alt

নতুন শিক্ষাক্রমে ব্যয় বেড়েছে সরকারের, খেসারত দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের

রাকিব উদ্দিন : সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

ছবি : ইন্টারনেট

নতুন শিক্ষাক্রমে সরকারের ব্যয় বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের খরচও বেড়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের এ শিক্ষক প্রশিক্ষণে ইতোমধ্যে সরকারের প্রায় ২২১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ‘মনিটরিং ও মেন্টরিং’ প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। এতে ব্যয় আরও বাড়ছে। বিপুল টাকা ব্যয় হলেও প্রশিক্ষণের মান নিয়ে খোদ শিক্ষকদের মধ্যেই নানা প্রশ্ন রয়েছে।

শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে বলা হয়েছিল- নতুন শিক্ষাক্রমে নোট-গাইড বা সহায়ক বইয়ের প্রয়োজন হবে না। কোচিংয়ের পেছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু হয়েছে উল্টো। নতুন শিক্ষাক্রমে নানা ভুল-ভ্রান্তি, অসঙ্গতি, বিতর্ক, শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণ এবং দুটি বই প্রত্যাহারের কারণে ‘নিষিদ্ধ’ নোট-গাইড ও সহায়ক বইয়ের ব্যবসা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের এখন কোচিং সেন্টারে আরও বেশি দৌড়াতে হচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং শিক্ষকদের পড়ানোর কৌশল ও দক্ষতা ওপর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এতে দেখা গেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান জানিয়েছেন, তারা নিজেরাই নতুন শিক্ষাক্রম ঠিকমত বুঝতে পারছে না। অনলাইনে নামমাত্র প্রশিক্ষণ নেয়া বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরাও ঠিকমত আয়ত্ত করতে পারেননি শিক্ষাক্রম।

জানতে চাইলে শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার নোয়াপাড়া পাবলিক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মিলন সংবাদকে জানান, তার স্কুলের যেসব শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারাই ঠিকমত তা বুঝতে পারেননি। শিক্ষার্থীদের যথাযথ ধারণা দিতে পারছেন না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা নোট-গাইড বা সহায়ক বইয়ের ওপর নির্ভর করছে।

নামকাওয়াস্তে প্রশিক্ষণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাস্টার ট্রেইনাররাই বলছেন, শিক্ষাক্রম নিয়ে যে ধরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা দেশে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাশরুমে পাঠদান সীমাবদ্ধ না রেখে উন্মুক্ত শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে। অথচ বেশির ভাগ স্কুলেই আইসিটি ল্যাব নেই, ল্যাব আছে তো শিক্ষক নেই; ল্যাব চালানোর জন্য দক্ষ জনবল নেই।’

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, ‘যেকোন নতুন বিষয়ের ওপর পূর্ণ ধারণা পেতে একটু সময় লাগতেই পারে। এজন্য আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি।’

নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে মোট ১০টি করে বই পাঠদান হচ্ছে। বইগুলি হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।

শিক্ষক প্রশিক্ষণে ২২১ কোটি টাকা ব্যয় : ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বইগুলি পড়ানোর জন্য তিন লাখ ৯৬ হাজারের মতো শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায়।

নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রশিক্ষণের জন্য অগ্রিম অর্থায়নের বিষয়ে গত ১৩ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে একটি চাহিদাপত্র দেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এরপর ২০ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রিম অর্থ চেয়ে অর্থ বিভাগে একটি চিঠি দেয়া হয়।

ওই দুই চিঠিতে বলা হয়, ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম’ শীর্ষক অনুমোদিত স্কিমের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে ৬৬০ কোটি ৮১ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে অর্থ বিভাগ গত বছরের ২১ ডিসেম্বর এ স্কিমের অনূকুলে ৩৫০ কোটি বরাদ্দ প্রদান করা হয় এবং এ বরাদ্দের মধ্যে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার বরাদ্দ দেয়া হয়।

এই টাকার মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থবিভাগের অনুমোদনক্রমে ২২১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

