ পেয়েও যায়। তবে কেউ আবার সামান্য নম্বরের জন্য তার কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয় হাতের নাগালে পেয়েও যেন হারিয়ে ফেলে। যার জন্য তাকে পড়তে হয় জাতীয় কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তবে পাবলিকে পড়েও অনেকে হতাশার সাগরে ভাসতে থাকে। কারণ সে বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ঠিকই তবে তার চাওয়া অনুযায়ী ভাল কোন ‘বিষয়ে’ ভর্তি হতে পারেনি। ফলে কাটে হতাশার মধ্যে দিয়। ভাবতে থাকে- তার জীবনে আর কি হবে, কি হবে এই বিষয়ে (সাবজেক্ট) পড়াশোনা করে।

আর বিপত্তিটা এখানেই। সে না পারে ওই বিষয়ে ভাল করে পড়ালেখা করতে না পারে জব সেক্টরের পড়াশোনা করতে ফলে সে তালগোল পাকিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েই দিনাতিপাত করতে থাকে। আর এভাবেই তার ক্যাম্পাস জীবন শেষ হতে থাকে। কখন সে জীবনের এতগুলো বছর শেষ করে ফেলেছে তা ভাবতেও পারেনা। যেখানে তার অন্য বিভাগের বন্ধুরা উভয় দিক (নিজের বিভাগ/চাকরি) পড়াশোনা করে নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে। আর সেখানে সে হতাশা নিয়ে দিন কাটাতে থাকে।

এর একটিই কারণ পছন্দের বিষয় না পাওয়া। তবে পছন্দের বিষয় পেয়েও অনেকে জীবনে কিছুই করতে পারে না। যেন তার পড়াশোনা করা আর না করা সমান কথা। এমন নজীরও রয়েছে অসংখ্য। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এমন অসংখ্য শিক্ষার্থীকে স্বচক্ষে দেখেছি।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন একটি বিষয়ে ভর্তি হয়েও যে নিজেকে ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায় তার সংখ্যাটাও কিন্তু নেহাতই কম নয়। এর জন্য চাই নিজের প্রবল ইচ্ছা ও যোগ্যতা। আর এই যোগ্যতা একদিনে তৈরি হয় না। এটিকে অর্জন করে নিতে হয়। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এই যোগ্যতা প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য অনিবার্য। হোক সে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন কতগুলো ‘বিষয়’ (সাবজেক্ট) থাকে যেখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত হয়। ফলশ্রুতিতে ক্যাম্পাস জীবন শেষ করে তাকে পোহাতে হয় অসহ্য যন্ত্রনা। কোনটা পড়বে আর কোন দিকে তার লক্ষ স্থির করবে তা ভাবতেই দিন শেষ।

তেমনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীরাও তার ব্যতিক্রম নয়। বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা যেন তার নিস্তেজ হারিয়ে ফেলে। যে রঙ্গিন স্বপ্ন আর উদ্যম নিয়ে এখানে আসে সেই স্বপ্ন আর সতেজতা যেন তাদের মাঝে দিন দিন লোপ পেতে থাকে। তারা ভাবে এই বিষয়ে পড়াশোনা করে জীবনে কি-বা করতে পারবো। নানা উদ্ভট চিন্তা সে মাথায় বয়ে নিয়ে বেড়ায়। তবে, বিষয় যে কোন বিষয় নয় তা সে নতুন জগতে এসে মিলাতে পারে না। একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে অন্য বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা যাবে না বা কৃতিত্ব অর্জন করা যাবে না তা তো নেহাতই ভুল। তা না হলে সমাজবিজ্ঞানে পড়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়ে সমাজবিজ্ঞানী হত না। কিংবা রসায়নে পড়ে সাহিত্যে খ্যাতি অর্জন করতে পারতো না। কিংবা সারাজীবন অর্থনীতিতে কাজ করে শান্তিতে কিংবা রাজনীতিবিদ হয়ে সাহিত্যে বা মনোবিজ্ঞানী হয়ে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেত না।

এ সব বলার অর্থই হচ্ছে একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলেই যে, অন্য বিষয় নিয়ে ভাবার বা কাজের সুযোগ নেই বা ওই বিষয় থেকে পড়াশোনা করেও যে ভাল কাজের সুযোগ নেই এটি ঠিক নয়। শুধু ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীরাই নয় এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই অনেক বিভাগ রয়েছে যেখানে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা হতাশায় দিনাতিপাত করে। পড়াশোনায় মন বসাতে পারে না।

সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। আবার ফোকলোর বিভাগসহ অন্যান্য তথাকথিত কম ভাল বিভাগে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীদের হতাশার অন্ত থাকবে না তা হলফ করে বলতে পারি। তবে প্রতিটা শিক্ষার্থীর উচিৎ- কোন বিষয়ে ভর্তি হয়েছি সেদিকে না দেখে, আমার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি কি-না তার দিকে মন দেওয়া। অন্য কোন বিষয়ে পড়েও যে বাইরের একটি বিশাল জগৎ সম্পর্কে ভাবার বা কাজ করার সুযোগ আছে তা একটু ভাবলেই চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। এর জন্য চাই প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও যোগ্যতা।

back to top