alt

একাদশে ভর্তি : ২০৪টি কলেজ কোন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না

চার কলেজে কোন আবেদনই করা হয়নি

রাকিব উদ্দিন : বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

সারাদেশের ২০৪টি কলেজ ও মাদ্রাসায় এবার একাদশ ও আলিম শ্রেণীতে কোন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করলেও তারা ভর্তির ‘নিশ্চায়ন’ করেনি। এর মধ্যে চারটি কলেজে কোন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি।

এছাড়া প্রায় পাঁচশ’ কলেজ ও মাদ্রাসায় ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। শিক্ষার্থীদের কাছে ‘আকর্ষণ’ হারানো এসব কলেজের এখন টিকে থাকতেই ‘চ্যালেঞ্জের’ সুম্মখীন হবে বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বুধবার (১১ জানুয়ারি) সংবাদকে বলেন, ‘বুয়েট থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ২০০টি কলেজ ও মাদ্রাসায় ন্যূনতম একজন শিক্ষার্থীও ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি। এর সবকটি কলেজই বোর্ডের অনুমোদিত। আরও অসংখ্য কলেজ ও মাদ্রাসায় একজন-দু’জন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ ডিসেম্বর একাদশ শ্রেণী ও সমস্তরে অনলাইনে প্রথম পর্যায়ের ভর্তির আবেদনের শেষ সময় ছিল। ওই সময়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে মোট ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল। এ হিসাবে এবার এমনিতেই কম উত্তীর্ণ হয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থী।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রথম পর্যায়ে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেনি। এবার সারাদেশের কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণীতে মোট ভর্তিযোগ্য আসনের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।

সারাদেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমস্তরের মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়। এর মধ্যে দুইশ’ প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করলেও তারা ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি।

আজ দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির আবেদনের ফল প্রকাশ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন করে দুই লাখ ৮২ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে বলে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এরপরও গত বছর এসএসসি ও সমস্তরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করেনি।

বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আবেদন ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নেয়া হয়। এ ধাপের ফল ১২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হচ্ছে। নিশ্চয়ন চলবে ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি।

এরপর তৃতীয় ধাপের আবেদন ১৬ জানুয়ারি ও ফল প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধাপের নিশ্চায়ন করা যাবে ১৯ থেকে ২০ জানয়ারি পর্যন্ত। যারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে তাদের ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি।

যেসব কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি সেসব প্রতিষ্ঠানের অস্থিত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। রাজনৈতিক এবং স্থানীয় ও বিভিন্ন স্তরের প্রভাবশালী মহলের তদবিরের কারণেই ওইসব প্রতিষ্ঠান পাঠদানের অনুমতি পেয়েছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ওইসব কলেজ ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘একাদশ শ্রেণীতে পাঠদানের অনুমোদন পেতে প্রতি বিভাগে ন্যূনতম ৫০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতে হয়। কাম্য শিক্ষার্থী না থাকলে পাঠদানের অনুমতি বাতিল হতে পারে।’ ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদান হয়। এরমধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বিষয় আবশ্যিক। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে অন্তত তিনটি আবশ্যিক বিষয় নিতে হয়।

এ হিসাবে প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও অধ্যক্ষসহ একটি কলেজে ১২ জন শিক্ষক থাকে। এছাড়া কর্মচারী, লাইব্রেরিয়ান, পিয়নসহ সব মিলিয়ে অন্তত ২০ জন জনবল থাকে। যেসব কলেজে কেউ ভর্তি হতে আবেদনই করেনি সেগুলো কীভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা দেবে, টিকে থাকার ব্যয় নির্বাহ করবে সেটি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

ভর্তির আবেদন না হওয়া কলেজের বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘কলেজগুলো যদি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে মাউশি সেগুলোর এমপিও স্থগিত বা বাতিল করতে পারে। এমপিওভুক্তি না হলে শিক্ষা বোর্ড যেসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি বাতিল করতে পারে।’

মাউশি ও শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতেই এক ডজনের মতো কলেজ কোন শিক্ষার্থী পায়নি। আরও অর্ধশত কলেজে ন্যূনতম দুইজন থেকে পঞ্চাশ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।

সাধারণত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভরশীল। তবে এমপিওভুক্ত কলেজগুলো সরকার থেকে পুরোপুরি বেতন-ভাতা পায়।

ছবি

সিরাজগঞ্জে ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

ছবি

ইডেন ও বদরুন্নেসায় ‘সহশিক্ষা’ চালুর প্রস্তাব বাতিলের দাবি

আজ থেকে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ‘হাতাহাতি’: সরকারি কলেজগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

ছবি

এমআইএসটির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

ছবি

এইচএসসির ফল ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে

দুর্গাপূজার ছুটি শেষে খুলেছে স্কুল, রোববার থেকে কলেজ

ছবি

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২-৩ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

১২ ডিসেম্বর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

ছবি

শিক্ষক দিবসে নারায়ণগঞ্জে ৫ শিক্ষককে সন্মাননা দেয়া হয়েছে

ছবি

এমপিও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়লো ৫০০ টাকা, প্রত্যাখান

ছবি

ইউজিসি সদস্য হলেন চাবিপ্রবি উপাচার্য

ছবি

শিক্ষাবিদ-সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের হার্টে অস্ত্রোপচার

ছবি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান-সহকারী প্রধান নিয়োগেও নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সরকার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যেই

ছবি

স্বাতন্ত্র্য ও শিক্ষার উন্নয়নে ‘অক্সফোর্ড মডেলে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাত কলেজের শিক্ষকদের

ছবি

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর

ছবি

জরিপ: পিআর সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৬ শতাংশের, ভোট দিতে চান ৯৪ শতাংশ

ছবি

এসএসসি পরীক্ষায় ১৪০টি ভেন্যু কেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল করছে যশোর বোর্ড

ছবি

র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়!