মাউশি জানিয়েছে, সারাদেশের মাধ্যমিক স্তরের প্রায় দুই লাখ ৮১ হাজার শিক্ষক বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এছাড়া মাস্টার ট্রেইনার, শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সবমিলিয়ে চার লাখের কিছু কম শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রতিষ্ঠান পাচ্ছেন। তাদের প্রতিদিনের সম্মানী, যাতায়াত ভাড়া, ভ্যানু ভাড়া, আপ্যায়ন এবং এ সংক্রান্ত অন্য শিক্ষা উপকরণ কেনা বাবদ সরকারের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে স্কিম ডকুমেন্ট অনুসারে দেশব্যাপী মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের (প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ/মাদ্রাসা সুপার) ‘কারিকুলাম মনিটরিং এবং মেন্টরিং’ সংক্রান্ত বিষয়ে চারদিনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ণ হবে। এজন্য ৬৪টি জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক সর্বমোট ৩১ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা ‘অগ্রিম উত্তোলন’ করার প্রয়োজন হবে। এই অর্থ ছাড় করতে এখন অর্থবিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে মাউশি মহাপরিচালকের চিঠিতে।

সহায়ক বইয়ের বোঝা বেড়েছে :

জাতীয় শিক্ষাক্রমের রুপরেখা প্রণয়নের সময় শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ‘মুখস্থনির্ভরতা’ কমিয়ে শিক্ষাকে ‘আনন্দময়’ করা কথা বলেছিলেন। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে বুঝে শিখবে এবং সৃজনশীল হয়ে উঠবে। বাস্তবায়নের শুরুতেই হোঁচট খায় এ শিক্ষাক্রম। শিক্ষাক্রম নিয়ে শ্রেণী শিক্ষকরাই নানা রকম প্রশ্ন তুলছেন।

নানা বিতর্কের কারণে এই শিক্ষাক্রমে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বা সহায়ক বইয়ের বাণিজ্য শুরু করেছে শিক্ষা ব্যবসায়ীরা। দেশব্যাপী বাজারে দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীসহ সব শ্রেণীর জন্যই মিলছে নোট-গাইড বা সহায়ক বই।

নোট-গাইড বা সহায়ক বই ব্যবসায়ীদের কাছে ‘অনৈতিক সুবিধা’ নিয়ে অনেক শিক্ষক তা পড়তে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় শিক্ষা প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা দেখেও না দেখার ভান করছেন।

মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক কাইসার শাকিল সংবাদকে বলেন, শিক্ষকের পরামর্শে তিনি তার সন্তানের জন্য ১২শ’ টাকার সহায়ক বই কিনেছেন। পাশাপাশি কোচিং সেন্টারেও যেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ সংবাদকে বলেছেন, ‘কোন শিক্ষার্থীকে নোট-গাইড বা সহায়ক কিনতে বাধ্য করা যাবে না। কোন শিক্ষক এটি করলে.....এবং সে রকম অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’

নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষানির্ভরতা কমানো হয়েছে। সম্প্রতি মাউশি এক বিজ্ঞপ্তিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোন পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট না নেয়ার কথা জানিয়েছে। এরপরও অনেক স্কুলে নানাভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে। বাড়তি বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

রাজধানীর বাংলাবাজারের বইয়ের বাজার সম্প্রতি ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য প্রকাশ্য নোট-গাইড বিক্রি হচ্ছে। আকর্ষণীয় মোড়কে ‘একের ভেতর সব’- নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর নোট-গাইড বা সহায়ক বই বাজারে এসেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি গড়ে উঠা লাইব্রেরিতেও বিক্রি হচ্ছে এসব নোট-গাইড বই।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নিউটন, অনুপম, চ্যান্সেলর, দিকদর্শন, পাঞ্জেরী, লেকচার, সংসদ, আদিল, ফুলকুঁড়ি প্লাস, ইন্টারনেট, অ্যাকটিভ চমক, দিগন্ত, ক্লাসফ্রেন্ড, ক্যাপ্টেনসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর সহায়ক বই বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল সংবাদকে বলেন, তারা নোট-গাইড নয়, সহায়ক বই ছেপে বিক্রি করছেন। এগুলো শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতেই তারা বাজারজাতকরণ করেছেন।

নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষকরা বুঝতে না পারার কারণেই ‘সহায়ক বই’ তারা প্রকাশ করেছেন জানিয়ে পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শ্যামল পাল বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে জানুয়ারিতে। আমরা সহায়ক বই বাজারে এনেছি মার্চে। যাদের এগুলো প্রয়োজন তারা কিনবে; আমরা কাউকে জোর করছি না।’

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, শিক্ষা আইন না হওয়ার কারণে গাইড বা সহায়ক বইয়ের দৌরাত্ম্য ঠেকানো যাচ্ছে না। আর এই শিক্ষা আইন না হওয়ার পেছনে নোট-গাইড প্রকাশকরা কলকাঠি নাড়ছেন। এ থেকে শিক্ষা প্রশাসনের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা সুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

‘নতুন শিক্ষাক্রম চলবেই’ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত ২৩ মার্চ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করছেন নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে কোচিং ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে, নোট-গাইড ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তারা ভেতরে ভেতরে অনেক অপপ্রচার করছেন, শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করছেন।’

ছবি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১১ দিনের লম্বা ছুটিতে স্কুল-কলেজ

ছবি

তৃতীয় আবেদনেও কলেজ পায়নি জিপিএ-৫ পাওয়া ২৯৫ জনসহ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

ছবি

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই: প্রাথমিকের বই ছাপা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে

ছবি

ঢাকা কলেজ অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত

ছবি

এসএসসি ২০২৬: নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত, অনিয়মিতদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস

ছবি

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু

ছবি

এসএসসি খাতা মূল্যায়নে অবহেলা, কালো তালিকায় ৭১ শিক্ষক

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে গেল সাত কলেজ

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার্থী তৈরি করছে: উপাচার্য

ছবি

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: ১৫ দিন পর মাইলস্টোন কলেজে লেখাপড়া শুরু

ছবি

পরীক্ষার্থীদের সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ

ছবি

মারিয়া স্কোডোস্কা-কুরি ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন আইইউবির আবরার

ছবি

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানব বন্ধন

ছবি

কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে এআই অ্যাপ ‘এলসা স্পিক’ এর যাত্রা শুরু

ছবি

ইসলামপুরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট উপহার

ছবি

সর্বোচ্চ ফি সাড়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

ছবি

স্থগিত হওয়া চার দিনের এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করল শিক্ষা বোর্ড

ছবি

সহিংসতায় রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, এক বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

স্বতন্ত্র কাউন্সিলের দাবিতে আন্দোলন: ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

ছবি

পাসের হার ও জিপিএ-৫-এ ছাত্রীদের এগিয়ে থাকার ধারা বজায়

ছবি

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে এসএসসি ও সমমানের ফল, পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ১১ জুলাই থেকে

ছবি

এসএসসির ফল ১০ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে

ছবি

শিক্ষার্থীর ‘কটূক্তি’র অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী

ছবি

২৬ জুন শুরু এইচএসসি, কেন্দ্র এলাকায় চলাচলে ডিএমপির বিধিনিষেধ জারি

ছবি

রাতের ঘটনায় আসন বাতিল, শৃঙ্খলা কমিটিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমার প্রস্তুতি

পরীক্ষার আগের সপ্তাহ পর্যন্ত ফরম পূরণের সুযোগ, জানাল শিক্ষা বোর্ড

ছবি

মহামারির আশঙ্কায় এইচএসসি কেন্দ্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের নির্দেশ

পরীক্ষা পেছানোর পরিকল্পনা নেই, প্রস্তুত শিক্ষা বোর্ডগুলো

ছবি

ভিসি নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ২৬ জুন

ছবি

আদালতের রায়ে এক যুগ পর চাকরিতে ফিরছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

ছবি

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চালু না হওয়া পর্যন্ত ইউজিসির অধীনেই চলবে সাত কলেজ

ছবি

উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি, আন্দোলনে ছাত্রদলসহ শিক্ষার্থীরা

ছবি

শাহরিয়ার সাম্য হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে অর্ধদিবস শ্রদ্ধা, নিরাপত্তা জোরদারে উদ্যোগ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল স্থানান্তর ও রাজস্ব ফাঁকিতে দুদকের নজরে দুই প্রতিষ্ঠান

tab

news » education

নতুন শিক্ষাক্রমে ব্যয় বেড়েছে সরকারের, খেসারত দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের

রাকিব উদ্দিন

ছবি : ইন্টারনেট

সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নতুন শিক্ষাক্রমে সরকারের ব্যয় বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের খরচও বেড়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের এ শিক্ষক প্রশিক্ষণে ইতোমধ্যে সরকারের প্রায় ২২১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ‘মনিটরিং ও মেন্টরিং’ প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। এতে ব্যয় আরও বাড়ছে। বিপুল টাকা ব্যয় হলেও প্রশিক্ষণের মান নিয়ে খোদ শিক্ষকদের মধ্যেই নানা প্রশ্ন রয়েছে।

শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে বলা হয়েছিল- নতুন শিক্ষাক্রমে নোট-গাইড বা সহায়ক বইয়ের প্রয়োজন হবে না। কোচিংয়ের পেছনে দৌড়াতে হবে না। কিন্তু হয়েছে উল্টো। নতুন শিক্ষাক্রমে নানা ভুল-ভ্রান্তি, অসঙ্গতি, বিতর্ক, শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণ এবং দুটি বই প্রত্যাহারের কারণে ‘নিষিদ্ধ’ নোট-গাইড ও সহায়ক বইয়ের ব্যবসা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের এখন কোচিং সেন্টারে আরও বেশি দৌড়াতে হচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং শিক্ষকদের পড়ানোর কৌশল ও দক্ষতা ওপর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এতে দেখা গেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান জানিয়েছেন, তারা নিজেরাই নতুন শিক্ষাক্রম ঠিকমত বুঝতে পারছে না। অনলাইনে নামমাত্র প্রশিক্ষণ নেয়া বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরাও ঠিকমত আয়ত্ত করতে পারেননি শিক্ষাক্রম।

জানতে চাইলে শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার নোয়াপাড়া পাবলিক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মিলন সংবাদকে জানান, তার স্কুলের যেসব শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারাই ঠিকমত তা বুঝতে পারেননি। শিক্ষার্থীদের যথাযথ ধারণা দিতে পারছেন না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা নোট-গাইড বা সহায়ক বইয়ের ওপর নির্ভর করছে।

নামকাওয়াস্তে প্রশিক্ষণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাস্টার ট্রেইনাররাই বলছেন, শিক্ষাক্রম নিয়ে যে ধরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা দেশে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাশরুমে পাঠদান সীমাবদ্ধ না রেখে উন্মুক্ত শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে। অথচ বেশির ভাগ স্কুলেই আইসিটি ল্যাব নেই, ল্যাব আছে তো শিক্ষক নেই; ল্যাব চালানোর জন্য দক্ষ জনবল নেই।’

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, ‘যেকোন নতুন বিষয়ের ওপর পূর্ণ ধারণা পেতে একটু সময় লাগতেই পারে। এজন্য আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি।’

নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে মোট ১০টি করে বই পাঠদান হচ্ছে। বইগুলি হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম এবং শিল্প ও সংস্কৃতি।

শিক্ষক প্রশিক্ষণে ২২১ কোটি টাকা ব্যয় : ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বইগুলি পড়ানোর জন্য তিন লাখ ৯৬ হাজারের মতো শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায়।

নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রশিক্ষণের জন্য অগ্রিম অর্থায়নের বিষয়ে গত ১৩ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে একটি চাহিদাপত্র দেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এরপর ২০ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রিম অর্থ চেয়ে অর্থ বিভাগে একটি চিঠি দেয়া হয়।

ওই দুই চিঠিতে বলা হয়, ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম’ শীর্ষক অনুমোদিত স্কিমের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে ৬৬০ কোটি ৮১ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে অর্থ বিভাগ গত বছরের ২১ ডিসেম্বর এ স্কিমের অনূকুলে ৩৫০ কোটি বরাদ্দ প্রদান করা হয় এবং এ বরাদ্দের মধ্যে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার বরাদ্দ দেয়া হয়।

এই টাকার মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থবিভাগের অনুমোদনক্রমে ২২১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

মাউশি জানিয়েছে, সারাদেশের মাধ্যমিক স্তরের প্রায় দুই লাখ ৮১ হাজার শিক্ষক বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এছাড়া মাস্টার ট্রেইনার, শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সবমিলিয়ে চার লাখের কিছু কম শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রতিষ্ঠান পাচ্ছেন। তাদের প্রতিদিনের সম্মানী, যাতায়াত ভাড়া, ভ্যানু ভাড়া, আপ্যায়ন এবং এ সংক্রান্ত অন্য শিক্ষা উপকরণ কেনা বাবদ সরকারের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে স্কিম ডকুমেন্ট অনুসারে দেশব্যাপী মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের (প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ/মাদ্রাসা সুপার) ‘কারিকুলাম মনিটরিং এবং মেন্টরিং’ সংক্রান্ত বিষয়ে চারদিনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ণ হবে। এজন্য ৬৪টি জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক সর্বমোট ৩১ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকা ‘অগ্রিম উত্তোলন’ করার প্রয়োজন হবে। এই অর্থ ছাড় করতে এখন অর্থবিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে মাউশি মহাপরিচালকের চিঠিতে।