ছবি

ইইডি ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতি: কাউন্সিল নিয়ে কর্তৃত্বের ‘দ্বন্দ্ব’

ছবি

ডিমলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রক্সি দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

৪৭তম বিসিএস: পৌনে চার লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রিলিমিনারি সম্পন্ন

ছবি

ঢাকার ৭ সরকারি কলেজ: উচ্চশিক্ষা ও নারী শিক্ষা সংকোচন, কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো বিলুপ্তির চেষ্টার অভিযোগ

ছবি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১ দিনের লম্বা ছুটিতে স্কুল-কলেজ

ছবি

তৃতীয় আবেদনেও কলেজ পায়নি জিপিএ-৫ পাওয়া ২৯৫ জনসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই: প্রাথমিকের বই ছাপা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

ছবি

ঢাকা কলেজ অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত

ছবি

এসএসসি ২০২৬: নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত, অনিয়মিতদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস

ছবি

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু

ছবি

এসএসসি খাতা মূল্যায়নে অবহেলা, কালো তালিকায় ৭১ শিক্ষক

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে গেল সাত কলেজ

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার্থী তৈরি করছে: উপাচার্য

tab

একাদশে ভর্তি : ২০৪টি কলেজ কোন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না

চার কলেজে কোন আবেদনই করা হয়নি

রাকিব উদ্দিন

বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

সারাদেশের ২০৪টি কলেজ ও মাদ্রাসায় এবার একাদশ ও আলিম শ্রেণীতে কোন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করলেও তারা ভর্তির ‘নিশ্চায়ন’ করেনি। এর মধ্যে চারটি কলেজে কোন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি।

এছাড়া প্রায় পাঁচশ’ কলেজ ও মাদ্রাসায় ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। শিক্ষার্থীদের কাছে ‘আকর্ষণ’ হারানো এসব কলেজের এখন টিকে থাকতেই ‘চ্যালেঞ্জের’ সুম্মখীন হবে বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বুধবার (১১ জানুয়ারি) সংবাদকে বলেন, ‘বুয়েট থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ২০০টি কলেজ ও মাদ্রাসায় ন্যূনতম একজন শিক্ষার্থীও ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি। এর সবকটি কলেজই বোর্ডের অনুমোদিত। আরও অসংখ্য কলেজ ও মাদ্রাসায় একজন-দু’জন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ ডিসেম্বর একাদশ শ্রেণী ও সমস্তরে অনলাইনে প্রথম পর্যায়ের ভর্তির আবেদনের শেষ সময় ছিল। ওই সময়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে মোট ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল। এ হিসাবে এবার এমনিতেই কম উত্তীর্ণ হয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থী।

২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রথম পর্যায়ে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেনি। এবার সারাদেশের কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণীতে মোট ভর্তিযোগ্য আসনের সংখ্যা ২৫ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।

সারাদেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমস্তরের মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়। এর মধ্যে দুইশ’ প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করলেও তারা ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি।

আজ দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির আবেদনের ফল প্রকাশ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন করে দুই লাখ ৮২ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে বলে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এরপরও গত বছর এসএসসি ও সমস্তরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করেনি।

বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আবেদন ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নেয়া হয়। এ ধাপের ফল ১২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হচ্ছে। নিশ্চয়ন চলবে ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি।

এরপর তৃতীয় ধাপের আবেদন ১৬ জানুয়ারি ও ফল প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধাপের নিশ্চায়ন করা যাবে ১৯ থেকে ২০ জানয়ারি পর্যন্ত। যারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে তাদের ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি।

যেসব কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তির নিশ্চায়ন করেনি সেসব প্রতিষ্ঠানের অস্থিত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। রাজনৈতিক এবং স্থানীয় ও বিভিন্ন স্তরের প্রভাবশালী মহলের তদবিরের কারণেই ওইসব প্রতিষ্ঠান পাঠদানের অনুমতি পেয়েছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ওইসব কলেজ ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘একাদশ শ্রেণীতে পাঠদানের অনুমোদন পেতে প্রতি বিভাগে ন্যূনতম ৫০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতে হয়। কাম্য শিক্ষার্থী না থাকলে পাঠদানের অনুমতি বাতিল হতে পারে।’ ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদান হয়। এরমধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বিষয় আবশ্যিক। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে অন্তত তিনটি আবশ্যিক বিষয় নিতে হয়।

এ হিসাবে প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও অধ্যক্ষসহ একটি কলেজে ১২ জন শিক্ষক থাকে। এছাড়া কর্মচারী, লাইব্রেরিয়ান, পিয়নসহ সব মিলিয়ে অন্তত ২০ জন জনবল থাকে। যেসব কলেজে কেউ ভর্তি হতে আবেদনই করেনি সেগুলো কীভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা দেবে, টিকে থাকার ব্যয় নির্বাহ করবে সেটি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।

ভর্তির আবেদন না হওয়া কলেজের বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘কলেজগুলো যদি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে মাউশি সেগুলোর এমপিও স্থগিত বা বাতিল করতে পারে। এমপিওভুক্তি না হলে শিক্ষা বোর্ড যেসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি বাতিল করতে পারে।’

মাউশি ও শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতেই এক ডজনের মতো কলেজ কোন শিক্ষার্থী পায়নি। আরও অর্ধশত কলেজে ন্যূনতম দুইজন থেকে পঞ্চাশ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।

সাধারণত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভরশীল। তবে এমপিওভুক্ত কলেজগুলো সরকার থেকে পুরোপুরি বেতন-ভাতা পায়।

back to top