সহায়ক বইয়ের বোঝা বেড়েছে :

জাতীয় শিক্ষাক্রমের রুপরেখা প্রণয়নের সময় শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ‘মুখস্থনির্ভরতা’ কমিয়ে শিক্ষাকে ‘আনন্দময়’ করা কথা বলেছিলেন। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে বুঝে শিখবে এবং সৃজনশীল হয়ে উঠবে। বাস্তবায়নের শুরুতেই হোঁচট খায় এ শিক্ষাক্রম। শিক্ষাক্রম নিয়ে শ্রেণী শিক্ষকরাই নানা রকম প্রশ্ন তুলছেন।

নানা বিতর্কের কারণে এই শিক্ষাক্রমে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বা সহায়ক বইয়ের বাণিজ্য শুরু করেছে শিক্ষা ব্যবসায়ীরা। দেশব্যাপী বাজারে দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীসহ সব শ্রেণীর জন্যই মিলছে নোট-গাইড বা সহায়ক বই।

নোট-গাইড বা সহায়ক বই ব্যবসায়ীদের কাছে ‘অনৈতিক সুবিধা’ নিয়ে অনেক শিক্ষক তা পড়তে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় শিক্ষা প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা দেখেও না দেখার ভান করছেন।

মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক কাইসার শাকিল সংবাদকে বলেন, শিক্ষকের পরামর্শে তিনি তার সন্তানের জন্য ১২শ’ টাকার সহায়ক বই কিনেছেন। পাশাপাশি কোচিং সেন্টারেও যেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ সংবাদকে বলেছেন, ‘কোন শিক্ষার্থীকে নোট-গাইড বা সহায়ক কিনতে বাধ্য করা যাবে না। কোন শিক্ষক এটি করলে.....এবং সে রকম অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’

নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষানির্ভরতা কমানো হয়েছে। সম্প্রতি মাউশি এক বিজ্ঞপ্তিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোন পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট না নেয়ার কথা জানিয়েছে। এরপরও অনেক স্কুলে নানাভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে। বাড়তি বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

রাজধানীর বাংলাবাজারের বইয়ের বাজার সম্প্রতি ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য প্রকাশ্য নোট-গাইড বিক্রি হচ্ছে। আকর্ষণীয় মোড়কে ‘একের ভেতর সব’- নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর নোট-গাইড বা সহায়ক বই বাজারে এসেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি গড়ে উঠা লাইব্রেরিতেও বিক্রি হচ্ছে এসব নোট-গাইড বই।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নিউটন, অনুপম, চ্যান্সেলর, দিকদর্শন, পাঞ্জেরী, লেকচার, সংসদ, আদিল, ফুলকুঁড়ি প্লাস, ইন্টারনেট, অ্যাকটিভ চমক, দিগন্ত, ক্লাসফ্রেন্ড, ক্যাপ্টেনসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর সহায়ক বই বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল সংবাদকে বলেন, তারা নোট-গাইড নয়, সহায়ক বই ছেপে বিক্রি করছেন। এগুলো শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতেই তারা বাজারজাতকরণ করেছেন।

নতুন শিক্ষাক্রম শিক্ষকরা বুঝতে না পারার কারণেই ‘সহায়ক বই’ তারা প্রকাশ করেছেন জানিয়ে পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শ্যামল পাল বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে জানুয়ারিতে। আমরা সহায়ক বই বাজারে এনেছি মার্চে। যাদের এগুলো প্রয়োজন তারা কিনবে; আমরা কাউকে জোর করছি না।’

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, শিক্ষা আইন না হওয়ার কারণে গাইড বা সহায়ক বইয়ের দৌরাত্ম্য ঠেকানো যাচ্ছে না। আর এই শিক্ষা আইন না হওয়ার পেছনে নোট-গাইড প্রকাশকরা কলকাঠি নাড়ছেন। এ থেকে শিক্ষা প্রশাসনের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা সুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

‘নতুন শিক্ষাক্রম চলবেই’ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত ২৩ মার্চ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করছেন নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে কোচিং ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে, নোট-গাইড ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তারা ভেতরে ভেতরে অনেক অপপ্রচার করছেন, শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করছেন।’

back to top